"গুড মর্নিং মাম্মাম।" সাত বছরের মিঠাইয়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেলো তিতলির। হলো কী আজ? যে মেয়েকে কিনা রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে ভুলিয়ে ভালিয়ে বিছানা ছাড়াতে হয়, সে আজ এত সকাল সকাল নিজেই উঠে পড়েছে।
"হ্যাঁ রে মিঠা, আজ এত সক্কাল সক্কাল উঠলি যে? আমি তো সোয়া পাঁচটার অ্যালার্ম দিয়েছিলাম। তুই তারও আগে উঠে পড়েছিস?" তিতলি একটু অবাক হয়েই মেয়েকে জিজ্ঞেস করল।
"মাম্মাম, তাড়াতাড়ি না উঠলে রেডি হবো কীভাবে? টাইম লাগবে তো। আমি ফুলের মালাটা ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়েছি। আনটি কিন্তু বলে দিয়েছেন, দেরি করলে খুব বকবেন।"
ও, এই ব্যাপার। মেয়ের মধ্যে এই উৎসাহ দেখে এক ছুট্টে বছর তিরিশ আগে পৌঁছে গেল তিতলি। কোন এক দোলের ভোরে, ওও তো সাত সকালে উঠে মায়ের কাছে লাল পাড় হলুদ শাড়ি পরে, মাথায় রাঙা পলাশ লাগিয়ে নাচতে বেরিয়েছিল, "ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল।" সুদূর ব্যাঙ্গালোরে বসে, মেয়েকে নাচের স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করতে গিয়ে আজ বারবার তিতলির মনে চলে যাচ্ছিল ওদের সেন্ট্রাল পার্কের বসন্তোৎসবে। কত গান, কত প্রভাতফেরী। কত আবির। কত আনন্দ।
আর সব শেষে সকলে মিলে "আজ খেলা ভাঙার খেলা"র তালে তালে নাচ। আজ হাফ ডে নিয়েছে তিতলি। মেয়ের মধ্যে দিয়েই দোলের আনন্দটুকু লুটেপুটে নিতে হবে যে।
No comments:
Post a Comment