#অণুগল্প
#মায়েরা_সব_বোঝে
শ্রুতির ঘর থেকে অ্যালার্মের শব্দ ভেসে আসছে অনেকক্ষণ ধরে। করেটা কী মেয়েটা? "অ্যালার্ম লাগাস আর উঠতে পারিস না?" দুধের প্যাকেটটা গেট থেকে নিয়ে গজগজ করতে করতে রুণা ঢুকলেন মেয়ের ঘরে। এসে তো থ। মেয়ে আজ সক্কাল সক্কাল নিজেই উঠে পড়েছে। বাথরুম বন্ধ, কল থেকে জল পড়ার আওয়াজ আসছে।
" ব্যাপার কী? অ্যালার্মের আগে উঠে এক্কেবারে স্নান? কোথাও বেরোবি নাকি?"
" ও মা, প্লীজ অ্যালার্মটা অফ করে দাও। ভুলে গিয়েছি কাটতে। সোনা মা। "
" সে দিচ্ছি। "
" থ্যাঙ্ক ইউ মা! লাভ ইউ! "
" হয়েছে। এবার তাড়াতাড়ি স্নান করে বেরো। এই সাতসকালে স্নান করছিস, ঠাণ্ডা লেগে যাবে। বেরিয়ে বল, কোন শাড়িটা চাই আজ।"
" কী করে বুঝে যাও? "
" মা টা কে শুনি? আমি না তুই?"
স্নান সেরে বেরিয়ে আলমারি থেকে মায়ের শাড়ির স্টক ঘেঁটে শেষমেশ একটা ময়ূরকণ্ঠী নীল রঙের পাটোলা বাছল শ্রুতি।
" মা, তোমার ওই পার্ল সেটটা প্লীজ দেবে? ভালোই মানাবে।"
" দিচ্ছি।"
"দাঁড়া, খোঁপাটা ঠিক করে দিই। কী কাকের বাসার মত করে রেখেছিস বল তো চুলটা?"
" ছাড়ো না, এটা একটা স্টাইল। দেরি হয়ে যাবে। সবাই ওয়েট করছে।"
" সবাই অপেক্ষা করবে। দু মিনিট। "
" ওয়াও, ভালো সেট করলে তো?"
" তাহলে?? দেখিস অভ্রর ভালো লাগবে। অ তো একটু সাবেকী খেয়ালের।"
" কী হল? হাঁ করে কী দেখছিস? কী করে বুঝলাম? আরে বাবা, আমি বললাম তো। আমি মা না? যা, বেশী দেরি করিস না। ফোন করিস।"
No comments:
Post a Comment