Wednesday, October 19, 2016

কোজাগরী

" মা আমি আসছি তাহলে। আপনার পুজোর সমস্ত জোগাড়যন্ত্র করে দিয়েছি। কোজাগরের জল, প্রসাদী ফল, ফুল সব গুছিয়ে রেখে গেলাম। ছোট আল্পনা আঁকছে। আপনি প্লীজ কিছু মনে করবেন না। আমায় এখন বেরোতেই হবে। কাজটা শেষ করেই ফিরে আসব। "
" এটা তুমি ঠিক করলে না রমা। লক্ষ্মীপুজোর ভর সন্ধ্যাবেলা বাড়ীর বড় বৌ থাকবেনা, এ আমি সাত জন্মে শুনিনি বাপু। তা ছাড়া বাড়ির পুজোয় সব সময় তো তুমিই পাশে পাশে থাকো আমার। হঠাৎ করে এই বছর অন্যথা হলে হয় না কি? "
" আমার কিচ্ছুটি করার নেই মা। আমি একদম নিরুপায়। "
ঘড়ি হাতে মোবাইলটা ব্যাগে ভরে রমা বেরোতে বেরোতে শুনতে পেলেন শাশুড়ির গজগজ।
" যত সব অলক্ষ্মীর দল জোটে আমারই সংসারে। হুহ্। "
তিক্ত মুখ নিয়েই হাসপাতালের গাড়ীতে উঠলেন ড: রমা মিত্র। একটা বার্ন কেসের মেয়ের জরুরী অপারেশনটা যে সারতে হবে আগে। ওসব লক্ষ্মী অলক্ষ্মীর বিচার অপাতত স্থগিত থাকুক। পরে হিসেব করলেও চলবে।

মেঘের আড়াল সড়ে গিয়ে কোজাগরী চাঁদের আলো তখন আকাশের এক কোণ থেকে ঝলমল করছে; ঘরে ঘরে শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ওই পাড়া।

No comments:

Post a Comment