Thursday, December 15, 2016

গানে ভুবন ভরিয়ে দেবো

আকাশবাণী কলকাতা। কলকাতা ক শুনছেন। পরবর্তী অনুষ্ঠান অনুরোধের আসর।
উফফ ঠাম্মা, আবার শুরু হল তোমার ওই প্যানপ্যানানি গানের প্রোগ্রাম? তার চেয়ে মিরচিতে দাও না, ভালো গান দেবে।
চুপ কর মুখপুড়ি, তুই রুটি ক'টা বেলে ফেল এইবেলা। অনুরোধের আসর শেষ হলে আমি খেয়ে শুয়ে পড়ব। আর শোন, অত গজগজ করতে হবেনা।
পরের গানের জন্য চিঠি এসেছে আসানসোলের রফিক ভাই, রুমানা বিবি, পল্টন মিয়াঁ, শ্যামনগরের বাবলু,রাজু শেখ, মিনতি, পায়েল, ডোমজুরের রবি মান্না, তুলি মান্না, কিশোর মান্না ও পরিবারের আর সক্কলের থেকে। পছন্দের গান, "এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায়"।
আহা, কী সুন্দর গানগুলো। এইসব শোন রে.. তা না, যত ছাইপাঁশ কীসব শুনে বেড়াস।
এরপরের গানের জন্য একটি বিশেষ অনুরোধের চিঠি এসেছে। চিঠিটি পাঠিয়েছেন রসুলপুরের তারাচাঁদ বিশ্বাস। লিখছেন, প্রিয় বকুল বহু বছর আগে যেমন করে তোমায় গান গেয়ে শোনাতাম, বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে, আজ আমার কণ্ঠ প্রায় রুদ্ধ। তাই অনুরোধের আসরের মাধ্যমে তোমায় শোনাতে চাই শচীন কর্তার এই গানখানি। আমি জানি, তুমি আজও নিয়ম করে এই অনুষ্ঠান শোনো...ইতি তোমার তারা।
পরের গান, তারার বকুলের জন্য। বর্ণে গন্ধে।
ছোট্ট ঘরে বসে সেদিন গান শুনতে শুনতে বকুলবালা দেবীর দুই গাল বেয়ে জল নামল অকূল বেগে।

https://www.youtube.com/watch?v=ITA4J9-22YY

Thursday, December 8, 2016

অগলে জনম মোহে বিটিয়া না কী জো।

হঠাৎ যদি শোন আমি নেই, তুমি কি আমার জন্য কাঁদবে?
তুমি আমার কথা ভাববে?
তোমার মনে পড়বে কি শীতের সকালের কুয়াশার মধ্যে থেকে আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকতে...
আমি তখন সদ্য হাই স্কুলে প্রবেশ করেছি, তুমি তখন ক্লাস ইলেভেন।
প্রেয়ার রুমে ঢোকার আগে আলগোছে আমার বিনুনি টেনে চলে যেতে...
আমি রোজ রাগের ভান করতাম, তুমি দূর থেকে দেখতে আর হাসতে।।

তোমার মনে পড়বে আমার সেই লাল উড়নি যা দিয়ে একদিন বেঁধেছিলে গাঁটছড়া পোড়ো মন্দিরে?
আর সেই ঘেয়ো কুকুরটা, যার ভয়ে আমি কিছুতেই তোমার হাতটা ছাড়তে চাইনি...?
খেলার ছলে বাঁধা আমাদের ওই খেলাঘর, কিছু ঘণ্টার সংসার আমাদের...?
নাকি শুধুই মনে পড়বে আমার দাদা ও তার বন্ধুদের লাল চোখ
আর তাদের প্রত্যেকের হাতের হকি স্টিক আর লোহার চেন?
কল্পনা করবে আমি কত সুখে ঘরকন্না করছি আমার বাপের বয়সী স্বামীর সংসারে?
কুলীন শাশুড়ির "আদরে"  আমি কিরকম মুটিয়েছি?,
ভাববে তুমি পড়ে রইলে পক্ষাঘাতের রুগী হয়ে,
আর আমি কি না নিজের আখেরটা ঠিক গুছিয়ে নিয়েছি?
একটুও কাঁদবে না, বলো, আমি মরে গেলে?
কেঁদো না, তুমি, ওগো।
শুধু তোমার ঈশ্বরের কাছে এইটুকুই প্রার্থনা করো আমার জন্য
अगले जानम मोहे बिटिया ना की जो ।

http://www.breakingnews.ie/world/there-has-been-a-800-rise-in-honour-killings-in-india-767535.html

Friday, December 2, 2016

একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
হ্যাঁ, কর।
কী দেখে তুমি আমার প্রেমে পড়েছিলে?
কে জানে, মনে হয় আলো কম ছিল তো, তাই বোধকরি ভুল করে ফেলেছি।
মানে?
না মানে, চিরকালই তো রাজেশ খান্নাকেই আমি idolise করে এসেছি, সেখানে তোমার ওই Jitendra মার্কা সাদা trouser look দেখে যে কি করে attracted হলাম, সেটাই ভাবছি। তাই বলছি যে আলো মনে হয় কম ছিল পূর্ণ সিনেমার ব্যালকনিতে, তাই...
হুমম।
কী গো, মুখ গোমড়া করে ফেললে যে বড়?
তা ৪৪ বছর ধরে যে তুমি মনেপ্রাণে এরকম একটা আক্ষেপ নিয়ে সংসার করছ আমার সাথে, জেনে কি আমি ধেই ধেই করে নাচব?
তুমি সেই চির ক্যাবলাই রয়ে গেলে! প্রেমে পড়ার আবার কোন কারণ থাকে নাকি? থাকলে তো কারণ vanish হলেই প্রেমও vanish!
বলছ?
হ্যাঁ বলছিই তো। চল তো এবার একটু হাসি মুখ করো দেখি?

https://soundcloud.com/suchetana-gupta/kis-liye-1

Tuesday, November 22, 2016

হায়ার সেকন্ডারি পরীক্ষার আগে এই শেষবারের মতো স্কুল থেকে ফিরছে ওরা আজ। দুজনেরই মুখ ভার। কোন common tuitionও নেই যে দেখা হবে। স্কুল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুতেই যেন যেতে ইচ্ছে করছেনা।
- শৌণক যোগাযোগ রাখিস কিন্তু। পড়ার চাপ বলে প্লীজ কাটিয়ে দিসনা।
- বাব্বাহ কে কাকে পড়ার খোঁটা দিচ্ছে দেখ! মিস গাঁতু আপনি দয়া করে ফোনটা ধরবেন call করলে।
ন্যাকা!
- ন্যাকা মানে? মনে নেই বুঝি? গত সপ্তাহে যখন call করেছিলাম তোকে, কাকীমাকে দিয়ে তো Pathfinderএর পরীক্ষার দোহাই দিয়ে ফোনের ধারেকাছেও এলিনা!
- ও তুই বুঝবি না। মা ছিল পাশে, তাই...
- কী তাই?
- আরে বললাম তো মাথামোটা, বুঝবিনা।
- আমি মাথামোটা? তুই কি তাহলে?
- তুই হলি গিয়ে ইয়ে...
- কি ইয়ে?
- উফফ।। শৌণক কেন পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছিস?
- বুঝিস না নাকি?
- বুঝি বলেই বলছি তো। ওসবে লাভ নেই।
- আমার সবজান্তা madam নাকি সব বোঝে! যা বৃষ্টি আসছে, তাড়াতাড়ি বাড়ী ফের, নইলে তো আবার জ্বরে পড়বি।
- আচ্ছা ঠিক আছে, যাচ্ছি...
- ভালো থাকিস।
- হুম।
- আরে যা রে, দাঁড়িয়ে রইলি এখনো... বৃষ্টি নামল বলে...



https://www.youtube.com/watch?v=u9VI9wpjNaE

Monday, November 21, 2016

সব চাওয়া পাওয়ার শেষে হিসেব করতে বসে মেয়েটি পেল এক নদী কান্না,
তারপর অনেক হাতড়ে নজরে এলো এক মুঠো শীতের দুপুরের মিঠে কড়া রোদ্দুর।
বলা বাকি রয়ে গেল কত সুখ দুঃখের কথা, জানানোই হল না কত ভালোবাসি।
abhi na jao chhod kar, ke dil abhi bharaa nahi..

 https://www.youtube.com/watch?v=sYsUf3IcSOs&feature=share
দেবল তুমি কী করে ভাবলে যে এতকিছুর পরেও আমি তোমার সাথে কথা বলব?
পিয়া কী হয়েছে টা কি, আমায় বললে তবে না বুঝব।
ইচ্ছে করে না জানার ভান করোনা দেবল। তোমার মা আমার সাথে আজ যেরকম ব্যবহার করেছেন, তারপরেও আমি যে তোমার সাথে কথা বলছি কেন, এটাই ভেবে আমার লজ্জা করছে।
মা? মা আবার কী বলেছে? মা তোমার সাথে বুঝি দেখা করেছে?
নাটক করছ কেনো দেবল? তুমি কি কিছুই জানোনা? জানোনা যে তোমার মা আজ আমাদের বাড়ী বয়ে এসে আমায় এবং আমার মা বাবা কে যারপরনাই অপমান করেছেন?
সত্যি বলছি পিয়া, আমি কিছু জানিনা। মা যে এরকম কিছু করবে, ভাবতেও পারিনি।
আমার জন্য নাকি তুমি টেস্ট পরীক্ষায় অঙ্কে ১০০য় ১০০ পাওনি। আমি নাকি তোমার পড়াশোনার ক্ষতি করছি। তোমার সাথে নাকি আমি এস বি স্যারের নোটসের জন্য ঘুরি।

কী হল চুপ করে আছো কেন দেবল?
দেবল? হ্যালো?


https://www.youtube.com/watch?v=3Mq9mo7eIWs

Friday, November 11, 2016

- প্লীজ আমায় একটা ম্যাঙ্গো মিল্কশেক এনে দে ফ্রিজ থেকে।
- পারব না।
- প্লীজ প্লীজ।
- বললাম তো পারবনা।
- আরে দেখছিস তো একটা কাজ করছি। একবার একটু উঠে এনে দিতে কি হয় তোর?
- excel sheet এ কত কাজ করছিস আর কত অন্য tabএ পায়েলের সাথে flirt করছিস আমার সব জানা আছে।
- বাজে কথা বলিসনা তো। নিজে কি করছিস? খেলছিস তো ওই ক্যান্ডি ক্রাশ। ফ্রিজ থেকে just গ্লাসটা আনতে হত। বানিয়েও রেখেছে এই শর্মা।
- সবই তুই করিস যখন, তখন নিজেই নিয়ে খা না। উহহ কোথাকার কোন নবাবপুত্তুর এসছে আমার!
- বড্ড বাজে কথা বলিস। ওরে বাবা রে, আউচ।
- আস্তে! অন্ধ নাকি? দেখে চলতে পারিসনা? লাগল তো টেবিলের কোণায়? চুপ করে বসে থাক, আমি বরফ নিয়ে আসছি।

- সেই উঠলি, একটু আগে উঠলেই তোর মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল যত।
- it's all about priorities baby! ওরে বাবা, আঙুলটা ফুলে গেছে তো। সত্যি, তোকে নিয়ে যে কি করি?
- জানিসই তো।
- ধুর, অসভ্য।।

Thursday, October 27, 2016

মোহরকুঞ্জ

হ্যাঁ শোনো, আজ বিকেল চারটে নাগাদ মোহরকুঞ্জে এস।
আচ্ছা বেশ। চারটেই ভালো। বাড়ীতে কেউ থাকবেনা, টুক করে বেড়িয়ে পড়ব।
হ্যাঁ তোমায় ছটার মধ্যেই ছেড়ে দেব। তোমার তো আবার পাঁচটা বাজতে না বাজতেই শুরু হয়ে যায় বাড়ী ফেরার তাড়া।
কি করব বল? বাড়ীতে যদি জানতে পারে তোমার সাথে দেখা করতে যাই, আমার অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যাবে।
সে তো বুঝি গো। তাই জন্যই তো অফিস কেটে তোমার সাথে দেখা করতে আসব।
এই আমি না আজ ওই চকলেট সানডে খাব প্লীজ। না করবে না কিন্তু। এই আগে থেকে বলে রাখলুম।
তোমার না ঠাণ্ডা লাগার ধাত?
ও একদিন আইস্ক্রীম খেলে কিচ্ছু হবেনা। তুমি না করোনা।
তারপর যখন টনসিল ফুলে একাকার হবে, বুকে কফ বসবে, তখন এই শর্মাকে তো মনে মনে গাল দেবে। কী দেবে না?
আরে বাবা রে বাবা। একটা আইস্ক্রীম চেয়েছি বলে এত কথা শোনাচ্ছ, পারও বটে তুমি।
আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তোমায় নিজের হাতে আইস্ক্রীম খাওয়াব, হয়েছে? কিন্তু তুমিও আমায় তাহলে একটা কথা দাও?
কী কথা হে?
তুমি আজ ওই ছানা ধোয়া জলের রঙের এমব্রয়ডারি শাড়িটা পড়ে আসবে আজ?
বাব্বাহ! ছেলের দেখি খুব সাজের দিকে নজর!
সেকি কথা। গার্লফ্রেন্ডের রূপের ব্যাপারে, সাজের ব্যাপারে সচেতন হবোনা তো কিসে হব? আজ এসই না, তোমার জন্য একটা খাসা পারফিউম কিনেছি। ওটা দেবো তোমায়।
সিঙ্গাপুর থেকে আমার জন্য মোটে একখানা পারফিউম এর শিশি?
আরে বাবা, এসই না। দেখবে আরও কত কিছু এনেছি তোমার জন্য।
বেশ। ঠিক আছে। দুটো বাজতে যায়। আমি একটু বিউটি ন্যাপ দিতে যাই। দেখা হচ্ছে শিগগিরি।
হ্যাঁ। ফোনটা রাখলাম। বাই।
বাই সোনা।

ঘণ্টাখানেক পর যখন খোঁপাতে কাঁটাটা অ্যাডজাস্ট করে, কাজলটা লম্বা করে টেনে মিসেস ব্যানার্জি উবারে উঠে বললেন মোহরকুঞ্জ চল, ওনার মুখের চওড়া হাসিখানি দেখবার মত ছিল। এক মাস পরে আদরের নাতির সাথে দেখা করতে যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা।
কী গো বেরিয়েছ?
হ্যাঁ রে বাবা, আসছি আর আধ ঘণ্টায়।
নাতির ও যে আর তর সইছে না দিদিমার সাথে দেখা করার জন্য। আজ তো স্পেশাল বান্ধবীর সাথে শ্যামলীর পরিচয়টা করাতেই হবে।
মোড়ের মাথার চায়ের দোকানের রেডিও থেকে ভেসে আসছিল কিশোর কুমারের দরাজ কণ্ঠ। সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। একটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আমেজ গোটা টাউনটাকে ঢেকে রেখেছে। কালী পুজোর প্রস্তুতিতে সকলে ব্যস্ত। ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপ আর মোমবাতির আলো একে একে জ্বলে উঠেছে। ছেলেটি অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে বাস স্টপে। দেখতে দেখতে ছ'টা বেজে গেছে কখন, খেয়ালই করেনি। চিরকুটে তো বিকেল সাড়ে পাঁচটা, ম্যানেজার কোয়ার্টার এর সামনে বাস স্টপ এর কথাই লিখেছিল সে। তাহলে কি তার সব প্ল্যান বাঞ্চাল? আরো প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যখন এল না দীপালী, হেমন্ত একটু দুঃখ দুঃখ মুখ নিয়ে ফিরতে লাগল। দীপালীর জন্য আনা ছাতিম ফুলের তোড়াটা ছুঁড়ে ফেলে দিল কাল্ভারটের নীচে। চা-বাগানের কুলি বস্তির ওখানে খুব হইচই শুনতে পেল বটে, কিন্তু ওর আর ওদিকে যাওয়ার ইচ্ছেই হলনা। দীপালী কি তাহলে মোটেই ওর সাথে কথা বলতে চায় না? ও কি তাহলে ওর মনের কথা একেবারেই বোঝেনা?
সকালে উঠে খবরের কাগজের চারের পাতায় একটা ছোট্ট খবর দেখে আঁতকে উঠল হেমন্ত।
"গতকাল সন্ধ্যেয় ময়নাগুঁড়ির ডামডিম চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর কাছে উদ্ধার হয়েছে এক বছর পঁচিশের যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। মৃতা বিধবা, তার নাম দীপালী মুরমু। পুলিস সন্দেহ করছে ধর্ষণের পর তাকে মারা হয়েছে। মৃতার বাবা চা বাগানের কর্মচারী। ওর একটি চার বছরের মেয়ে আছে। স্থানীয় ইউনিয়ন নেতা শ্রী মাণিক ওঁরাও ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দীপালীর মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন।"
হেমন্তর দুই পা অবশ হয়ে গিয়েছে। এক ঘণ্টা ধরে ও স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে শূন্যে। দীপালীর টানা টানা চোখ দুটি যেন ওকে এখনো টানছে।
শক্তির দেবীর আরাধনার দিনেও আরেক দেবীর জীবনদীপ নিভে গেল।

Friday, October 21, 2016

Karva Chauth debate

My two pennies' worth on the recent trending topic of Karva Chauth:
(P.S. Long post. Do not bother to read if you are genuinely not interested. I sincerely do not welcome comments on the length of the post. You may choose to debate on the content though!)
Since the past few days Facebook has been flooded with posts bashing the ritual of Karva Chauth and also the people who observe them have been often given rude names. "Feminists" have called this an oppression against women folk. Apparently modern women who are educated enough and still observing it are being accused of propagating this "regressive" ritual.
Where have all these activists been when women (and men) have been fasting during Navratri? People fast during Navratri to seek the blessings of God for the welfare of their family. What is it then if women fast for a day (actually, it is not even an entire day) for the welfare of their husbands? Just because it is a tradition that has been followed for years by the Hindus and has no counterpart in Western culture (and hence not validated by the West), one cannot and should not call it regressive.
Whether one chooses to fast or gorge on food, is entirely his/her wish. If one is aware that fasting for a day may lead to health complications, she may be advised not to fast. But at the end of the day, it is her choice. Who are we to brand her and her actions?
As long as one is not causing hurt or inconvenience to others by one's actions, it is absolutely okay to do anything that one wants to (provided of course, it is legal). One can argue that if somebody wants to end his/her life, we should not intervene then. Well, at least in our country, suicide is a crime. So indeed we can and we must intervene.
Equating fasting for Karva Chauth to something as grave as Sati is also not too correct I suppose. Sati was something which was mostly forced. Young widows would be drugged, hands tied and then dragged to the pyre of their dead husbands. Sati involved killing of a healthy individual. Fasting for a day does not kill. Detox regimens often use fasting as a step.
Fasting has been an integral part of Hindu culture and traditions. Branding someone regressive for following a religious belief that is not harmful to individuals is like interfering in a person's religious beliefs. Such brandings, by the same logic, should also be done to people who have vegetarian food on Tuesdays/Thursdays etc. Why then does one need to jump and attack only the tribe of women who preferred to fast for 15 hours? If they find mental peace, let them be! Christians fasting during Lent, Muslims fasting during Ramzaan are acceptable to this tribe of activists; the only problem that they have is if it is some Hindu women who are fasting? Isn't it hypocrisy?
There are numerous other issues that can be addressed right now. For instance, domestic violence. This same brigade which is going out of their way to criticise women for fasting on Karva Chauth would have done a whole lot of good to women and the world by directing their hyperactive energy into solving more pressing issues like domestic violence, child labour, trafficking, etc.
Call me regressive or anything that you want, I will continue fasting before my Ashtami anjali and Bhaifota rituals. At the same time I will also pursue my scientific education. Being modern does not mean uprooting oneself from one's cultural/religious/traditional views.

Wednesday, October 19, 2016

কপোত কপোতী

- আচ্ছা রক্তিম, কবে শেষ হবে বলতো তোর? বাড়ি থেকে খুব তাড়া দিচ্ছে। আমি আর কতদিন ঠেকিয়ে রাখব বলবি?
- আরে সুমি তুই তো সবই জানিস। এই পেপারটা বসের টেবিল ছেড়েই যায়নি এখনো। এই পেপার ছাড়া থিসিসটা কেউ পুঁছবেইনা।
- আমার আর ভালো লাগছেনা। পারছিনা আমি। গত পাঁচ বছর ধরে তোর পড়া আর শেষ হয়না। এদিকে একটার পর একটা আমার জন্য ভালো ভালো সম্বন্ধ আসছে। কাটানোর কোনো অজুহাতই পাচ্ছিনা যে।
- মানেটা কি সুমি? তুই তো পুরো ব্যাপারটা জানিস। বুঝতিসও। তুই আমার চাকরী ছেড়ে PhDতে আসাটাকে এত support দিলি তখন আর আজ এ কি বলছিস? অজুহাত আবার কি? কবে থেকে তো তোকে বলছি কাকুকে বলে দে আমাদের কথা। তা না। মেয়ের জেদ। চাকরী ছাড়া কথা বলা যাবেনা। অদ্ভুত!
- আমি জানি তুই কম খাটছিসনা। কিন্তু বাবাকে বোঝাই কিভাবে।প্রত্যেক মা বাবার মতই আমার মা বাবাও চায় আমি জীবনটা স্বাচ্ছন্দে কাটাই। কোনো অভাব যেন না হয়। আমার জন্য যেখানে লাখ টাকা মাইনে পাওয়া MBA পাস ছেলের সম্বন্ধ আসছে, বাবা কেন তোর আঠাশ হাজারে রাজি হবে। তাছাড়া এর পরে কি করবি, কোন guarantee আছে?
- সুমি এরপরে আমার কিছু বলবার নেই। হাজার কি আর লাখের সাথে পারে? দূরত্বটা অনেকটাই।



মাস ছয়েক পরঃ


রক্তিম একটি ইমেল ছাড়ল সুমিকে।
সুমি আমার এতদিনের পরিশ্রম আজ সার্থক। টপ জার্নালে আমার পেপারটা accept হল আজ। ওদের মেলটা দেখ forward করি।
সাথে সাথে সুমির ফোন।
- রক্তিম, কংগ্রাচুলেশনস।
- Thanks! কেমন আছিস বল।
- ভালো। তুই?
- হ্যাঁ, ভালোই। তুই নেমন্তন্ন করবি কবে?
- কিসের?
- কেন তোর বিয়ের? সেই লাখ টাকার ছেলের সাথে কবে বিয়ের ডেট ঠিক করলি?
- হুম, নেমন্তন্ন করব। আজ একবার বিকেলে দেখা করতে পারবি?
- আজকেই? বেশ, যাব।
- হ্যাঁ, শুভস্য শীঘ্রম।
- আনন্দমেলার সামনে চলে আসিস সাড়ে পাঁচটায়।


যথা সময়ে রক্তিম ও সুমির দেখা হলআনন্দমেলার সামনে।
- বাব্বাহ! বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে এক্কেবারে শাড়ি? তবে যাই বল, ভারী সুন্দর লাগছে তোকে এই সবুজ চিকনে। I always knew, green is your colour, আমার কথা তো কানে দিতিস না। নিশ্চয়ইওই  লাখ টাকা বলেছে! কি নাম ওর?
- অগ্নি। চল দাস কেবিনে, কাটলেট খাওয়াতে হবে।
- অবশ্যই। পেপার হয়েছে, খাওয়াব না মানে?
- অন্য কারণও আছে।
- কি কারণ?
- SSCটা লাগিয়ে ফেলেছি আমি। সেই আনন্দে খাওয়াবি!
- ওরে শালা! এ তো বিশাল খবর। Congratulations রে।
- Thanks, আচ্ছা শোন, ভালো কথা। আমার বাবা মা তোকে একবার যেতে বলেছে। রবিবার ফ্রী আছিস?
- সে আছি, কিন্তু কেন, হঠাৎ?
- সে কি? হবু জামাই কে নিজেদের মুখে মেয়ের চাকরীর খবর দেবে না?
- লাখ টাকা আসবে তাতে আমায় ডাকার কি আছে? সেই যেচে অপমান করবি?
- ইডিয়ট। তুই ভাবলি কি করে যে আমি লাখ টাকা দেখে মত পালটাবো? যাত্রাপালা মার্কা শোনালেও, ভালো যখন বেসেইছি, ছিনে জোঁকের মত লেগে থাকব। অত সহজে ছাড় পাবি না! আর হ্যাঁ, ওই মেলোড্রামাটিক কবিতাগুলো এবারে লেখা বন্ধ করিস প্লীজ ফেসবুকে। জাস্ট নেওয়া যায় না। কেন যে তোকে কেউ বারণ করেনি।
- চলো, ইস বাত পে এক স্কুপ আইস্ক্রীম হো যায়ে! মোগাম্বো খুশ হুয়া!



বিসর্জন

-রাণা আমাদের সম্পর্কটা দুই বাড়ি থেকেই মেনে নেবেনা যে।
-মিতা তুমি কেন এত উতলা হচ্ছ? আমার তো একটা চাকরী আছে। আর তুমি কয়েকটা টিউশনি করো। ঠিক ম্যানেজ হয়ে যাবে।
-রাণা আমার খুব ভয় করছে।
-এক বস্ত্রে চলে এস। আমরা কালীঘাটে বিয়েটা সেরে নেব। আমার মা প্রথমে রাগ করলেও পরে ঠিক মেনে নেবে। বোনটি মাকে বোঝাবে।
-কে জানে রাণা। আমার যে...

কিছু মাস পর।

-রাণা প্লীজ আজ না। আজ আমি খুব টায়ার্ড।
-আমাকে আর আজকাল তোমার মনে ধরেনা, না? পলাশের মতো বাইসেপ নেই বলে নাকি?
-রাণা কী বলছ কি?
-চুপ কর হারামজাদী মাগী। বাপ তো একটা টাকাও খরচা করলনা। ফ্রীতে পাড় করে দিল। আবার বেশী কথা।
-মুখ সামলে রাণা।
-যাচ্ছিস কোথায় শুনি? পলাশের ঘরে? নাকি সানির?
-হাত ছাড়ো রাণা।
-ছাড়বোনা। কি করবি? দেখবি আজ আমার পৌরুষ। চল শালী।


দুদিন পরের আনন্দবাজারের হেডলাইন " দেবীপক্ষে অন্তত ৬ বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু।"
বাহ্! কী মিষ্টি গাস রে তুই। মেয়েকে দেখ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাসছে কী সুন্দর।
হ্যাঁ কাকীমা ওই আর কি একটু আধটু যেটুকু পারি যা। দিদি হারমোনিয়ামে যখন রেওয়াজ করত, আমি শুনতাম তখন।
তাতেই কি ভালো গাইছিস। রবীন্দ্রসংগীতগুলো অপূর্ব টান দিয়ে করেছিস।
ওই রেডিও শুনতাম সন্ধ্যেবেলা মায়ের সাথে রান্নাঘরে বসে। আমি না তুতুলকে গানটা শেখাব। খুব ইচ্ছে ছিল আমার, অভাবের সংসার.. আর হয়ে ওঠেনি।
মা প্লীজ একটা গান কর। আমি ফোনে রেকর্ড করে রাখব।
না না আমার গলা উঠবেনা।
না প্লীজ কর। একই গান আমিও করব। তারপর বাবা শুনে বলবে কোনটা বেশী ভালো।
আচ্ছা বেশ। কোন নীচু স্কেলের গান বল।
মা মেয়ে পরপর গাইল,
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে।।
কী ভালো গাইলি তুতুল। খুব সুন্দর।
ইয়ে! আমি জিতলাম তাহলে।
অদ্ভুত এ গানের লড়াই। দুই প্রতিযোগীরই জয়।

কোজাগরী

" মা আমি আসছি তাহলে। আপনার পুজোর সমস্ত জোগাড়যন্ত্র করে দিয়েছি। কোজাগরের জল, প্রসাদী ফল, ফুল সব গুছিয়ে রেখে গেলাম। ছোট আল্পনা আঁকছে। আপনি প্লীজ কিছু মনে করবেন না। আমায় এখন বেরোতেই হবে। কাজটা শেষ করেই ফিরে আসব। "
" এটা তুমি ঠিক করলে না রমা। লক্ষ্মীপুজোর ভর সন্ধ্যাবেলা বাড়ীর বড় বৌ থাকবেনা, এ আমি সাত জন্মে শুনিনি বাপু। তা ছাড়া বাড়ির পুজোয় সব সময় তো তুমিই পাশে পাশে থাকো আমার। হঠাৎ করে এই বছর অন্যথা হলে হয় না কি? "
" আমার কিচ্ছুটি করার নেই মা। আমি একদম নিরুপায়। "
ঘড়ি হাতে মোবাইলটা ব্যাগে ভরে রমা বেরোতে বেরোতে শুনতে পেলেন শাশুড়ির গজগজ।
" যত সব অলক্ষ্মীর দল জোটে আমারই সংসারে। হুহ্। "
তিক্ত মুখ নিয়েই হাসপাতালের গাড়ীতে উঠলেন ড: রমা মিত্র। একটা বার্ন কেসের মেয়ের জরুরী অপারেশনটা যে সারতে হবে আগে। ওসব লক্ষ্মী অলক্ষ্মীর বিচার অপাতত স্থগিত থাকুক। পরে হিসেব করলেও চলবে।

মেঘের আড়াল সড়ে গিয়ে কোজাগরী চাঁদের আলো তখন আকাশের এক কোণ থেকে ঝলমল করছে; ঘরে ঘরে শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ওই পাড়া।

পুজো শুরু

চোখের কোণ থেকে বাড়তি আইলাইনারটা আলতো করে তুলো দিয়ে তুলতে গিয়ে ধেবড়ে ফেলল তুতুল। ধুর, একটু যদি সাজগোজটা পারত ঠিকঠাক। এই জন্যই তো ব্লু শার্ট ফিরে তাকায় না ওর দিকে। ব্লু ফর্মাল শার্ট পড়লে যে ছেলেদের এত হ্যান্ডসাম লাগে, উফ!  যাই হোক, ক্লাসের দেরী হয়ে যাবে বলে, কোনমতে স্মাজড্ লুক বানালো, আর ঠোঁটে লাগাল রুবি রেড লিপগ্লস। একবার ভাবলো কলেজের পক্ষে সাজটা বুঝি একটু বেশী হল নাকি। তারপরে ধুস, আজ তো পঞ্চমী , পুজো এল বলে, থাক এইটুকু, এই ভেবে এরপর কানে পড়ল ওর খুব প্রিয় একখানা ঝুমকো দুল। গত পুজোয় হাতিবাগান থেকে কেনা এইটি তার অন্যতম ফেভারিট। তবুও সাজটা মনের মত কিছুতেই লাগলনা। কেউ ঘুরে আদৌ তাকাবে? তবে দশটা দশের ম্যাথ্স পাসের ক্লাসটা করতে গেলে কিন্তু এখন বেরোতেই হয়।
অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে তুতুলের উৎসুক চোখ খুঁজছিল ব্লু স্ট্রাইপ্ড শার্টকে। নিত্যনৈমিত্তিকের অভ্যেস। কোনদিনও যেচে একটা কথাও বলেনা, কিন্তু দুজনেই দুজনের উপস্থিতি দিব্যি টের পায়। লাইন যখন প্রায় কমে এসছে, হঠাৎ একটা ঝাঁ চকচকে বাইক নিয়ে তুতুলের সামনে এসে দাঁড়াল নেভি ব্লু শার্ট।
"আসুন আপনাকে কলেজের সামনে ড্রপ করে দিই।"
একটা ফুরফুরে মন, মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ফার্স্ট বেঞ্চে বসা তুতুলের দিক থেকে কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছিলনা পাশের রো'তে বসা সাত্যকি। ওর জন্য পুজোর প্রতিমাদর্শন আজই শুরু হয়ে গেল।

শুভ বিজয়া

সেদিনও একটা সাদা কুর্তা পাজামা পড়ে হাসপাতালে যাচ্ছিল মৈনাক। পাঁচমাথার মোড়ে এসে দেখে একটি স্কুটি উল্টে আছে, পাশে এক তরুণী রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে। লোকে দেখেও না দেখে চলে যাচ্ছে নিজের কাজে। মৈনাক পাঁজাকোলা করে সেদিন মেয়েটিকে হাসপাতাল নিয়ে যায়। সাদা কুর্তা রক্তে লাল।
"কই গো দেখি, প্রণামটা করি বিজয়ার।"
দেবীবরণ করে এসে ঝিনুক পা ছুঁলো স্বামীর।
"সিঁদুরমাখা মুখখানিতে তোমায় বড় মায়াবিনী লাগে। নতুন করে বারবার তোমার প্রেমে পড়ি আমি।"
"ধ্যাত, এ তোমার বছর বছরের এক কথা। আমার ভারী লজ্জা লাগে।"
বলতে বলতে ঝিনুক মৈনাকের বুকে মাথা গুঁজে দিল। এইভাবেই দশটা বছর কেটে গেল, মৈনাকের সাদা জামা প্রতি বিজয়া দশমীতে লালে লাল হয়ে যায়।।