দুপুরগুলোয় আর সেই গা চিড়বিড় করা গরমটা বোধ করিনা। ছাতা তো কোন জন্মেই ব্যবহার করিনা (বৃষ্টি ছাড়া), এখন যেন তার প্রয়োজনটুকুও হয় না। ফাটা ঠোঁটে পড়ছে অরিফ্লেমের স্নিগ্ধ পরশ। খুব ঘন ঘনই। সকালে স্নানের সময়ে গরম জলের কলেই প্রায়দিন কাজ চলে যাচ্ছে। সন্ধ্যের দিকে পাতলা চাদরে কান মাথা ভালো করে মুড়ি না দিলে হচ্ছে না। অবশ্য নিন্দুকেরা বলবে চেন্নাইয়ে পাঁচ বছরের ওপর থেকে আমি নাকি স্থানীয়দের মতোই হয়ে গিয়েছি। অল্পেই ঠাণ্ডায় কাতর। তবে সত্যি বলছি, ঠাণ্ডা কিন্তু পড়েছে। হতেই পারে, কলকাতার মতো না। তবুও, রাত্রে গায়ে একটা হাল্কা চাপা দিতেই হচ্ছে।
সেইসব ভাবতে ভাবতে আজ এই গানটা বেশ কয়েকবার শুনতে লাগলাম। কেন জানি না,
এইটাকে আমার শীতের অ্যান্থেম বলে মনে হয়। মনে আছে, ২০১৩ সালে যখন বেরিয়েছিল
দ্বিতীয় পুরুষ অ্যালবামটি, অনুপম রায়ের সই করা সিডি কিনি আমি। কী আনন্দ
তাতে। সারাদিন ধরে শুনে যেতাম। মোবাইলে ট্রান্সফারও করে নিয়েছিলাম। তখন
আমার সেই সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের নোকিয়া এক্স টু। জিওও আসেনি।
ইন্টারনেটে মিউজিক স্ট্রিমিং হয় না তেমন। ওই গোটা অ্যালবামে এটা আমার
সবচেয়ে পছন্দের গান ছিল। ২০১৩র ডিসেম্বর। চেন্নাইয়ে প্রথম শীত। দুপুরে
হোস্টেলে খেয়ে ল্যাবে ফিরতাম। বেশ অনেকটা রাস্তা। তখনও সাইকেল কিনিনি।
বাসের অপেক্ষা না করে গাছ গাছালির ছায়া দিয়ে মিঠে রোদ পোহাতে পোহাতে কানে
ইয়ারফোন গুঁজে এই গানটাই লুপে ফেলে হাঁটতাম।
আজ আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে সেইসব দিনগুলিতে। ওই রাস্তায়। ওই অনুভুতিগুলোয়... খুব।।
আজ আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে সেইসব দিনগুলিতে। ওই রাস্তায়। ওই অনুভুতিগুলোয়... খুব।।
No comments:
Post a Comment