- কী ব্যাপার তোমার, অমন প্যাঁচার মত মুখ করে বসে আছো কেন?
- সা, মন মেজাজ ভালো নেই।
- কেন গো? কী হল?
- ধুর ধুর। এই নটা বাজতে গেল। এইবারে ভিড় শুরু হবে। আবার ওই হাসি মুখ করে পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। আর ভালো লাগছেনা।
- তা এ তো তোমার আজকের নতুন রুটিন না। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। হঠাৎ আজ কী হল?
- হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আমার আজকাল আর ভালো লাগছেনা। এই যে এত্তগুলো বাইরের অজানা অচেনা লোকজন আসছে, আমাদের সব জিনিসপত্রের ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ক্যামেরার ফ্ল্যাশে হাভেলির অমন দুর্লভ পেইন্টিংগুলোর রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইন লোকে বেমালুম কপি করে যাচ্ছে। এক্সলুসিভ বলে আর কিছু থাকছেনা যে।
- বুঝি সবই বুঝি। কিন্তু কিছু তো করার নেই সা। বংশধরেরা যে এখনো অবধি হাভেলিটাকে পাঁচতারা হোটেল বানাতে দিয়ে দেয়নি, এই ঢের। নইলে তোমার আমার স্থান যে কোথায় হত আমি ভাবতেও পারছিনা। ওদের রোজগারপাতির ঠিকঠিকানা নেই, এদিকে লাইফস্টাইল দেখো এখনো খানদানি। ওদের কথা ভেবে নাহয় আমাদের আরো দিনের পর দিন এমনভাবে নিজেদের ডিসপ্লে আইটেম করতে হবে!
- কপাল, কপাল!
- হু। ছাড়ো। নাস্তা দাও। কী বানিয়েছ?
- কী আবার? ডাল বাটি চুরমা। একটু ভারি খাবার না খেলে বিকেল অবধি ঠায় দাঁড়ানোর স্ট্রেন্থ পাবেনা সা।
- তাও বটে। তাও বটে।।
No comments:
Post a Comment