Tuesday, July 2, 2019

"বিবাহ অভিযান" ৫



- আচ্ছা কিছু ডিসকাশন আছে। কোনো সময়ে দেখা করা যায় আজ?

- আজ তো হবে না। ভেরি প্যাকড শিডিউল। কাল বা পরশু হোক?

- আমাদের বাড়ি জানি কবে আসছেন তোমার মা বাবা?
- কাল। ও ভালোই তো হয়। আমিও না হয় যাবো। তখনই আলোচনা হোক।
- না। আমি তার আগেই কথা বলতে চাইছি।
- তাহলে তো ফোন কল ছাড়া উপায় নেই। কী ব্যাপার বলো? সামথিং আর্জেন্ট?
- নট আর্জেন্ট। বাট বদারিং মি। যত তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নেওয়া যায়। তাই আর কী।
- বেশ। বলো।
- শোনো, বিয়েতে সব রিচুয়ালস মানা নিয়ে তোমার কী মত?
- যেমন?
- মানে, ভালো লাগে? মানতে চাও সব?
- হ্যাঁ। আই মিন, মন্দ কী? আশা করি বিয়ে একবারই করবো। তা পুরোটা নিয়ম মেনে করাই ভালো। ছবি টবি উঠবে। জাঁকজমক। হইহুল্লোড়। আত্মীয়স্বজন। বন্ধুবান্ধব। ভালোই তো। কেন তোমার পছন্দ না?
- খুব একটা না। আমি ভেবেছিলাম প্লেন রেজিস্ট্রি করবো। তারপর একটা পার্টি। মজাও হলো। আনন্দও হলো। কিন্তু রিচুয়ালস নেই।
- রিচুয়ালসে তোমার কী সমস্যা?
- ওই যে, কন্যাদান। তোমার বাবা আমার পায়ে হাত দিয়ে আমায় বলবেন, তোমায় গ্রহণ করতে। খুব খুব খারাপ ব্যাপারটা। দিদিভাইয়ের সময়ে দেখেছি। তখনই ঠিক করি। আমার বিয়েতে এরকম হবে না।
- হুম। ওইটা আমারও ঠিক জুতের লাগে না।
- তারপর ধরো ওই কনকাঞ্জলি। ওইটা মোস্ট রাবিশ। এরকম আবার মা বাবার ঋণ শোধ হয় নাকি? নাকি বাবা মায়ের সাথে সন্তানের সেই সম্পর্ক?
- ওটা আমি এমনিও করতাম না।
- তারপর ধরো সিঁদুরদান। হিস্ট্রিটা জানো তো?
- জানি। ছবি ভালো ওঠে। তাই ওইদিন পরলেও বিয়ের পরে পরবো না। সাজের অঙ্গ হিসেবে পরতে পারি। বাধ্যবাধকতা হিসেবে না। সেম গোজ ফর শাঁখা পলা লোহা।
- গুড। তা এইসবের জন্যই আমি ভাবছিলাম যদি রেজিস্ট্রি আর তারপর পার্টি হয়।
- না না। আপত্তিজনক রিচুয়াল বাদ। বাকিগুলো যেগুলো হাৰ্মলেস, যেমন ধরো ওই জুতো চুরি, শয্যা তুলুনি, ওগুলো বাদ যাবে কেন? জানো, আমার ভাই বোনেরা সব কবে থেকে উদগ্রীব হয়ে আছে। কবে জামাইবাবুর ঘাড় ভাঙবে।
- মরেছি! কত ক্যাশ আনবো সাথে, বলে দিয়ো।
- হাজার কুড়ি।
- মাই গড। প্লিজ। বার্গেনিং হবে না? প্লিজ বোঝাও ওদের।
- উঁহু। আমি তো কাট মানি পাবো। আমি এই ব্যাপারে হেল্প করছি না।
- গৃহশত্রু দেখছি।
- না না। গৃহে পদার্পণ করিনি। গৃহশত্রু ভুল টার্ম।
- বুঝলাম। ভাষাবিদ।
- হেঁহে! তা ফাইনালি কী ঠিক হলো?
- কীসের?
- আচার অনুষ্ঠান।
- তুমি তো মনে হচ্ছে না আমার প্ল্যানে সহমত।
- ওই যে বললাম। হোপফুলি বিয়ে একবারই করবো। তো মোটামুটি নিয়ম মেনেই করি। ডেরোগেটোরি পার্টসগুলো বাদ।
- নট ব্যাড। এই প্রস্তাব আমি দুপক্ষের মা বাবাকে দেব। দেখি কী বলেন।
- আর কে কী বলবে, জানি না। মা তোমায় এক্সট্রা দশটা রসগোল্লা খাইয়ে দেবে আনন্দে। এমন প্রোগ্রেসিভ জামাই কজন পায়?
- বলছো?
- হ্যাঁ! একটা সিক্রেট বলবো?
- বলো।
- তুমি খুব ভালো, জানো?
- এ তো সবাই জানে। সিক্রেট কী?
- উফ। কথা শেষ করতে দাও।
- আরো বাকি? বেশ বেশ বলো।
- এই যে, তুমি প্রোপোজ না করলে, আমিই করে দিতাম।
- দ্যাট উড বি মাই প্লেজার। এই, একটা রিকুয়েস্ট।
- কী?
- আমায় প্লিজ অফিশিয়ালি প্রোপোজ করো একবার। প্লিজ?
- আচ্ছা আচ্ছা বেশ। করব।
- কবে?
- বলবো না। সারপ্রাইজ! কিন্তু করবো।
- ইয়ে!

No comments:

Post a Comment