সকাল থেকে বৃষ্টিটা এমন মুষলধারায় পড়েই চলেছে, তুতুলের একটুও ভালোই লাগছেনা। অঙ্ক ট্যুশনটা ভেস্তে গেল। প্রিটেস্ট সামনের মাসে। এখনো ইন্টিগ্রেশনে সড়গড় হয়নি। অথচ স্যার রিপিট করবেননা। হাতে সময় নেই। কি জ্বালা। মায়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান করতে করতে কখন দুই চোখের পাতা এক হয়ে গিয়েছে খেয়াল নেই তুতুলের। মায়ের ডাকে ধড়মড়িয়ে উঠে দেখে টেবিলের ওপর গরম গরম কফি আর মায়ের হাতে প্লেটে ওর ফেভারিট পিঁয়জি।
"ওরে ওঠ। দেখ মিঠির ড্রাইভার তোকে ওর আজকের নোট্স জেরক্স করে দিয়ে গিয়েছে। কি লক্ষ্মী মেয়ে। থ্যান্ক ইউ জানাস।"
নোট্স হাতে নিয়েই তুতুলের চোখে মুখে আলাদা একখানা চমক খেলে উঠল। মাও দেখে অবাক। বাব্বাহ একটা অঙ্ক খাতা দেখে মেয়ের মুখে হাসি ধরে আর না।
মা প্লেটটা নামিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। "পড়তে বস। খেতে খেতেই পড়।" তুতুল তখনো হাঁ করে তাকিয়ে খাতার পাতায়। জ্বলজ্বল করছে ওর নাম। পাশে একটা পুঁচকি হার্ট।
পাশের বাড়ি থেকে রেওয়াজ শোনা যায় বিনুর। "মোর ভাবনারে কি হাওয়ায় মাতালো।" শ্রাবণের ধারার মত হ্দয়ে ঝরে প্রেমের রস। অমর্ত্যর হাতের লেখাটা যে ওর বড্ড চেনা।
No comments:
Post a Comment