- কী গো?
- রেডি হচ্ছি তো। আর পাঁচ মিনিট।
- সেই তখন থেকে পাঁচ মিনিট পাঁচ মিনিট করে চলেছ।
- তুমি যতবার মেসেজ করে প্রশ্ন করবে, তত আমার দেরি হবে।
- ধ্যাৎ কখন থেকে বসে আছি রেডি হয়ে। আর এদিকে তুমি এখনো বেরোলেই না। বললেই পারতে। দশ পনেরো মিনিট আরেকটু খেলাটা দেখতে পারতাম।
- তা দেখো। সমস্যা কোথায়?
- না। মাকে রিমোটটা দিয়ে দিয়েছি। মা শাড়ির প্রোগ্রাম দেখছে।
- তুমি ফোনে দেখো।
- চার্জ শেষ হয়ে যাবে।
- পাওয়ার ব্যাংক নেই?
- ওটাও চার্জে দিতে হবে।
- তাহলে আর কী। চুপচাপ বসে থাকো। আমি বেরিয়ে মেসেজ করে দিচ্ছি।
- ওই জন্যই বলেছিলাম আমি গাড়িটা নিই।
- তাতে কী হতো?
- আমি ঠিক টাইম মতো পৌঁছে যেতাম।
- আর তারপর প্যা প্যা করে হর্ন বাজিয়েই যেতে।
- তুমি তার ফলে আরেকটু তাড়াহুড়ো করতে।
- তুমি তখন থেকে এত ইরিটেট করছো না? নেহাত তোমারই শেরওয়ানি কিনতে যাচ্ছি, তাই। নইলে আমি যখন কাটিয়ে দিতাম।
- আমারও ভালো হতো। ম্যাচটা দেখতে পেতাম। আরাম করে।
- ফাইন। আসতে হবে না আমার সাথে। ভার মে যায়ে তোমার শেরওয়ানি। নিজের বাজার নিজে করে নিয়ো। মাকে বলে দেবো। আমি পারলাম না এটা করতে। আমি আমার মতো কেনাকাটা করে নেব। এমনিও আই হ্যাভ আ লট টু বাই। ভালোই হলো। একা একাই যাবো। পারফিউম কেনার আছে। সেগুলো করি।
- আরে আরে আরে, রাগ করছো কেন। সরি সরি। চলো। আমি ওয়েট করছি। এসো সময় মতো।
- না যাবো না। তোমার সাথে। আমি একা যাবো।
- বেশ। যেয়ো না। আমার শেরওয়ানি আমি কিনে নেবো। একটা ক্যাটক্যাটে কোনো রঙের। তারপর সারা জীবন ওই ছবির বোঝা বয়ে বেরিও।
- জ্বালালে। বড্ড জ্বালালে। চুপচাপ বসো দশ মিনিট। আমি পৌঁছে যাচ্ছি। রেডি। জুতোটা গলাচ্ছি পায়ে।
- এসো, এসো মা লক্ষ্মী, আমার ঘরে।
- শাঁখ বাজাবে?
- মাকে বলি?
- থাক। ড্রেস রিহার্সাল এত তাড়াতাড়ি কী?
- সেই!
No comments:
Post a Comment