Monday, May 8, 2017

২৪শে বৈশাখ

মা তোমার আলমারির চাবিটা দাও তো।
নে। তবে বেশী ওলট পালট করবিনা কিন্তু।
না না, জাস্ট একটা লাল পাড় সাদা শাড়ী পেলেই চলবে।
হুম। অনেকগুলো আছে, কোনটা নিবি দেখ।
দিদুনের গরদটা দেবে?
না না, এই ভ্যাপসা গরমে নো গরদ অর সিল্ক। তুই বরং আমার ঢাকাইটা দেখ।
ওই যেটা লাস্ট পুজোয় কিনলে?
হ্যাঁ। লাল পাড় সাদা ঢাকাই, খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা আর একটা বড় লাল টিপ। সাজ কমপ্লিট।
থ্যাঙ্ক ইউ মা।
তা কোন গানটা গাইছিস কাল?
আমি ভেবেছিলাম আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ গাইব, কিন্তু মৌসুমি দি বলল আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা গাইতে।
বাহ! আমার প্রিয় গান।
দেখি, আমি একটু ফাইনাল রেওয়াজটা সেরে নিই। তুমি একটু প্লীজ বাজার থেকে ফুলের মালা আনিয়ে রেখো। সক্কাল সক্কাল বেরোতে হবে।





বাবাই? দিদি হারমোনিয়াম নিয়ে রেওয়াজে বসেছে, একটু তোদের চিল চীৎকারটা একবেলার জন্য বন্ধ রাখ আজ, দয়া করে। ও রেগে গেলে কিন্তু কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
না না, হবে না। দিদি রেওয়াজ করতে পারে, আর আমাদের জ্যামিং থাকলেই যত তোমার বাঁধা দেওয়া! চলবে না।
আরে কাল ওর ফাংশান আছে সকালে, গানের স্কুলে।
তাতে কি? সারা বছর তো প্যান প্যান করে গেয়ে চলে। একদিন না গাইলে কি আসে যাবে? আমরা পারব না। বিল্টু, রনি আর টাবলু আসছে। কাল আমাদের একটা ইউটিউব লাইভ এর প্ল্যান আছে, তার রিহার্সাল।
তা আমিও যদি একই লজিক দিই তোকে? সারা বছর তো তোরাও ড্রাম পিটিয়ে আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিস, একদিন না জ্যাম করলে কি হবে?
আরে বাবা, সারা বছর তো মেটালিকা আর গ্রীন ডে গেয়ে বাজিয়ে বেড়াই, কাল স্পেশাল দিন। আমাদের জনারের বাইরে বেরিয়ে গান গাইছি।
সে কী রে? কি গান?
আমরা কাল রবীন্দ্রনাথের গান কে নিজেদের মত করে গাইব চ্যানেলে। তবে গান সিলেকশন এখনো হয়নি। একটু সাজেস্ট করো না মা।
হাউ আবাউট বাঁধ ভেঙ্গে দাও?
কুল! শুনেছি। চলবে। আরো গোটা তিনেক বল।
মম... জাগরণে যায় বিভাবরী, যেমনটা ওই সিনেমায় করেছিল...
ওকে। আর?
একটা হাল্কা গান বলি? ট্রাই কর না? রনির গলায় মনে হয় মানাবে। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।
শুনিনি। বেশ। ইউ আর এ রকস্টার মা। থ্যাংকস। এবার সামহাউ দিদিকে ম্যানেজ করে দাও। প্লীজ!
দেখছি।
আর হ্যাঁ শোন, আমাদের লাইভ প্রোগ্রামের ইন্ট্রোটা তুমি দেবে। কিছু একটা ভেবে চিন্তে রেখো।
ওরে বাবা। যাই তাহলে সঞ্চয়িতা বের করি।







Friday, May 5, 2017

হোস্টেলের রোজনামচা

আমি যেই হোস্টেলে থাকি, সেটির একটি গুগুল মেলিং লিস্ট আছে। তা সেই মেলিং লিস্টের উদ্দেশ্য হল হোস্টেল সঙ্ক্রান্ত যাবতীয় যা যা খবরাখবর সরবরাহ করা যায়, সমস্ত কিছু সম্পর্কে হোস্টেল বাসিন্দাদের জানানো। সে মেসের ফীজ দেওয়ার শেষ দিন থেকে শুরু করে বাঁদরের উৎপাত থেকে বাঁচতে সর্বক্ষণ ঘরের দরজা আটকে রাখা,  ইত্যাদি আরো নানান রকমের তথ্য। তা কিছু লোকজন আছে, সেই ফোরামটাকে পুরো এক খানা নালিশ বাক্স বানিয়ে দিয়েছে। আরে বাবা হ্যাঁ ঠিক আছে, হোস্টেলে কি সমস্যা হচ্ছে, সেটা লেখা ভালো যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানতে পারে এবং প্রয়োজন মত তার ব্যাবস্থা নিতে পারে, কিন্তু তা বলে এই রকম??? উদাহরণ দিই।

কেন লোকে কাচা জামার থেকে  জল পুরোপুরি নিংড়ে মেলবে না, এটা একটা দাবী হল? ওরে বাবা রে, মানুষগুলো তো তোর আমার মতই তেইশ জোড়া ক্রোমোজোমেরই মানুষ! তারা হুঠ করে রাতারাতি তো আর সুপারম্যান হয়ে যাবে না! ওই নরম নরম হাতে যতটা পারে, জল নিংড়োয় , তাতে বাপু তোমার শুকনো  জামা ভিজে যাক, তা কি আসে যায়! তোমায় কে বলেছিল হে শুকনো জামাকাপড় দড়িতে মেলে রেখে দিতে? কি এমন বিরাট কাজ করছ যে সময় করে দড়ি থেকে কাপড় সরাওনি? নিজের কাজ টাইমে করবে না, আর যত দোষ ওপরতলার মেয়েদের। ক্লাসিস্ট কোথাকার।

আরেক খানা বলি। বাঁদর এসে সকাল সকাল করিডর জুড়ে নোংরা করে রাখবে, বাথরুম থেকে ডাস্টবিন ঘেঁটে কলার খোসা থেকে শুরু করে বিরিয়ানির কৌটো নিয়ে ফেলে ছড়িয়ে লাট করবে; সেই থেকে মুক্তি পেতে অ্যাডমিন থেকে দরজায় এক ধরণের বিশেষ তালা লাগিয়ে দিল। বাঁদরের হাতের নাগালের বাইরে। দিব্যি চলছিল। উৎপাত কমে গেল। হঠাত একদিন কয়েকজনের মেল এলো। কিছু মেয়ে নাকি দরজায় আংটা লাগাচ্ছেনা, যার ফলে আবার আমাদের পূর্বপুরুষেরা আক্রমণ করছে। কেন মেয়েরা এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করবে, এতে হোস্টেলের শান্তি শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ওরে বাবা, তোরা বুঝিসনা বলে এমন কড়া কড়া চিঠি লিখিস গ্রুপে। ওদের কথাটাও তো ভাবতে হবে নাকি? ওদের যদি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজার সময় পাশে পূর্বপুরুষের লম্বা লেজের দরশন না হয়, কি করে নিজের ক্রমশ কম হতে থাকা চুলের কথা মনে পড়বে? বাঁদরের ওই লম্বা লেজ দেখে বলুন, আপনার রাপুঞ্জেলের বিনুনির কথা মনে হয়না? আজকালকার যুগরে বাবা। এত কাজে কম্মে এসব কি আর মনে থাকে? তাই জন্যই তো এইসব রিমাইন্ডার দেখে মনে হয় যে নাহ, আজ চুলে ভালো করে তেল মাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করতে হবে। বাথরুমের ড্রেনে এক গাদা চুলের দলা পড়ে থাকতে দেখে এত মনে কষ্ট হবে যে টাক পড়ে যাছে অথচ টাকার আমদানি হচ্ছেনা। সেই দুঃখে বাথরুমটা পরিষ্কারের কথা মনে পড়ে বলুন? আপনার পড়ত? পরে যে স্নান করতে আসে আসুক, জল দাঁড়িয়ে গেলে বাথরুমে, তার হেডেক, আমার আপনার কি! বরং ওদের এত চুল ঝরছে, সেই জন্য মিনিমাম সহানুভূতি না জানিয়ে কিনা মেয়েরা লম্বা মেল করবে কেন এরা বাথরুম নোংরা করে। আরে বাপু, তোদের এত দাবী দাওয়া কিসের? এটা তো হোস্টেল নাকি? নিজের বাড়ি পাওনি যে সর্বক্ষণ দাসীবাঁদী পাবে মা কে যে তুমি বেরিয়ে গেলে তোমার পরে দুনিয়া ঠিক করে দেবে।

এইটুকু শুনেই ভাবতে বসবেননা যে এ আর এমন কি, পৃথিবীতে এর চেয়ে ঢের বেশী সমস্যা আছে। হ্যাঁ তা আছে বইকি, এর চেয়ে অনেক বেশী ঘোরপ্যাঁচের লোকের সাথে সর্বক্ষণ আপনাকে ডিল করতে হয়, মানলাম। কিন্তু আপনি ভাবুন। আমার দিদি কিনা স্বাবলম্বী হতে চেয়ে গয়নার ব্যাবসা শুরু করেছে, না হয় দিনে দশটা করে মেল পাঠাচ্ছিলাম ওই ব্যাপারে, পোড়ারমুখীগুলোর সইলনা। এক প্রস্থ লম্বা মেল থ্রেড শুরু করল যে নাকি এসব করে তাদের মেলবক্স স্প্যাম হচ্ছে। আর নিজেরা যে এই বিষয়টা নিয়ে এত মেল করছিস, সেই বেলা? বাবা ঘরে এসে সামনাসামনি মুখে বলে গেলেই পারতি। টেকনোলজি ইন্সটিটিউটে পড়লেই যে উঠতে বসতে শুতে খেতে ইমেল করতে হবে... রক্ষে করো বাপু! আমি আর নিতে পারলুম না। তোমাদের মেল লিস্ট থেকে আমার নামটি বের করে দাও শুধু। তবে হ্যাঁ, যাওয়ার আগে শেষ অভিযোগটা করে দিই? তোমরা বাপু আমিষ নিরামিষ ডাইনিং ফেসিলিটি নিয়ে এত তর্কাতর্কি করছ, তা এমন এক খানা মেস দাও না যাতে একটু আলু ভাতে আর বিউলির ডাল পাই? সাথে একটু আলু পোস্ত দিলে কিন্তু কাঁচা লঙ্কাটি দিতে ভুলোনা হে। ভগবান মঙ্গল করুন। রাধা মাধব, রাধা মাধব।

Wednesday, May 3, 2017

নিবারণ কাকা

আমাদের আশে পাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা অন্যের ব্যাপারে মতামত, উপদেশ দিতে খুব ভালোবাসেন। তারা হয়ত সব সময় যে নাক গলাতে আসেন, তা না। অনেক ক্ষেত্রেই তারা ভালো করতে চেয়ে এগিয়ে আসেন তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলির ওপর নির্ভর করে কিছু মন্তব্য করতে। সকলে একইভাবে ব্যাপারটা নেন না। সেরকমই একজনের কথা লিখছি।

********************************************************************************

নিবারণ কাকা

আমাদের পাড়ার নিবারণ কাকা। সবার সব ব্যাপারে তার মন্তব্য করা চাইই চাই। নতুন ফ্ল্যাট কিনে কে সত্যনারায়ণ পুজোয় শ্যামল জেঠুদের ডাকল আর তার ভাই বিমল জেঠুদের ডাকল না, অনিমেষ কর্নেলে যাবে না কারনিগি (কি? কি বললেন? কোন নিধি?)  মেলন (সেটার যে আদৌ তরমুজের সাথে কোনভাবেই মিল নেই, অবশ্য করেই সেই বিষয়ে না জেনে), রাখী কেন করন অর্জুনের মায়ের পার্ট করবে, মিনতির মা কেন পাঁচতলার ঘোষেদের বাড়ি জামাকাপড় কাচতে পাঁচশ আর বি ব্লকের সান্যালদের থেকে সাড়ে পাঁচশ নেবে, পুজোর চাঁদা কেন প্রতি বছর বাড়বে সমস্ত বিষয়ে ওনার মহামূল্যবান মতামতের ছড়াছড়ি, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে বেশীরভাগ সময়েই নিবারণ কাকার বাড়ির লোকেরা পর্যন্ত ওনার কথার কোন পাত্তা দেন না। রমা কাকীমা তো উঠতে বসতে কাকাকে খোঁটা দিয়েই চলেন।

নিজের বাড়ির লোকের তো মাথা খাচ্ছই, আবার পাড়া প্রতিবেশীর জীবন অতিষ্ঠ না করলেই নয়?

কেন কেন? আমি কার কোন পাকা ধানে মই দিলাম শুনি?

পাকা ধানে মই দাওনি তো কি করেছ?  ছবিদির নাতনির স্কুলের ভর্তি নিয়ে তোমাকে কে মন্তব্য করতে বলেছিল হ্যাঁ?

ওমা ওইটুকু মেয়েকে এখন থেকেই কিসের জন্য বইয়ের বস্তা পিঠে করে স্কুলে পাঠাবে, সেটা গুরুজন হিসেবে আমার বলার কি কোন দায়িত্ব নেই?

তা ওরা তোমার কথা শুনল তো?

সে ওরা আমার উপদেশ কানে দেয়নি, এতে ওদের মেয়েরই দুদিন বাদে ঘাড়ে পিঠে ব্যাথা হবে যখন, বুঝবে।

কেন কেন করতে যাও? নতুন বৌ এসে মিষ্টি করে দুপুরবেলা চারটি কথা শুনিয়ে গেল।

কি বলেছে সে?

কি না বলেছে? আমায় ঠারেঠোরে জিজ্ঞেস করল তুমি কোন ক্লাস পাস, আমাদের ছেলে মেয়েরা কে কতদূর পড়বে।

কি? এত বড় স্পর্ধা? ওর শ্বশুর আমায় ছোট ভাইয়ের চোখে দেখে বলে না আমি নাতনির ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলতে গেছিলাম! আমার বিদ্যে নিয়ে প্রশ্ন তোলে? জানিয়ে দেবে ওকে সামনের বারে যে আমি কালীকৃষ্ণ স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলাম মাধ্যমিকে, হুহ। ও মেয়ে কিনা শহরের ইংরেজি স্কুলের ভারী আমার কি না কি লেখাপড়ায়, সে আবার চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শুনিয়ে যাচ্ছে! দাঁড়াও, আমি আজই দাদাকে বলব। সনৎ কত ভদ্র ছেলে। এই নতুন বৌ এসে মাথা খেয়েছে ছেলেটার। দাদাকে বলব, সুনীতি মায়ের জন্য যেন দেখে শুনে বিয়ে দায়ে; এরকম শহুরে ধিঙ্গি ছেলেপিলে জোটালে মুশকিল।

তুমি আর কোনদিনও শুধরোবে না, নাকি! এত কিছু হল, তাও তুমি ওদের বাড়ি গিয়ে আবার বিয়ের কথা তুলবে?

কাকিমা, ও কাকিমা।

কে রে? ও নিতু? আয় আয়। এক্ষুনি তোর কাকা আর আমি তোকে নিয়ে কথা বলছিলাম।

অ। তা কি কথা কইছিলে শুনি?

ওই তোর বিয়ে নিয়ে।

ওমা, মা তোমাদের বলে দিয়েছে? আমি যে বললুম আমিই এসে নিজের মুখে তোমাদের জানাব। মায়ের পেটে না কোন কথাই থাকেনা দেখছি। ধুর।

কি? ছবি দি তো কিছু বলেনি? কি বলবে?

তাও ভালো। দাঁড়াও আগে এক খান পেন্নাম ঠুকে নিই।

দেখো দেখো রমা, নিতুর মত মেয়ে হয় না।

আসলে নতুন জীবনে পা দিতে চলেছি, তাই তোমাদের আশীর্বাদ নিতে এলাম।

কোথায় চললি? ব্যাঙ্কের চাকরিটা পেলি? যেটার ফর্মের খবর তোকে এনে দিয়েছিলাম...

না না নিবারণ কাকা। আমার মাথায় অত বুদ্ধি নেই। তোমায় তো তখনি বলেছিলাম, ওসব আমার দ্বারা হবেনা। আমি বিয়ে করেছি। আজ রেজিস্ট্রি করে এলাম। আসলে সুবলকে বাবা মা মেনে নিচ্ছিল না, তাই বাধ্য হলাম। বারবার বলা সত্ত্বেও বাবা একের পর এক সম্বন্ধ আনছিল। আমি আর নিতে না পেরে আজ রেজিস্ট্রিটা সেরেই ফেললাম। বাবার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে। মা মিনমিন করছে। কাকা তুমিই পারবে বাবাকে বোঝাতে, প্লীজ বল।

হে ভগবান, আর আমি কিনা দাদার কাছে তোর জন্য ভালো পাত্রের সন্ধান দিতে যাচ্ছিলাম, আর তুই কিনা বিয়ে করে ফেললি। উফ। দুনিয়ায় কেউ যদি আমার কথার ওপর ভরসা রাখত। রাধা মাধব রাধা মাধব।

ও রমা। মিঠু বাড়ি আসবে কখন? ওকে আজ একটু বোঝাতে হবে। ও যেন আমার মান সম্মান না ডোবায়।

হম, দিনকাল ভালো না। কত নানানলোকের সাথে মেলামেশা করে, কার থেকে কি শিখছে জানছে কে জানে। আমার বড় ভয় করে।

হ্যাঁ। ওকে বলব। রাইসে ভর্তি করে দেবো, মন দিয়ে সরকারী চাকরির পরীক্ষা দিক। ওসব ফ্যাশন ডিজাইনিং না কি ছাই পাঁশ পড়তে চায়, সেসব চলবে না।

উফ। তুমি কি ঠেকেও শেখোনা? মেয়ে বড় হয়েছে। নিজের ভালো মন্দ নিজেই বুঝবে। ওর কেরিয়ার নিয়ে মতামত দিতে যেও না। বাবা হিসেবে যেটুকু কর্তব্য, সেই টুকু করো। আর হ্যাঁ, পাড়াপড়শি কেউ আজকাল অন্যের কথা শোনেনা; মেয়ে নিজের বাপ মার কথা শুনছে না, নাকি দুনিয়ার লোক তোমার কথা শুনবে। একটু বোঝার চেষ্টা করো।

সেই রাত্রে নিবারণ কাকাকে বাস স্ট্যান্ডের কাছে অনেক রাত অবধি চুপচাপ দুখী মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম, এই প্রথম কারুর সাথে একটি কথাও না বলে বাড়ী ফিরেছিলেন।

******************************************************************************