Thursday, November 14, 2019

children's day

ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কি না, এই নিয়ে আজ অনেক জায়গায় অনেক পোস্ট দেখলাম। ভাবতে বসলাম।
ফিরে যেতে পারলে তো হয়তো ভালো হতই। ছোটবেলার ঝুট ঝঞ্ঝাট মানে ওই mental sums, preposition আর আরেকটু বড় হতে টাইম এন্ড ডিস্টেন্স। ও হ্যাঁ, ওই কবিতা মুখস্থ করা। দশ নম্বর থাকতো। তখনও মুখস্থ হতো না। এখনও মনে থাকেনা। ওই গড়গড় করে দাঁড়িয়ে এক নিমেষে আস্ত একটা কবিতা বলা বড্ড বিড়ম্বনার। যে কোনো মুখস্থ করার জিনিসেই আমার এলার্জি। এখনের সমস্যাগুলো তো এগুলিকে বলে বলে দশ বারো গোলে হারাবে। মিনিমাম।
কিন্তু তাও, ছোটবেলায় ফিরে গেলে কি সেই বোধ বুদ্ধিটাও সাথে পাবো যে এই শিশু ঝামেলাগুলোর সাথে মানিয়ে নাও বাপু, এরা বিষাক্ত নখ দাঁত মুখ খিঁচিয়ে আসে না। এরা ঘ্যাঁগাসুর না। বরং এরা অনেকটাই ঈশপের গল্পের চরিত্রগুলোর মতো। টুকটাক ছোটখাটো শিক্ষা দেবে। আখেরে লাভ হবে।
ছোটবেলায় পেরেন্ট টিচার কল হলেই বুক ঢিপঢিপ। এই রে, আবারও ওই talkative আখ্যা পাওয়া। আর এখন? প্রতিটা প্রেজেন্টেশনের আগে বুক ঢিপঢিপ। আদৌ কথা বলতে পারবো তো?
ছোটবেলায় মা বাবাকে লুকিয়ে নিজেরই পকেট মানি দিয়ে কেনা আমসি খেতে খেতে সমানে সচেতন হওয়া, জামায় যেন না পড়ে। পড়লেই শেষ। কপালে বকুনি। এখন দেখো, যেদিন যখন খুশি zomato থেকে যা ইচ্ছে অর্ডার করো, খাও। খাওয়াও। মা বাবাকে পাঠাও। অনেক স্বাধীনতা। কিন্তু, তাও, এই স্বাধীনতার কি মূল্য দিচ্ছি না? দিচ্ছিই তো। কথায় কথায় এন্টাসিড পুরে দেওয়া... ভালো?

সব মিলিয়ে বলতে গেলে, ছোটবেলাটা হয়তো একটু বেশিই ভালো ছিলো। কম কমপ্লিকেটেড। তবুও, বড় হয়েও তো কত সুন্দর (এবং অসুন্দর) অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সার্বিক উন্নতির জন্য তো দরকার। আর বেশিদিন ছোট থাকলে কি সত্যিই ভালো হতো? উঠতে বসতে এই যে দুষ্টুমির জন্য বকুনি খাওয়া... ভাল্লাগতো নাকি?
উঁহু। তার চেয়ে বাবা এই ভালো। সব মেপে বুঝেই থাক। একটা সুন্দর শৈশব ছিল। আনন্দ করেছি। এখনও তো দিব্যি ভালোই আছি। বেশ একটা কিছু হলো কি না হলো, দুম করে "আহা, ছোটবেলাটা কী ছিল" বলার মতো জায়গাও রইলো। আবার সাথে সাথে স্বাধীনতাও। একবার যে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি, আর কি ছোটবেলায় ফিরে গেলে সমানে supervised হওয়া পোষাবে নাকি? মোটেই না।

No comments:

Post a Comment