"মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রী দেবদীপ মিত্র এই মামলায় বেকসুর খালাস হলেন।" জজসাহেবের নির্দেশটা মাথা উঁচু করেই শুনল দেবদীপ। মিউজিয়ামের চুরির দায়ে মিথ্যে ফেঁসে যাওয়ার থেকে অবশেষে মুক্তি। মনে পড়ে যাচ্ছিল বারবার সেই অভিশপ্ত রাত্তিরের কথা। সবে ডিনার সেরে উঠছে। এমন সময় সদর দরজায় পুলিশের টোকা। তারপরে প্রতিবেশীদের কৌতূহলী নজরের সামনে দিয়ে থানা যাওয়া। লকাপ। পুলিশের জেরা। অফিস থেকে সাসপেনশন। তদন্ত চলাকালীন সকলের ওকেই দোষী ধরে নেওয়া। অসম্ভব অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে কেটেছে দিনগুলি।
তবুও, প্রতি মুহূর্তে স্ত্রী সুচিত্রা আর কন্যা গুড্ডির আশ্বাসে নিজেকে সামলে রেখেছিল দেবদীপ। বারবার এই অপ্রয়োজনীয় হয়রানির মুহূর্তগুলো দুর্বল করে দিত ওকে। নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করেছে কতবার। মা বাবা আর স্ত্রী সন্তানের মুখ চেয়ে পারেনি। ভাগ্যিস।
আদালতের রায় শোনার পর সেদিনের সেই তথাকথিত বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আজ ভিড় করেছে ওকে আবার আপন করে নিতে। কিন্তু দেবদীপর ওসবের জন্য এখন সময় নেই। শিগগিরই অফিস জয়েন করতে হবে। আর তারপর সপরিবারে নিছক একটা ছুটিযাপনের পরিকল্পনা করতেই হবে।
শুরু হতে চলেছে ওর জীবনে একটা নতুন অধ্যায়। মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার লড়াইটা যে জিতে গিয়েছে ও।
To new beginnings...
No comments:
Post a Comment