আচ্ছা বেশ। চারটেই ভালো। বাড়ীতে কেউ থাকবেনা, টুক করে বেড়িয়ে পড়ব।
হ্যাঁ তোমায় ছটার মধ্যেই ছেড়ে দেব। তোমার তো আবার পাঁচটা বাজতে না বাজতেই শুরু হয়ে যায় বাড়ী ফেরার তাড়া।
কি করব বল? বাড়ীতে যদি জানতে পারে তোমার সাথে দেখা করতে যাই, আমার অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যাবে।
সে তো বুঝি গো। তাই জন্যই তো অফিস কেটে তোমার সাথে দেখা করতে আসব।
এই আমি না আজ ওই চকলেট সানডে খাব প্লীজ। না করবে না কিন্তু। এই আগে থেকে বলে রাখলুম।
তোমার না ঠাণ্ডা লাগার ধাত?
ও একদিন আইস্ক্রীম খেলে কিচ্ছু হবেনা। তুমি না করোনা।
তারপর যখন টনসিল ফুলে একাকার হবে, বুকে কফ বসবে, তখন এই শর্মাকে তো মনে মনে গাল দেবে। কী দেবে না?
আরে বাবা রে বাবা। একটা আইস্ক্রীম চেয়েছি বলে এত কথা শোনাচ্ছ, পারও বটে তুমি।
আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তোমায় নিজের হাতে আইস্ক্রীম খাওয়াব, হয়েছে? কিন্তু তুমিও আমায় তাহলে একটা কথা দাও?
কী কথা হে?
তুমি আজ ওই ছানা ধোয়া জলের রঙের এমব্রয়ডারি শাড়িটা পড়ে আসবে আজ?
বাব্বাহ! ছেলের দেখি খুব সাজের দিকে নজর!
সেকি কথা। গার্লফ্রেন্ডের রূপের ব্যাপারে, সাজের ব্যাপারে সচেতন হবোনা তো কিসে হব? আজ এসই না, তোমার জন্য একটা খাসা পারফিউম কিনেছি। ওটা দেবো তোমায়।
সিঙ্গাপুর থেকে আমার জন্য মোটে একখানা পারফিউম এর শিশি?
আরে বাবা, এসই না। দেখবে আরও কত কিছু এনেছি তোমার জন্য।
বেশ। ঠিক আছে। দুটো বাজতে যায়। আমি একটু বিউটি ন্যাপ দিতে যাই। দেখা হচ্ছে শিগগিরি।
হ্যাঁ। ফোনটা রাখলাম। বাই।
বাই সোনা।
ঘণ্টাখানেক পর যখন খোঁপাতে কাঁটাটা অ্যাডজাস্ট করে, কাজলটা লম্বা করে টেনে
মিসেস ব্যানার্জি উবারে উঠে বললেন মোহরকুঞ্জ চল, ওনার মুখের চওড়া হাসিখানি
দেখবার মত ছিল। এক মাস পরে আদরের নাতির সাথে দেখা করতে যাওয়ার আনন্দটাই
আলাদা।
কী গো বেরিয়েছ?
হ্যাঁ রে বাবা, আসছি আর আধ ঘণ্টায়।
নাতির ও যে আর তর সইছে না দিদিমার সাথে দেখা করার জন্য। আজ তো স্পেশাল বান্ধবীর সাথে শ্যামলীর পরিচয়টা করাতেই হবে।
কী গো বেরিয়েছ?
হ্যাঁ রে বাবা, আসছি আর আধ ঘণ্টায়।
নাতির ও যে আর তর সইছে না দিদিমার সাথে দেখা করার জন্য। আজ তো স্পেশাল বান্ধবীর সাথে শ্যামলীর পরিচয়টা করাতেই হবে।