Sunday, December 10, 2017

সখ পূরণ

১।

ছায়া ঘনাইছে বনে বনে।

গগনে গগনে ডাকে দেয়া।

গাড়িতে স্টার্ট দিতেই শুরু হয়ে গেল শ্রীকান্ত আচার্যর গলায় আমার অন্যতম প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীতটি শুরু হল। আমার প্রতিদিনের অভ্যেস, গাড়ি চালিয়ে অফিস পৌঁছনো অবধি রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার চাইই চাই। শুনতে শুনতে গুনগুন করি, মন মেজাজ ভালো থাকলে আর রাস্তায় ট্রাফিক না পেলে গলা ছেড়ে গাইও। দক্ষিণীর স্টুডেন্ট আমি, একটা সময় অনেক স্টেজ শো করেছি। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনের থেকে একটু দূরে আমি থাকি, চাকরি করি একটি ব্যাঙ্কে। সকাল সাতটায় বাড়ি থেকে বেরোই, ঘন্টাখানেকের পথ। তার মধ্যেই হ্যান্ডসফ্রিতে চলে বাড়িতে কথাবার্তা। সারাদিন অফিসে কাজের চাপ, সামলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সাড়ে সাতটা। এসেই কোনমতে খেয়ে দেয়ে আবার পরেরদিনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি। এই গতে বাঁধা জীবনের খপ্পরে পড়ে আমি গান গাওয়া প্রায় ভুলতে বসেছি। কলেজে পড়াকালীন সখের লেখালিখি একটু যা করতাম, তাও আর হয়ে ওঠে না। এই জীবনে হাঁপিয়ে যাই তো বটেই। কিন্তু তখনই মনে হয়, এমন জীবনই তো চেয়েছিলাম, সেই ছোট থেকে। মস্ত চাকরি করব, আমার গর্বে গরবিনী হবে আমার মা। বিদেশে থাকব, প্রচুর নাম ডাক হবে, অনেক অনেক টাকা রোজগার করব, মায়ের সমস্ত স্বপ্নপূরণ করব। এই তো চাইতাম ছোট হেকে। আর তাই যখন স্কলারশিপের টাকায় বিদেশে এলাম, তখন মনে হয়েছিল। এই তো সুযোগ তিতির। এইবারে এর পুরো সদ্ব্যবহার করে সমস্ত সখ আহ্লাদ পূর্ণ করব। এম এসের পরে লন্ডনের চাকরিটা তখন ছিল আমার কাছে আমার স্বপ্নের জগতের ভিসা। আসলে ছোট থেকে দেখে এসেছি, মা কত কষ্ট করে একা হাতে আমায় বড় করেছে। কখনো কোন স্বাদ আহ্লাদ পূরণ করতে কমতি রাখেনি বটে, কিন্তু আমি বুঝতাম। দিনের পর দিন স্কুলে পড়িয়ে, তারপর বাড়তি রোজগারের জন্য ট্যুটোরিয়ালে ক্লাস করিয়ে ক্লান্ত মা ফিরত বাড়ি। কত করে তখন বলতাম মা কে ছুটি নিতে, কিন্তু তাহলে আমার স্কুলের ফিজ, গানের স্কুলের ফিজ আটকে যেত, এই বলে মা আমার খেটে চলত অমানুষিক ভাবে। আমার সেই ইচ্ছা এখন সবটাই পূর্ণ হয়েছে। এখন প্রতি মাসে যত পাউন্ড পাঠাই মা কে, তার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় অনেকটাই। মা কে আর পরিশ্রম করতে হয় না। নিজের মতো করে একটা এন জি ওর সাথে যুক্ত হয়ে কিছু অভাবী মেধাবী ছেলেমেয়েদের পড়ায়, স্কুল থেকেও রিটায়ার করেছে। সবই হয়েছে, শুধু কোথায় যেন নিজের বলে যেটুকু সখ আহ্লাদ ছিল, সেগুলি আর নেই। কোথায় কোন বিজনেস মিটিং, ক্লায়েন্ট কলের আড়ালে হারিয়ে গিয়েছে। কবিতার ছন্দ লুকিয়েছে পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইডে। আর গান? সে এই বাড়ি থেকে অফিসের পথটুকুতে, নীরবে, নিভৃতে।

২।

গাড়িটা পার্ক করতে গিয়ে দেখলাম পাশেই অন্তরা। অন্তরা ছাড়াও আমার অফিসে বেশ কয়েকজন ভারতীয় চাকরি করে, তাদের সাথে তেমন বাড়াবাড়ি রকমের অন্তরঙ্গতা না থাকলেও অন্তরার সাথে আমার খুব জমে। ও ভারী মিশুকে হাসিখুশি মেয়ে। গল্প করে আপন করে নিতে ওস্তাদ। আমার আগে থেকে লন্ডন অফিসে আছে। ওই আমায় এখানে প্রথম দিন থেকেই এমন আপন করে দিয়েছে যে হোম সিকনেসটা আমার খুব কম হয়। পারকিং লট থেকে বেরোতে বেরোতে এক ছুট্টে এসে আমায় জড়িয়ে ধরল ও। "কী সুন্দর লাগছে তোমায় আজ তিতির দি।" হ্যাঁ, ও এরকমই পাগল। প্রতিদিনের মতোই আজও বিজনেস স্যুট পড়েই এসেছি। চুলও একইভাবে টপনট করে রাখা, তাও যে কি করে আমায় আজ সুন্দর দেখে, ওই জানে। "পাগলি!" বলে হেসে উত্তর দিলাম। অন্তরা আর আমি পাশাপাশি ডেস্কে বসি, নিজের নিজের জায়গায় এসে কম্প্যুটার লগ ইন করতে করতে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম আজকের টু ডু লিস্টটাতে। বেশ লম্বা আজ, অনেকক্ষণ টানা কাজ করতে হবে। মেইল চেক করে দিন শুরু হয় আমার। ইনবক্স ভর্তি বিভিন্ন দরকারি অদরকারি মেলে। পরপর সাব্জেক্ট দেখে দেখে স্ক্যান করতে করতে একটা সাব্জেক্টে এসে চোখ আটকে গেলো। এইচ আর থেকে এসেছে, ন্যু ইয়ার ব্যাশ হবে অফিসে। থিম ইন্টারন্যাশ্নাল ফ্লেভার। একত্রিশ তারিখ লাঞ্চ পার্টি হবে অফিসের সকলের, আর ওই দিন সকলকে যার যার নিজের দেশের পোশাক পড়ে আসতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্লটের জন্যও বলেছে।

" তিতির দি। দেখলে এইচ আরের মেইল?" পাশের ডেস্ক থেকে অন্তরার ডাকে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, "হ্যাঁ রে। তাই তো দেখছিলাম। ভালোই হল। পুজোয় যে শাড়িটা পড়েছিলাম, সেটাই না হয় পড়ে নেবো। "

" আরে সে তো পড়বেই। কিন্তু তার আগে তুমি কালচারালে নাম লেখাও। সাহেবগুলো একটু শুনুক তো আমাদের গান। সারাক্ষণ ওই কি যে অপেরা অপেরা আর কয়ের করে চলে। কান ঝালাপালা হয়ে যাওয়ার জোগাড়। আমাদের মিষ্টি গান শুনিয়ে ওদের তাক করে দাও তো দিদি।"

"আরে ধুর, গানের রিহার্সাল নেই কতদিন। এখন কি আর পারব নাকি?"

" হাতে কম করেও এক মাস সময় আছে। তুমি রোজ প্র্যাক্টিস করো। ঠিক পারবে। "

" না রে অন্তরা। সত্যি বলছি। সময় নেই। পরশু মা আসছে এখানে। মায়ের সাথে সময় কাটাবো না গানের রেওয়াজ করব?"

" আরে কাকিমা খুব কন্সিডারেট। কিছু মনে করবে না। আমি তোমার নাম দিয়ে দিচ্ছি। "

" না রে। প্লীজ। সোনা আমার।"

" নো সোনা মোনা তিতির দি। আমি রিকিকে বলে দেবো যে তুমি গাইবে। এ কী, ইন্ডিয়ান কন্টিনজেন্টকে রিপ্রেসেন্ট করতে হবে তো! "

" মোহিনী নাচুক। আমি কেন?"

" মোহিনী দি ও নাচুক। তুমিও গাইবে। ব্যস। আর কোন কথা শুনব না। "

৩।

অন্তরার জোরাজুরি আর পাগলামির ফলে সেই আমায় গানের জন্য নাম লেখাতে হল। স্লট পেয়েছি দশ মিনিটের। জানিনা দশ মিনিটে কী গাইব। রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া তো কিছুই বুঝি না। গাইতেই পারি না। অথচ ওরা কি আদৌ সেটার মাহাত্ম্য বুঝবে? কীভাবে যে প্রেসেন্ট করা যায় ওদের সামনে, লেখা আর গানের সংমিশ্রণ, কিছু একটা এরকম করতে হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে আমি এয়ারপোর্টে পৌঁছলাম। আজ মা আসছে আমার কাছে। মাস চারেক থাকবে। তারপরে এপ্রিলে জন্মদিন পালন করতে আমরা সুইজারল্যান্ড যাবো। এটা আমার পুরনো সখ। ছোটবেলায় এটলাস বের করে ইয়ুরোপের ম্যাপ খুলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতাম। যাদবপুরের ভাড়ার বাড়িটায় আমার পড়ার ডেস্কে একটা গ্লোব ছিল। দশ বছরের জন্মদিনে মাসি কিনে দিয়েছিল। খালি খালি গ্লোব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আঙুল থমকে যেত ইয়ুরোপের ওপর। আল্পস পর্বতমালা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এইসব জায়গা যেন মনে হত স্বপ্ন। চাকরিসূত্রে ব্রিটেন ফ্রান্স ঘুরে ফেললেও আল্পস দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। মা খুব বেড়াতে ভালোবাসে। কিন্তু তখন সামর্থ্য বলতে ওই পুরী দীঘা দার্জিলিং। একবার মামাবাড়ির সবাই মিলে গিয়েছিলাম হরিদ্বার মুসৌরি দেহরাদুন। ব্যস। আর কোথাও না। যেতে পারতাম না ঠিকই। কিন্তু লাইব্রেরি থেকে ভ্রমণ পত্রিকা এনে মা মেয়ে মিলে গোগ্রাসে গিলে ফেলতাম। এখন সামর্থ্য থাকলেও সময়ের অভাব। সারাক্ষণ অফিস অফিস করেই পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড়। তাও তার মধ্যেই মা এখানে আসছে বলে প্ল্যান করা। জানি না কেমন কি হয়। এপ্রিল আসতে ঢের দেরি। তার আগে সামনেই অনুষ্ঠান। শিরে সংক্রান্তি অবস্থা আমার। কী যে করি, কী যে করি।

এরাইভালে দেখাচ্ছে দিল্লি থেকে মায়ের ফ্লাইটটা ল্যান্ড করেছে। ব্যস, আর খানিক্ষনের অপেক্ষা। এরপর মাকে জড়িয়ে ধরব। এক বছর পর মা কে দেখব। কাছে পাব। ভাবতেই মন ভালো হয়ে যায়। ওই তো মা। একটা হলুদ সিল্কের শাড়ী পড়েছে। পিছন দিক করে চুলটা টেনে একটা খোঁপা করা। কপালে ছোট্ট টিপ, মেরুন রঙের। এক ঝটকায় যেন স্কুলের দিনগুলিতে চলে গেলাম। স্কুল ছুটির সময়ে গেটে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ঘেমে নেয়ে সারাদিন স্কুলে বাচ্চা পড়িয়ে তাঁতের শাড়ি পড়া আমার মা আসত, আমায় বাড়ি ফেরাতে। তখনের মতোই আমি আজও দৌড়ে গেলাম মায়ের কাছে। জড়িয়ে ধরলাম। প্রাণভরে নিলাম মা মা গন্ধটা। আহ! কী আরাম।

৪।

" তিতির দি, কেমন চলছে রিহার্সাল? "

" ভালো না রে অন্তরা। গান সিলেক্ট করেছি। তবে শিয়োর না। জানিনা সবাই বুঝবে কি না। "

" কী নিয়ে করবে ভেবেছ?"

" আমি ভাবছিলাম রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর চেতনা নিয়ে যদি কয়েকটা গান করি। মাঝে ইংরেজিতে কিছু কিছু লাইন বলে দেবো। "

" ধুর। ওরা ওসব বুঝবেই না। এমন সুন্দর লিরিক ওরা মানেই বুঝবে না। "

" তাহলে? "

" আমি যদিও তোমার মতো পারদর্শী না। কিন্তু একটা আইডিয়া দিতে পারি তোমায়। "

" কী বল? "

" বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত তো বিদেশী সুর থেকে অনুপ্রাণিত। তুমি সেই অরিজিনাল আর বাংলা, দুটোই গাও না। গানগুলির রচনার ইতিহাস বলো। তুমি নিশ্চয়ই পারবে সেগুলো জোগাড় করতে। "

" হ্যাঁ, নট আ ব্যাড আইডিয়া। বাট..."

" নো বাট অ্যান্ড নো ইফ। তুমি শুরু করো প্র্যাক্টিস। "

" হুম। দেখছি। মাকেও জিজ্ঞেস করব। মার এসব ব্যাপারে সেন্স বেশ ভালো। "

" হ্যাঁ হ্যাঁ করো। দেখো, এই সাহেবগুলোকে দেখিয়ে দিতে হবে। ওদের ওই অপেরার চেয়ে কত রিচ আমাদের সঙ্গীত। "

" তোর যে কেন অপেরার ওপর এত শত্রুতা কে জানে। ওটা এক ধরণের শিল্প, আমাদেরটা আমাদের। তুলনা হয় কেন? দুটোই দুইভাবে সুন্দর। "

" তিতির দি, ওই সব জ্ঞানের কথা ছাড়ো। যাও গান গাও। "

" পাগলি! এখন অনেক কাজ আছে। রাত্রে বাড়ি গিয়ে করব। "

" কোন হেল্প লাগলে বলো। "

"একদম।"

৫।

অবশেষে আজ সেই বহুকাঙ্খিত দিনটি এসেই পড়েছে। কাল সারা সন্ধ্যে মা আর অন্তরার সাথে ঝগড়া করে করে শেষমেশ আজকের ড্রেস সিলেক্ট করেছি। আমি যত বলি সাদা শাড়ী রঙিন পাড় পড়বো, গানের স্কুলের অনুষ্ঠানগুলির মতো, তত এরা রেগে যায়। "এইটুকু মেয়ে সাদা পড়বে কেন।" "দি তুমি কিছুতেই ঢাকাই পড়বেনা। সিল্ক পড়ো।" ইত্যাদি। ইত্যাদি। এই সব শুনতে শুনতে শেষে তিনজনে মিলে রফা করে একটা হাল্কা ঘি রঙের তসর যার পাড় আর আঁচলে মেরুন রঙের রেশমি সুতো দিয়ে গুজরাটি স্টিচের কাজ ফাইনাল হয়েছে। কাল রাত্তিরটা অন্তরা আমার এখানে ছিল, সকালে আমায় সাজাবে বলে। সকাল ছটা বাজতেই উঠে পড়লাম। কোনমতে কফি খেয়ে চাঙ্গা হয়ে স্নান সেরে এসে নিজেকে তুলে দিলাম মা আর অন্তরার হাতে। এক ঘণ্টা পরে যখন নিজেকে আয়নার সামনে দেখলাম, সত্যি বলছি, নিজেই চমকে গিয়েছি। একটু ঘষামাজা করলে যে আমিও সুন্দর দেখতে লাগতে পারি, এ যেন ভুলতে বসেছিলাম। সাড়ে সাতটা নাগাদ রওনা দিলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। সাথে মা ছিল। স্পেশাল অনুষ্ঠান বলে পরিবারের লোকজন আজ আমন্ত্রিত।

অফিসটাকে আজ দারুণ সুন্দর করে সাজিয়েছে, বেলুন, স্ট্রিমার, রিবন দিয়ে। বিভিন্ন দেশের পতাকা দিয়ে একটা গ্লোবের আকৃতি বানানো রয়েছে অডিটোরিয়ামের ঠিক বাইরে। যথসময়ে আমিও গেলাম স্টেজে। একটু ভয় ভয় করছে। এর আগেই মোহিনী এক্কেবারে ভুবনমোহিনী পারফরমেন্স করে উপস্থিত সকলকে মাতিয়ে দিয়েছে। মাইকে হাল্কা টোকা মেরে শুরু করলাম আমার বক্তব্য। "Drink to me only with" গানটির ইতিহাস বললাম। তারপরে একই সুরে রচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত "কতবার ভেবেছিনু" গানটির উল্লেখ করলাম। যতটা সম্ভব সহজ করে গানের মানে বোঝালাম। তারপর দুটো গান গেয়ে শোনালাম। গোটা হল হাততালিতে কাঁপিয়ে দিল। মাঝের সাড়িতে দেখলাম মা আর অন্তরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে। আমার তখন দুই চোখ ঝাপসা হওয়ার জোগাড়। অনুষ্ঠান শেষে এইচ আর ম্যানেজার এসে করলেন সারপ্রাইজ এনাউন্সমেন্ট। অনুষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ তিন প্রতিযোগী পাবে পুরস্কার। আমি পেলাম যুগ্ম প্রথম, কেনিয়ার একটি মেয়ে, রওয়ান্ডার সাথে। পুরস্কার হিসেবে পেলাম স্কটল্যান্ডের এক ক্যাসলে তিন দিন দুই রাত্তিরের ছুটির ভাউচার।

হঠাৎ করেই সব ইচ্ছে যেন একে একে পূরণ হয়ে গেলো আমার। একটা সব পেয়েছির আনন্দ আচ্ছন্ন করে দিল আমায়। আহ্লাদে আটখানা হয়ে মায়ের সাথে অন্তরার সাথে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে হবে এখন। বাড়ি ফিরেও অনেক কাজ। প্যাকিং করতে হবে যে। পরশুদিনই বেরোনো।

No comments:

Post a Comment