#নিজস্বীতে_আত্মপ্রকাশ
গুরুদেবের একটি লেখার দ্বিতীয় পর্ব আমি লিখেছিলাম, সেইটা যাতে আপনারা সকলে পড়তে পারেন, সেই জন্যই মূলত আত্মপ্রকাশে আমার আসা। আর ব্যস, তারপরে তো... এই একটা এত্ত বড় পরিবার পেলাম, সে যে কী আনন্দ আমার! নিজে ছোট যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে গল্প করে গল্প শুনে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। বলা যায়, শুধু কিছু সমমনস্ক মানুষ পেয়ে গেলেই আমি যে সেই বকবক শুরু করব, যে কোন রেডিয়ো ষ্টেশনের আর জে হার মেনে যাবে! আর তাই আত্মপ্রকাশে দিনের মধ্যে অন্তত সাত আটবার ঢুঁ মারাটা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সকলের লেখা পড়ি, অনেক সময় কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনা (আমি আদপে খুবই অলস কি না, এই আলস্যের জন্যই আমি এখনো চেন্নাইতে পড়ে রইলাম। নইলে তো এতদিনে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে যেতাম, সলমা মাসীর মত অত এলেম নই, তাই প্লুটো অনেকটা বেশী দূর।), কিন্তু অবশ্যই পড়ি। কবিতা তেমন বুঝিনা, তবে গল্প (যে কোন সাইজেরই হোক, গোগ্রাসে গিলি। হ্যাঁ খেতে যে বড্ড ভালোবাসি, আমার সাইজ দেখেই বুঝবেন। ও সরি, কী করেই বা বুঝবেন, ছবি তুলি যখন নিঃশ্বাস চেপে ভুঁড়ি কমানোর মোটামুটি successful attempt নিয়েই ছবি তোলাই যে)
নাম মনে রাখতে পারিনা সহজে, যদি না খুব বেশিভাবে interact করি, বা সামনাসামনি আলাপ হয়, তাই হয়তো সকলের নাম নিয়ে বলতে পারছিনা। এই ইভেন্টটা খুব মনে ধরেছে, অন্তত ডিপির আড়াল থেকে বেড়িয়ে অনেকজনকে দেখবো, চিনব।
এই রে, দেখলেন তো, already বকবকের সুযোগ পেয়ে কিরকম bore করা শুরু করে দিলাম? আর তেমনি কিরকম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করলাম? আসলে মাধ্যমিক থেকেই এই অবস্থা। পঃবঃমঃশিঃপঃ (আরে ধুর, ওই যে, State Board) এ পড়লে সুস্থ মানুষেরও হাল এইরকম হয়। তার ওপরে আবার শহুরে কনভেন্ট ইশকুলে পড়লে এমনিই এটা বেড়ে যায়। কুড়িয়ে বাড়িয়ে পরীক্ষায় নম্বর তুলতে গেলে এই হ্যাজানোটা পুরো রক্তে মজ্জায় ঢুকে যায়, আমিও তার কোন ব্যতিক্রম নই। সারাংশ আর ভাব সম্প্রসারণের প্রশ্নে ১০ নম্বর থাকত, কয়েকবার পাথফাইন্ডারের পরীক্ষায় সারাংশ লিখবার চেষ্টা করলাম, নিয়ম মত তো ১/৩ হওয়া উচিত লেখার মাপ, আমার হল গিয়ে ১৩ গুণ। তারপর থেকে আর কোনদিনও চেষ্টা করার দুঃসাহস দেখাইনি। এক্কেবারে পাতার পর পাতা লিখে যেতাম। এখনো সেই অভ্যেস যায়নি। প্রথম প্রথম বাংলা টাইপ করতে কষ্ট হত, অনলাইন একটি সাইট থেকে লিখতাম, তারপর লিনাক্সে অভ্র লাগালাম। আর কি! মাঝে মাঝেই আপনাদের বিরক্ত করে মারি।
এত কিছু বলার পরেও এখনো বললাম না প্রশ্নপত্রের সব উত্তর। ধুর ধুর, প্লীজ adminরা আমার নম্বর কাটবেন না। এত বছরের অভ্যেস কি না।
১। আমি আসলে দক্ষিণ কলকাতার মেয়ে। কিন্তু উত্তর খুব টানে। (জানি না কেন, জাতিস্মর নই, তাই confirm করতে পারছিনা আগে থাকতুম কি না ওই ঠনঠনিয়া চত্বরে)
২। আপাতত থাকি চেন্নাইতে। একটি জঘন্য বিষয়ে (না না বিষয়টা ভালো, আমার আজকাল একঘেয়ে লাগে) রিসার্চ করি। বছরখানেকের মধ্যে ডিগ্রী লাভ করতে চাই।
৩। বই পড়তে, গান শুনতে, খেতে, লোকজনকে ধরে জ্ঞান দিতে আমি ওস্তাদ।
৪। বেড়াতে ভালোবাসি।
৫। ছবি তুলতে ভালবাসি। প্রচুর চেষ্টা করে টাকা পয়সা জমিয়ে জন্মদিনে একটি DSLR কিনলাম, কিন্তু এখনো ৬ মাস পরেও Auto modeএ ছবি ওঠাই।
৬। অল্প বিস্তর লিখি আর রোজ গান গাই।
৭। বন্ধু পাতাতে পারি মোটামুটি।
৮। কুকুর বিড়াল দেখলেই আদেখলাপনা চাগাড় দিয়ে ওঠে।
৯। আমি খুব খুব ভীতু, রাত বিরেতে হোস্টেলের অন্ধকার করিডোরে একা বেরোতে খুব কষ্ট হয়।
থাক, দশ নম্বরটা না হয় বললাম না আর। সব বলে দিলে একেবারে তাহলে আর কি হবে??
আচ্ছা থাক, ১০ নম্বরটা বলেই দিই, অত ভাও খাবও না, সবে কেক আর মাইসোর পাক খেয়ে গুরুভোজন করলাম। খিদে নেই আপাতত।
১০। সিনেমা কেবলমাত্র শাহরুখ খানের হলে, তবেই আস্ত দেখি, তাও হলে। নইলে সব সিনেমা হয় ডাউনলোড করে (অপরাধ, আজকাল কমিয়ে ফেলেছি), Amazon Primeএ বা Youtubeএ দেখলেও গান স্কিপ করে যাই। অত ধৈর্য নেই যে, কি করব!
ব্যস, প্লীজ, অনেক লিখে ফেলেছি। আর পারছিনা। এবার বাকিদের গুলো পড়ি। আর হ্যাঁ, প্লীজ, আমায় ক্ষমা করবেন এত লম্বা essay লিখলাম বলে। মানে লেখাটা ঠিকঠাক হলে কিছু না, এটায় কোনরকম সারমর্ম নেই কি না, তাই।
আচ্ছা, টাটা।
পুনশ্চঃ ছবিটি গত শনিবার দুপুরে আমার ডিপার্টমেন্টের নীচে বাগানে pose দিয়ে তোলা। হলুদ আমার প্রিয় রঙ (হলুদ রঙের চশমার ফ্রেম অর্ডার দিলাম গতকাল), তাই সেই ছবিটিই দিলাম।
ডবল পুনশ্চঃ আত্মপ্রকাশকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা (এত বাজে বকতে গিয়ে আসল কথাই লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম)
ট্রিপল পুনশ্চঃ গুরুদেব মানে আপনাদের সকলের প্রিয়পাত্র, আপনাদের হিরো, শ্রীযুক্ত অর্ণব ভৌমিক (যার পপ্যুলারিটি অর্ণব গোস্বামীর চেয়ে কোন অংশে কম না। পুনশ্চ ৩ক।দুজনেই খুব প্রিয় আমার :) )
No comments:
Post a Comment