Monday, October 16, 2017

একটি সাংসারিক গপ্পো (কহানী ঘর ঘর কি )

সকাল ছটার এলারমে ঠিক রোজের মতই আজও ঘুম ভেঙ্গে গেল বিদিশার। টের পেল, বাইরে তখনো বৃষ্টি পড়ছে। সারা রাত ধরে গ্যারেজের টিনের চালে সমানে টিপটিপ টাপটুপ করে পড়েই চলেছে। ছোটবেলায় এরকম সারাদিন বৃষ্টি পড়লেই সে কী আনন্দ বিদিশার, "মা আজ কিন্তু রেইনি ডে, আজ স্কুল যাব না।" সারাদিন তারপরে মা মেয়েতে কত গান, কত গল্প কত বইয়ের রাজ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলত। এখনো সখ হয় তো আগের মতোই, শুধু পূর্ণ হয়না। পাঁচটা মিনিট বাড়তি শোয়ার অবকাশ নেই, ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে কাজ করে যেতে হয়। পাশে শোয়া অর্ঘ্যর যাতে এতটুকু ব্যাঘাত না ঘটে ঘুমের, আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে উঠল বিদিশা। হাত মুখ ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরের দিকে গেল, শুরু হবে আবার একটা নতুন দিনের যুদ্ধ। সারা রাত যা বৃষ্টি হয়েছে, কাজের লোকেরা কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছেনা, বাড়তি কাজ হল। গ্যাসে চায়ের জলটা বসিয়ে বিদিশা ফ্রিজ থেকে সারাদিনের রান্নার জন্য সব্জি বের করতে লাগল। শ্বশুরমশাই আর অর্ঘ্যর লাঞ্চ, টুকাইয়ের টিফিন, ননদ মিন্তির ব্রাঞ্চ, টুকাইকে স্কুলের জন্য তৈরি করা...সব করতে করতে কখন যে সারাটা সকাল কেটে যায়, খেয়ালই পড়েনা। আগে বাপের বাড়ি থাকতে দুটো খবরের কাগজ না পড়ে দিন শুরু হত না যে মেয়ের, সে এখন খবরের কাগজ দেখে বোধহয় সংবাদ বাসি হয়ে যাওয়ার পর।
ট্রে করে চায়ের কাপ নিয়ে শ্বশুর শাশুড়ির ঘরে এলো বিদিশা। বউমার হাতের চা না খেলে ওনাদের দিন শুরু হয় না। টুকাই তার দাদু ঠাকুমার কাছে রাত্রে থাকে, এইবারে মায়ের ডাকে রোজের মতই ঘুম থেকে ওঠা নিয়ে শুরু হল এক প্রস্থ লড়াই।
" থাক না বিদিশা, একটা দিন একটু ঘুমোক না ও।"
" না মা, আর ঘুমোলে স্কুল বাস মিস করবে। কে আবার পৌঁছোতে যাবে ওকে তখন বলুন? একেই যা বিচ্ছিরি ওয়েদার।"
" ওই জন্যই তো বলছি, ওকে আজ রেইনি ডে করে দাও না। একদিন স্কুল না গেলে কিচ্ছু হবে না।"
" হ্যাঁ বউমা, কি সুন্দর শুয়ে আছে আরাম করে। একটা তো দিন। আমরা ছোটবেলায় কত এরকম স্কুল কামাই করতাম বৃষ্টি হলেই।"
" সে তো আমিও করতাম বাপি। তবে আপনার ছেলেকে বলুন। ও রাগারাগি করবে শুনলে।"
" চিন্তা করো না বউমা, তোমার শাশুড়ি বলবে বাবুকে। কি, বলবে তো? "
" হ্যাঁ, বাবু উঠেছে? ওকে পাঠিয়ো এই ঘরে। ইন ফ্যাক্ট, আমার একটা প্রস্তাব আছে।"
" কী প্রস্তাব মা?"
" আজকে সবাই রেইনি ডে পালন করবে। কেউ কাজে বেরোবে না। স্কুল কলেজ অফিস সব ছুটি।"
" ওরে বাবা, এ তো বেশ যুগান্তকারী আদেশ মা। "
" তুমি পাগল হলে নাকি ঝুমুর? টুকাইয়ের ওপর না হয় এই ফরমান চলতে পারে, আর কেউ মানবে নাকি?"
" অবশ্যই মানবে। বাবুরটা আলাদা ব্যাপার। কোন ইম্পরট্যান্ট কেস থাকলে ওকে ছেড়ে দেব। নইলে আর কেউ না। তুমি কাল বাদে পরশু রিটায়ার করতে বসেছ, এখনো এত কী? আজ একটা সি এল নেবে। মিন্তি রোজ এত কত ক্লাস করে, আমার সব জানা আছে। আজ তাই ডুব দেবে। এই বলে দিলাম। "
" আপনার আর আজ অফিস যাওয়া হল না বাপি। দাঁড়ান। আমি আপনাদের ছেলেকে পাঠাচ্ছি এই ঘরে। আপনারা বলুন। আমি রান্নাঘরে যাই। প্রচুর কাজ। টুকু ঘুমো তুই আরো। "


নিজেদের বেডরুমে এসে অর্ঘ্যকে ঘুম থেকে তোলাটা আরেক পর্ব যেন যুদ্ধের। যেমন বাবা, তেমন ছেলে, দুজনের কেউই সকালবেলা উঠতে চায় না। প্রায় দশ মিনিট চেষ্টা করার পর যখন অর্ঘ্য চোখ খুলল, বিদিশা বলল, " শোনো, মা আজ রেইনি ডের ফরমান জানিয়েছেন। সবার ছুটি। "
" মানে? টুকাই কে রেডি করেছো?"
" আরে সেটাই তো বলছি। মা বলে দিয়েছেন আজ সবাই বাঙ্ক করবে স্কুল কলেজ অফিস। তোমায় ও ঘরে ডেকেছেন। যাও। টুকাই এখনো ঘুমোচ্ছে। "
" সে যা ইচ্ছে বলুক মা। আমার ওসব সুযোগ নেই। টুকাইয়ের স্কুলটা মিছিমিছি কামাই করালে। "
" আমায় বলছ কেন? মা বাপিকে বল! "
"  হুম, যাচ্ছি। তুমি তাহলে আমার চা আর টেলিগ্রাফটা ওই ঘরে এনে দাও। "
" হ্যাঁ। আসছি। "


" কী ব্যাপার মা? আজ নাকি তুমি সবার ছুটি ডিক্লেয়ার করেছো? "
" হ্যাঁ, করেছিই তো। এরকম ভালো ওয়েদার, একটু বাড়ি বসে আরাম করতে কী হয়? "
" ওইসব আরাম ইত্যাদি তোমাদেরই হয়। আমার হবে না। আমি হসপিটালে না গেলে হবে না। "
" বেশ, তুই যাস। নেহাত পেশেন্টরা তোদের মুখ চেয়ে বসে থাকে, নইলে ছাড়তাম না তোকেও।  যত তাড়াতাড়ি পারিস ফেরত আসিস। আমরা বাকিরা আজ এঞ্জয় করব। "

ইতিমধ্যে মিন্তির ঘুম ভেঙ্গেছে, বৌদির কাছে শুনেছে মায়ের এই অদ্ভুত বিধান। আজ কি না সুজিতের সাথে সিনেমা দেখতে যাবে ভেবেছিল, এমনিও ক্লাস কম আজ। মা যদি কলেজ যেতে না দেয়, তাহলে সেই প্ল্যান ক্যান্সেল। সুজিত বেশ রেগে যাবে, জানে। দেখা যাক, মা কে রাজি করানো যায় কি না। ব্রাশ করে মা বাবার ঘরে এলো মিন্তি। সেখানে ইতিমধ্যে ভাইপো টুকাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। স্কুল যেতে হবে না শুনে ভারী আনন্দ তার। ঘরময় ছোটাছুটি করছে। ওরই সব চেয়ে যেন মন ভালো। বাবার মিশ্র অভিব্যক্তি, বোধহয় অফিসের শেষ কটা মাস জমিয়ে কাজ করে গল্প করে কাটাতে চান সহকর্মীদের সাথে। বৌদির অবশ্য মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সপ্তাহের মাঝে একটা হঠাৎ করে আসা ছুটির দিনের আগমনে খুব খুশী না, আসলে হবেই বা কী করে। সকলে বাড়ি থাকলেই তো বেচারির ওপর একটার পর একটা অর্ডার আসতে থাকে। দাদার লুচি আলুর দম চাই তো বাবার দিনের মধ্যে পনেরো বার চা। মায়ের পুজোর ঘরে হাজারটা দরকার, মিন্তির নিজেরই বা কম আবদার থাকে না কি? নেল পেন্ট লাগানো থেকে মাথায় হেনা করা, বৌদি ছাড়া কে বা করবে। এর ওপর আবার টুকাইয়ের পিছনে পিছনে সারাদিন দৌড়াদৌড়ি। আহা রে, মা যে কী করে না!

" মা, তুমি না কি কীসব মাস বাঙ্কের নিয়ম করেছো আজকের জন্য? বৌদির কাছে শুনলাম।"
" হ্যাঁ, আজ রেইনি ডে পালন হবে। তোমার বাবা ভাইপো সবাই ছুটি নিলো। তুমিও কলেজ যাবে না আজ। দাদা নেহাত রুগী দেখবে, তাই আটকাতে পারলাম না। "
" কিন্তু মা, আমার যে ক্লাস আছে কয়েকটা আজ। খুব ইম্পরট্যান্ট টপিকস চলছে। "
"  কী যেমন?  জুড়য়া ২ নাকি গোলমাল? "
" ধ্যাত, যত বাজে কথা। "
" আহা, আমি কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না কি?"
" আরে না, আজ স্ট্যাট মেকের কয়েকটা ইম্পরট্যান্ট লেকচার আছে। মিস করা যাবে না। প্লীজ বোঝো। "
" শোন, বই খুলে পড়ে নিবি নিজে। না বুঝলে ক্লাসমেটদের থেকে কাল বুঝে নিস। আজ ছুটি, বলে দিয়েছি, ব্যস। এর আর অন্যথা শুনব না। "
" মা তুমি না! আরে আমরা বাড়িতে থাকলে বৌদির ওপর এক্সট্রা কাজের হ্যাপা হয়। কেন বেচারীকে প্রেশার দিচ্ছ? "
" এই না না ননদিনী, আমার কোন অসুবিধেই হবে না। থাকো না বাড়ি। বাপি আর টুকাই আছে। তুমিও থাকো। ভালো হবে কিন্তু। তোমার দাদাকেও বলো যত তাড়াতাড়ি পারে, ম্যানেজ করে চলে আসতে। সবাই মিলে বেশএকটা ছুটি কাটানো যাবে। "

" এই মিন্তি, তখন থেকে পটর পটর করে চলেছিস। চুপ কর। আমার একটা প্ল্যান আছে। বলছি শোন। আগে বোস এখানে। বাবু তুই যাবি না এক্ষুনি, আগে আমার কথা শুনে যা। বিদিশা তুমিও বসো। "
" মা অনেক কাজ বাকি। ওর টিফিন বানাতে হবে। "
" তুমি আগে বসো। শাশুড়ির মুখে মুখে আবার কথা, ভারী পাজি বৌ তো! "

মিন্তির ফিচকে হাসি দেখে শাশুড়ি একবার কড়া নজর দিলেন, তারপরে আবার শুরু করলেন বলা। " প্রতিদিন আমাদের বিদিশা তো খেটে খেটে একসা হয়ে যায়। মেয়েটার তো কোন ছুটিই হয় না। আজ আমরা সব্বাই মিলে ওকে ছুটি দেব। "
" হয়েছে! দেখেছো বৌমা? তোমায় ছুটি করে দেবে তোমার শাশুড়ি। কাল সিরিয়ালের সময়ে বিরক্ত করেছো, এই তার পানিশমেন্ট। "
" থামবে? আমায় কথা শেষ করতে দাও।" এই বাড়িতে ঝুমুর মুখোপাধ্যায়ের কথার ওপর এখনো অবধি কেউ কথা বলতে পারে না, সে তার স্বামী, এত বড় পোস্টের বি সি এস অফিসারই হোক, কি ছেলে যে কিনা মস্ত বড় ডাক্তার। তাই ঝুমুর দেবী নিজের মত করে আবার বলা শুরু করলেন।
" আজ আমি আর মিন্তি মিলে রান্নাবান্না করব। বাবু তুই কখন আসতে পারবি বল? "
" আমার যদি হঠাৎ করে এমারজেন্সি কোন কেস না আসে, তাহলে দুটোর মধ্যে ম্যানেজ হবে মনে হয়। '
" বেশ, তাই আসবি। আসার পথে কিছু জিনিস বলে দেবো, নিয়ে আসবি।"
"কী?"
" কিছু পছন্দের খাবার আমাদের বিদিশা রাণীর জন্য। "
" আচ্ছা। তা আজ কি বৌমা ষষ্ঠী না কি?"
" একটা মার খাবি। ৩৬৫ দিন যখন ও সবার জন্য এত করে, তখন কেউ জিজ্ঞেস করিস যে আজ কী উপলক্ষ্য? "
 ডঃ অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ের মাথা হেঁট হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। বিদিশা বেশ অপ্রস্তুত হয়ে বলে ওঠে, " আহা মা, ও তো আমি করি সংসারকে ভালোবেসে। এসব কথা উঠছে কেন। থাক না। "
" না থাকবে না বিদিশা। সবার চেতনা হওয়াটা দরকার। তুমি না থাকলে দেখতাম সবাই কে কী করে নিজেদের বাইরের জগতটা সামাল দিত। "
" ঠিকই বলেছ গিন্নি। চলো আজ আমরা মেয়েটাকে সেলিব্রেট করি। "

খেলতে খেলতে কানে হঠাৎ টুকাইয়ের কানে ঢুকল " সেলিব্রেট" শব্দটি, সঙ্গে সঙ্গে ও জিজ্ঞেস করে উঠল, " আজ কি মাম্মামের জন্মদিন ঠামি? আজ কিসের সেলিব্রেশন? "
" আজ আমরা তোমার মাম্মাম কে ভালোবাসি বলে সারাদিন মাম্মামকে সেলিব্রেট করব। ওকে? "
" ওকে!"
" শোন, তুমি বসে থেকো না তো ঠায়। যাও ছাতা মাথায় দিয়ে বাজারে যাও। আমি কিছু ফর্দ করে দিচ্ছি। নিয়ে এসো। "
" এই বৃষ্টিতে দোকান বাজার বসবে না মা। আজকের দিনটা থাক না। যা যেমন আছে, সেই দিয়ে করে ম্যানেজ করে নিই। এসব সেলিব্রেশনের দরকার নেই কিন্তু কোন।"
" খুব আছে। তুমি চুপ করে বসো তো। তোমায় যদি আজ কাজ করতে দেখি একটুও তো দেখো কী করি আমি। "

" হ্যাঁ বাবা, মা কে রাগিয়ো না। " ফুট কাটল মিন্তি।
" স্পেন্সারস, মোর সব খোলা। আমি যেমন লিস্ট করে দিচ্ছি, তেমন আনো জিনিসপত্র। আমি আজ রান্না করব। আর হ্যাঁ, বিশুর দোকান থেকে জিলিপি আর কচুরি এনো, ওটাই ব্রেকফাস্ট। তাড়াতাড়ি এস, বাবুকে বেরোতে হবে খেয়ে।"

" এই দাদা, জলদি আসবি। একসাথে খাবো। তারপরে সিনেমা দেখবো। নেটফ্লিক্সে ভালো কিছু সিনেমা এসছে রে। "
" ঠিক আছে রে, চেষ্টা  করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসার। "


সেদিন সকালের ওই হেভি ব্রেকফাস্টের পর অর্ঘ্য হাসপাতালে চলে যাওয়ার পর বাকি সবাই মিলে শুরু করল কত গল্প আর গান। অনেক দিন বাদে গলা ছেড়ে গান গাইলও বিদিশা, সংসারের ঠেলায় তো গানের পাট এতদিন উঠেই গিয়েছিল। মিন্তি আবার ফেসবুক লাইভও করল ওদের গানের আসর। সেখানে কত লাইক আর কমেন্ট। বিদিশার বোন অস্ট্রেলিয়া থেকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেও ফেলল, " দিদি তোকে আজ কী খুশী দেখাচ্ছে রে। দারুণ। চালিয়ে যা। আমি মা বাবা কে রাত্রে বাড়ি ফিরে দেখাবও ভিডিয়ো।"
" রাত্রে কেন রে মলি? আমি এক্ষুনি বেয়াই কে স্কাইপে ডাকছি। ওনারাও শুনুন নিজেদের মেয়েকে। "
দুপুরবেলা অর্ঘ্য এলো আরসালান থেকে বিরিয়ানি আর মঞ্জিনিস থেকে বিদিশার পছন্দের ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক নিয়ে। ইতিমধ্যে শাশুড়ি মা বানিয়ে ফেলেছিলেন মটন চাপ ফিস ফ্রাই আর পেঁপের চাটনি। আহা, কতদিন পরে এমন সুন্দর খাওয়াদাওয়া করল বিদিশা, এমন আরামে। রেঁধে বেড়ে তো ওই খাওয়ায় সকলকে, আজ এতদিন পর কেউ ওকেও এত যত্ন করে খাওয়াল। তারপরে সবাই মিলে একসাথে ওদের প্রিয় সিনেমা দেখল। বিকেলের দিকে বৃষ্টিটা একটু ধরতে হই হই করে ওরা বেরোল কাছের শপিং মলে। চলল জমিয়ে কেনাকাটা, প্রত্যেকের জন্য। তারপরে রেস্টুরেন্টে খেয়ে রাত্রে যখন ওরা ছয়জন ফিরল, প্রত্যেকেই ক্লান্ত। তবে এ ক্লান্তি মধুর, এ আনন্দের, সারাদিন একে ওপরের সাথে কাটানোর মজাই আলাদা। কাজের ফাঁকে কেউই তো আজকাল একে অপরকে তেমন সময়ে দিয়ে উঠতে পারে না। নিয়মের মধ্যে চলতে চলতে সবাই হাঁপিয়ে ওঠে।  আজ হঠাৎ সেই বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙ্গে কেমন আনন্দে দিন কাটল ওদের। এর জন্য ঝুমুর মুখোপাধ্যায় আর বরুণদেবের সব কৃতজ্ঞতা প্রাপ্য। রেইনি ডের মজা যে এখনো নেওয়া যায়, তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পেল আজ মুখোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যরা। আজ বিদিশার মুখের থেকে হাসির রেশ যেন যেতেই চাইছেনা। লেগে থাকুক এই অমলিন হাসি, চিরকাল। মাঝে মাঝেই এমন ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আনন্দের স্বাদ পাক ওরা সবাই। 

No comments:

Post a Comment