মা তোমার আলমারির চাবিটা দাও তো।
নে। তবে বেশী ওলট পালট করবিনা কিন্তু।
না না, জাস্ট একটা লাল পাড় সাদা শাড়ী পেলেই চলবে।
হুম। অনেকগুলো আছে, কোনটা নিবি দেখ।
দিদুনের গরদটা দেবে?
না না, এই ভ্যাপসা গরমে নো গরদ অর সিল্ক। তুই বরং আমার ঢাকাইটা দেখ।
ওই যেটা লাস্ট পুজোয় কিনলে?
হ্যাঁ। লাল পাড় সাদা ঢাকাই, খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা আর একটা বড় লাল টিপ। সাজ কমপ্লিট।
থ্যাঙ্ক ইউ মা।
তা কোন গানটা গাইছিস কাল?
আমি ভেবেছিলাম আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ গাইব, কিন্তু মৌসুমি দি বলল আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা গাইতে।
বাহ! আমার প্রিয় গান।
দেখি, আমি একটু ফাইনাল রেওয়াজটা সেরে নিই। তুমি একটু প্লীজ বাজার থেকে ফুলের মালা আনিয়ে রেখো। সক্কাল সক্কাল বেরোতে হবে।
বাবাই? দিদি হারমোনিয়াম নিয়ে রেওয়াজে বসেছে, একটু তোদের চিল চীৎকারটা একবেলার জন্য বন্ধ রাখ আজ, দয়া করে। ও রেগে গেলে কিন্তু কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
না না, হবে না। দিদি রেওয়াজ করতে পারে, আর আমাদের জ্যামিং থাকলেই যত তোমার বাঁধা দেওয়া! চলবে না।
আরে কাল ওর ফাংশান আছে সকালে, গানের স্কুলে।
তাতে কি? সারা বছর তো প্যান প্যান করে গেয়ে চলে। একদিন না গাইলে কি আসে যাবে? আমরা পারব না। বিল্টু, রনি আর টাবলু আসছে। কাল আমাদের একটা ইউটিউব লাইভ এর প্ল্যান আছে, তার রিহার্সাল।
তা আমিও যদি একই লজিক দিই তোকে? সারা বছর তো তোরাও ড্রাম পিটিয়ে আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিস, একদিন না জ্যাম করলে কি হবে?
আরে বাবা, সারা বছর তো মেটালিকা আর গ্রীন ডে গেয়ে বাজিয়ে বেড়াই, কাল স্পেশাল দিন। আমাদের জনারের বাইরে বেরিয়ে গান গাইছি।
সে কী রে? কি গান?
আমরা কাল রবীন্দ্রনাথের গান কে নিজেদের মত করে গাইব চ্যানেলে। তবে গান সিলেকশন এখনো হয়নি। একটু সাজেস্ট করো না মা।
হাউ আবাউট বাঁধ ভেঙ্গে দাও?
কুল! শুনেছি। চলবে। আরো গোটা তিনেক বল।
মম... জাগরণে যায় বিভাবরী, যেমনটা ওই সিনেমায় করেছিল...
ওকে। আর?
একটা হাল্কা গান বলি? ট্রাই কর না? রনির গলায় মনে হয় মানাবে। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।
শুনিনি। বেশ। ইউ আর এ রকস্টার মা। থ্যাংকস। এবার সামহাউ দিদিকে ম্যানেজ করে দাও। প্লীজ!
দেখছি।
আর হ্যাঁ শোন, আমাদের লাইভ প্রোগ্রামের ইন্ট্রোটা তুমি দেবে। কিছু একটা ভেবে চিন্তে রেখো।
ওরে বাবা। যাই তাহলে সঞ্চয়িতা বের করি।
No comments:
Post a Comment