মায়ের কাছে শুনলাম, মীনা দি, মানে আমাদের বাড়িতে যে দিদি কাজ করে, পরশু
দিন পাড়ার দোকান থেকে একটা ফ্রুট কেক কিনে আমাদের ফ্রিজে রেখেছে। বাড়িতে ওর
নাতি নাতনিদের খাওয়াবে বলে। গতকাল সোমবার ছিল। দোকান বন্ধ থাকবে। আর
রবিবারেই বাড়ি নিয়ে গেলে নাতি নাতনিরা ওইদিনই খেয়ে ফেলবে। অগত্যা, এই
ব্যবস্থা।
শুনলাম আজ মীনা দি কেকটা নিয়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই ওর বাড়িতেও আজ বড়দিনের কেক উৎসব পালন হল। আয়োজন যতই সামান্য হোক না কেন।
ওদিকে আমার জেঠু জেঠি আজ সক্কাল সক্কাল তাদের (আমাদের সব্বার) আদরের নাতনি আরিয়ার জন্য ওর পছন্দের কেক-কুকিজ ইত্যাদি নিয়ে গিয়েছে নামী কেকশপ থেকে, ঝুড়ি ঝুড়ি। সাথে খেলনা, চকলেট, কমলালেবু। সব ওর প্রিয়।
কোথায় গিয়ে যেন এই অপত্য স্নেহে সামাজিক সমস্ত স্তর ভেদাভেদ ইত্যাদি সব
একাকার হয়ে যায়। সামর্থ্য তখন অনেকটা ছোট হয়ে দাঁড়ালে, ইচ্ছেটাই হয়ে যায়
বাঁধা অতিক্রমের উপায়।
আসলে, উৎসব উদযাপনের যে কোন সুনির্দিষ্ট স্থান কাল পাত্র হয় না।
No comments:
Post a Comment