Monday, October 22, 2018

Post Pujo হ্যাঙ্গাম

পুজো শেষ। কদিনের হইহুল্লোড়ের পর বাচ্চাগুলো মামাবাড়ি থেকে ফিরেছে। একটুও ফাঁকি মারার জো নেই। এতগুলো বই নিয়ে এসেছে মামাবাড়ি থেকে, পড়ার এখন স্কোপই নেই। স্কুল খুললেই পরীক্ষা। আর তাই সারাক্ষণ মায়ের চোখ রাঙানি।

মায়ের কড়া অনুশাসনে ছেলেমেয়েগুলো এতদিন পর সবে আবার বই নিয়ে বসেছে। একগাদা পড়া বাকি। হোমওয়ার্ক রয়েছে। সিলেবাসও এগিয়ে রাখতে হবে। মায়ের হাতে শারদীয়া পত্রিকা। মাঝে মাঝে চায়ের কাপ থেকে এক এক চুমুক দিচ্ছেন আর বইয়ের পাতা থেকে মুখ তুলে বাচ্চাগুলোকে দেখে নিচ্ছেন। "পড়ছিস তো? পরীক্ষায় যেন একটাও যেন সিলি মিস্টেক না হয়। মন দিয়ে পড় বাবা।"

এদিকে পাশে রাখা ফোনটা সমানে টুং টাং করে বেজেই চলেছে। বিরক্ত লেগে যায়। ওয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকের গুচ্ছের নোটিফিকেশন। লোকগুলো যত বলিহারি। আরে বাবা, এতদিন আনন্দ করলি। বেশ। এবার তো কাজে ফের। তা না। এই গুচ্ছের গুচ্ছের ছবি সব সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে হবে। আর করবি কর। আবার এত ট্যাগ কেন বাবা? একটুও শান্তিতে থাকতে দিবি না? নিজেদের না হয় এখনও ছুটি। কাজ কর্ম নেই। কিন্তু এই বাচ্চাগুলো তো ডিস্টার্ব ফিল করছে, বোঝে না কেন এরা?

ধুস। রাগের চোটে মা এবার ফোন থেকে নেটই অফ করে দিলেন।


বিঃ দ্রঃ বুঝলেন তো, এক্কেবারে আঁখো দেখা হাল বলছি। স্ট্রেট ফ্রম কৈলাস। মা দুর্গা অ্যান্ড কোংকে এবার একটু নিজেদের মতো থাকতে দিন প্লিজ। নেট অফ আপাতত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে গেলে সারা বছর আমার আপনার প্রার্থনাগুলো শুনবেন কী করে বলুন তো?

বিঃ বিঃ দ্রঃ জনৈক অনুপম রায়ের একটি বিখ্যাত গান এখন মায়ের কলার ট্যুন।

No comments:

Post a Comment