Friday, August 25, 2017

শুভ বিবাহ আবার (২)


আমি কৌশাণি মিত্র। মেয়েদের বয়স জানতে নেই, তাই বললাম না। গড়িয়াহাটের কাছে এক নামকরা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের হিস্ট্রি টিচার। বাড়ি যোধপুর পার্কে, ছয় বছর আগে, রিটায়রমেন্টের আগে আগে আমার বাবা এই ফ্ল্যাটটি কেনেন। আমার মা অতি যত্নে নিজের অত্যন্ত রুচিশীল সৃজনশীলতায় এই বাড়ির অন্দরসজ্জা প্ল্যান করেছিলেন, কিন্তু বিধাতার অন্য পরিকল্পনা থাকায় বাড়ির পোজেশন পাওয়ার মাস খানেক আগে মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। হিমাচল প্রদেশ থেকে বেড়িয়ে ফেরার পরে পরেই শুরু হয় সাংঘাতিক পেটের যন্ত্রণা, ডাক্তার বদ্যি দেখিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অবশেষে জানা যায় যে প্যাঙ্ক্রিয়াসে ক্যান্সার। তখন শুরু হয় টাটা মেমোরিয়ালে ছোটাছুটি। আমি সেই সময় প্রেসিডেন্সিতে, ফাইনাল ইয়ার হিস্ট্রি অনার্স। প্রতিদিন ২৪০ এ উঠে একদম পিছনের সীটে বসতাম, কলেজ স্ট্রীট অবধি যেতে যেতে গোটা রাস্তাটা কেঁদে কেঁদে পার করতাম। আর ফেরার পথে দক্ষিনাপণে নেমে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে মায়ের ডিরেকশন মত ঘর সাজানোর জিনিসপত্র কিনতাম। সেই গুলি নিয়ে ফেরার পরে মা তার কেমোয় রুগ্ন শরীর নিয়ে নিজের হাতে করে এদিক সেদিক এ কোণা সেই কোণাতে সাজাত। মায়ের বড় হওয়া বোলপুরে, আমার দাদু সঙ্গীত ভবনে গান শেখাতেন। মায়ের মধ্যে তাই একটা অন্যরকমের সৌন্দর্যবোধ ছিল, যার ফলে ছোট থেকেই আমি কখনোই ওই সলমা চুমকি দেওয়া পোশাক না পড়েও প্রতিটি অনুষ্ঠানে, স্কুলের প্রতিটি এনুয়াল ফাঙ্কশানে যাকে বলে সবার নজর কাড়তাম। আধুনিকা অথচ নিজের শিকড়কে না ভোলার এক হাসি খুশী মেলবন্ধন ছিল আমাদের জীবন। মা নিজেকে ভুলিয়ে রাখত সঞ্চয়িতা আর গীতবিতানে, বাবা অফিসে। আর আমি? আমি ছিলাম কুশানের সান্নিধ্যে। কুশান প্রেসিডেন্সিতে আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ছিল। আমাদের ফ্রেশারসের পর থেকেই ওর সাথে প্রেম। প্রথম প্রথম প্লেটোনিক দিয়ে শুরু হলেও পরে উত্তাল উদ্দাম ভালোবাসা। ও কোর্স শেষ করে চলে গেল দিল্লী, JNUতে মাস্টার্স করতে। মায়ের অসুস্থতার খবর জানার পর থেকে ওই যেন হয়ে উঠল আমার অভিভাবক। এই ভাবেই চলছিল সব। মায়ের শরীর কখনোই ভালোর দিকে যায়নি। নানান ডাক্তার পথ্যি চেষ্টা চরিত্র করে ঠিক আমার B.A. ফাইনাল পরীক্ষা শুরুর এক মাস আগে বসন্তের এক ভোরে চোখে মুখে স্নিগ্ধ হাসির আভাটুকু রেখে মা চলে গেল।
তারপরে কি করে যে পরীক্ষা দিয়েছি, গোল্ড মেডেলটাও পেয়েছিলাম, কিচ্ছু জানিনা। মাস্টার্স করতে হায়দ্রাবাদে গেলাম। দুই বছর বাবা কলকাতায় একদম একা রইল। আমি তখন নতুন জীবনে, নতুন উদ্দীপনা। কুশানের সাথে ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছে। তখন জীবনে অরুণ, এক তামিল ব্রাহ্মণ ছেলে। এক বছরের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু পুরোটাই খুব আলগা আলগা। আসলে দুজনেই জানতাম, টু স্টেটসটা বইয়ে আর সিনেমার পর্দাতেই ভালো মানায়। সেকেন্ড ইয়ারে পরিচয় হল অভীকের সাথে Bengali film festivalএ। এক বছর চুটিয়ে প্রেম, প্রতি উইকেন্ডে টুকটাক ঘুরতে যাওয়া। আগে দিনে তিন বার করে বাবার সাথে কথা বলতাম ফোনে বা স্কাইপে, তখন এসে ঠেকেছিল সপ্তাহে তিনবারে। পুরনো বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবার থেকে দূরে দূরে থাকতাম, যোগাযোগ রাখতাম না প্রায়। কথা হলেই সবাই শুধুই মায়ের কথা বলত, আমার দিকে করুণা ভরে তাকিয়ে থাকত। আমার একদম ভালো লাগত না। যেন পালিয়ে থাকতে পারলে বাঁচতাম। বুঝতাম যে এই পন্থাটি ঠিক হচ্ছে না, কিন্তু এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না আমার কাছে। সাত মাস প্রেম চলল অভীকের সাথে, তারপরে ও অন সাইটে গেল সিডনি। টাইম জোন পলাতে গেল। কথা বলা কমতে থাকলো। ভৌগলিক দূরত্বের সাথে সাথে বাড়ল মনের দূরত্ব। একে একে স্কাইপ থেকে কমে শুধু ওয়াটসাপ, তারপরে শুধু ফেসবুকে লাইক। একদিন এই করতে গিয়ে জানলাম লিন্ডার কথা। লিন্ডা ওর সহকর্মী ছিল, বর্তমানে অভীকের বাগদত্তা। সেই খবর আমায় জানতে হয় স্যোশাল মিডিয়া থেকে। এর পরে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। সাংঘাতিক রকমের মানসিক আঘাত পাই। মানুষের প্রতি, সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল। এই ট্রমার জেরে স্লিপিং পিলও খাই। রুমমেটদের তৎপরতায় সেই যাত্রা আমি বেঁচে যাই। ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সারাদিন সারারাত শুয়ে শুয়ে কেঁদে চলতাম। বাবা কে একবারের জন্যও কিচ্ছু জানতে দিইনি। মা কে খুব মনে পড়ত। তারপর একদিন কি যে হল, আবার ক্লাসে যাওয়া শুরু করলাম। পরীক্ষা দিলাম। পঞ্চম স্থান পেলাম পরীক্ষায়। ততদিনে আর পড়াশোনা করবার ইচ্ছেই ছিল না। একটা NGOর সাথে যুক্ত হলাম। পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতাম। ওদের সাথে সময় কাটালে কত বিচিত্র উপলব্ধি হত; কত অল্পেই ওরা খুশী হয়ে যায়। কত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ওরা বড় হয়। এসব দেখে শুনে নিজের জীবনের সমস্যাকে যেন তুচ্ছাতিতুচ্ছ লাগত।
কলকাতায় ফ্ল্যাটে তখনো পরতে পরতে মায়ের ছোঁয়া। একদিন বুক শেলফটার ধুলো ঝাড়তে গিয়ে মায়ের গানের খাতায় চোখ পড়ল। পেজ মার্ক করা পাতাটি বের করলাম, মুক্তোর মত মায়ের হাতের লেখা। মায়ের প্রিয় চেলপার্ক কলমে লেখা " তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাঁটে, কাটবে দিন কাটবে। কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে..." কি যে হল, ওই শব্দ গুলি নাকি মায়ের হাতের লেখা। অঝোরে কান্না শুরু হল আমার। কাঁদতে কাঁদতে কখন যে বাবা পাশে এসেছে, টেরও পাইনি। সারাটা দুপুর বাবার কোলে মাথা রেখে কাঁদলাম। বাবা যে এই কটা বছরে কতটা একলা হয়ে গিয়েছে, হাসি খুশী মুখে এত বলিরেখা, সব চোখে পড়ল। সেইদিন মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা করলাম। বাবা কে আর কক্ষনো কষ্ট দেবো না। সব সময় সাথে থাকবো। তাই JNUতে PhDর চান্স পেলেও নিলাম না। এই স্কুলটাতে জয়েন করলাম। দিব্যি চলছিল আমাদের বাবা মেয়ের দুজনের এই জীবন। প্রতি মুহূর্তে মা কে মিস করতাম, খুব। মাসি এক রবিবার এলো দুপুরবেলা, এসেই বাবাকে বলল, "কি জামাই বাবু, বুবাই তো আর ছোটোটি নেই। ওর তো একটা বিয়ে দিতে হয় এই বারে। কিছু ভেবেছেন?" বাবা যেন আকাশ থেকে পড়ল, এমন মুখ করে বলল, " কই না তো। কি আর এমন বয়স হল। এই সামনের মাসে সবে ছাব্বিশ হবে। এখনই কি?"
" জামাইবাবু আপনি বুঝছেন না। দিদি নেই। আপনি একা সামলাবেন কি করে সব। আপনার বয়স হচ্ছে। এটাই সঠিক বয়স ওর বিয়ের। চাকরি করছে। কেরিয়ারে স্থিতু, এবার বিয়েটা করেই নিক।"
"না মিনু, আমি ওকে ছেড়ে থাকতে পারব না।"
" ওরকম বললে কি করে হবে? ছেলে মানুষী করবেন না। এখন থেকে তোড়জোড় শুরু না করলে হবে না। ভালো পাত্র পাওয়া চারটিখানি কথা নাকি। তারপর আবার ও মেয়ের যা ট্র্যাক রেকর্ড, না জানি কাকে না কাকে এনে ধরবে আপনার কাছে। তার চেয়ে বলি কি একটা ভালো সম্বন্ধ দেখে ওর বিয়ের ব্যবস্থা করুন দেখি।"
" মিনু ওসব বুবাইয়ের কম বয়সের কাণ্ড। এখন বুবাই অনেক অনেক বেশী পরিণত, ও কক্ষনো এমন কাজ করবেই না যাতে আমার মাথা হেঁট হয়।"
মায়ের শিক্ষার ফল। তাই আমায় নিয়ে আমার জীবন নিয়ে এত গভীর আলোচনা চললেও আমি কোন কথা বলিনি। খানিক বাদে মাসী নানান খেজুরে গল্প করে চলে যাওয়ার পরে সটান গেলাম বাবার কাছে।
" বাবা আমি বিয়ে করব না। "
" কেন বুবাই? এখন না হয় করিস না, কিন্তু একদিন না একদিন তো করতে হবেই।"
" না। বিয়ে করে সুখী হব কে বলেছে?"
" আরে বোকা মেয়ে, এক অভীক ঠকাল বলে কি সবাই ওরকম হবে নাকি?"
" না। আমি এরকম arranged marriageএর পক্ষপাতী না। প্লীজ। আমায় জোর করোনা।"
" আচ্ছা। ঠিক আছে।"

মাস খানেক সব ঠিকঠাক চলছিল। বাবা অবশ্য তলে তলে যে ম্যাট্রিমোনি ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল, আমি তা ব্রাউসিং হিস্ট্রি দেখে ঠিকই বুঝেছিলাম। কিছু বলিনি। থাক, যা পারে করুক। একদিন আবার মাসীর আগমন। সাথে পাত্রের ছবি। বায়োডাটা। দিল্লীতে থাকে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ভালো চাকরি করে। ২৯ বছর বয়স। পালটি ঘর। এরকম নাকি ভালো সম্বন্ধ সচারচর পাওয়া যায় না। মেসোর অফিসের এক ভদ্রলোক, কমল ঘটক (পদবীর সাথে মিলিয়ে ঘটকালিও করে বেড়ান পার্ট টাইম) এই "হীরের টুকরো" ছেলের সন্ধান এনেছেন। বাবা চিরকালই একটু কম কথা বলেন, তার ওপর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সাথে তো আরও কম। মাসির সাথে কথায় পেরেই উঠলো না। আমায় জিজ্ঞেস করারও তো কোন প্রয়োজন বোধ না করে আমাদের বাড়িতে বসেই মাসী কমল ঘটকের সাথে ফোনে কথা বলে আগামী রবিবার ওনাদের নেমন্তন্ন করে দিল আমায় "দেখতে আসার" জন্য। কিরকম একটা নিজেকে গাড়ীর শোরুমের পণ্য মনে হচ্ছিল। জানি, মাসিকে বলে কোন লাভ নেই। মাসীর সামনে বাবা কে বলেও কোন লাভ নেই। অগত্যা মাসী চলে যেতেই বাবাকে বললাম মনের কথা।
" বাবা। প্লীজ। আমার কিন্তু ভালো লাগছেনা। এরকম চায়ের ট্রে হাতে করে নিজেকে মার্কেট করা, এ আবার কি। আমি রাজি না।"
" দেখ মা, আমি কক্ষনো এমন কোন কাজ করব না যাতে তুই একটুও অস্বস্তিতে পড়িস। আমার ওপর ভরসা রাখ।"
" বিসাইডস আমি ওই দু পাঁচটা কথা বলে কি করে বুঝব ভালো মন্দ। It is a matter of a lifelong decision"
"আমি কোনরকমের তাড়া দেব না তোকে। তুই কিছুদিন কথা বল। ভাব না যেন ডেট করছিস। Just that ডেটটা আমি ঠিক করে দিলাম। এবার পছন্দ হলে কথা এগোবে, না হলে না। সিম্পল!"
" কিন্তু..."
" না আর কোন কিন্তু কিন্তু না। এবার চল তো, একটু হাঁটতে যাই। মাসীর বকর বকরে মাথাটা ধরে গিয়েছে। লেকের ধারে গিয়ে হাওয়া খেয়ে আসি চল।"

এক সপ্তাহ পরে অর্ণব আর ওর মা বাবা এলেন। আমায় দেখতে। ছবিতে যতটা না ভালো দেখতে লেগেছিল, সামনাসামনি দেখলাম আরো অনেক সুপুরুষ। ব্যবহার ভালো। একটু চঞ্চল, কিন্তু যা বুঝলাম, প্রাণ খুলে জীবনটা উপভোগ করতে পারে। কথাবার্তা মোটামুটি মার্জিত। শিক্ষিত। বাবা মা অন্ত প্রাণ। গান, নাটক, লেখালিখিতেও শখ আছে। ওর বাবা মাকেও খুব পছন্দ হয়েছিল। কি অমায়িক। বাপি, মানে আমার শ্বশুরমশাই যখন আমায় নিজের মেয়ের মত ভালবাসবেন বললেন, সত্যি সত্যি মনে হল যেন বাবার প্রতিচ্ছবি। আর মাম্মান, মানে শাশুড়ি মা, প্রথমে একটু কড়া লাগলেও ঠিক আছে, মানিয়ে নেব স্থির করলাম। আসলে আমার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে মনে হল যে এত আনন্দ আর নিশ্চিন্ত অনেকদিন বাদে হয়েছে। খানিকটা বাবার মুখ চেয়ে আর খানিকটা আমার ভালোলাগাকে ভরসা করে বিয়েতে হ্যাঁ বললাম। সেদিনের পরে কয়েকদিন অর্ণবের সাথে ফোনে কথা বললাম। আবার পুজোয় যখন ও কলকাতা এলো, দেখা করলাম কয়েকবার। আমাদের বাড়ি, ওদের বাড়ি। ইতিমধ্যে ওর মা বাবার সাথেও যোগাযোগ রেখেছিলাম ভালোই। মাম্মান তো আমার পার্টনার ইন ক্রাইম। স্কুলের যাবতীয় গসিপ, শপিং, রান্নাবান্না সবের জন্যই মাম্মান। মনে হল যেন মায়ের অভাবটা অনেকটাই কমবে। বাবা আর বাপির মধ্যে এত বন্ধুত্ব, কারুর নজর না লাগে। এমন হল যে বিয়ের আগে অবধি ওর থেকে বেশী ওর মা বাবার সাথেই বেশী ভাব ভালোবাসা ছিল আমার।

****************************************************************************

বিয়ের পরে আমরা দিল্লীতে কাটালাম দেড় বছর। কলকাতার স্কুলের চাকরীটা ছেড়ে ওখানে একটা স্কুলে জয়েন করেছিলাম।বাবা, মাম্মান, বাপি এদের সকলকে ছেড়ে থাকতে খুব কষ্ট হত। ওরা তিনজনেই পালা করে করে দেড় বছরে দশ মাস আমাদের সাথে থেকে গিয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকবারেই ওদের যাওয়ার সময় আমি এমন কেঁদে ভাসাতাম যে অর্ণব খুব বেশী রকমের তৎপর হয়ে কলকাতায় ট্রান্সফারের ব্যবস্থাটা করল। আগামী সপ্তাহে আমরা পাকাপাকি ভাবে কলকাতা যাচ্ছি। অনেক হয়েছে বাবা। দিল্লী, হায়দ্রাবাদ অনেক হল। কলকাতার মত জায়গা দুটো হয়না। আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি, আমি আর এক পাও নড়ছিনা। আবার পুরনো স্কুলে চাকরিতে জয়েনিং পেয়েছি। বাবার কাছেও যাতায়াতটা সহজেই হবে তাহলে। দুই বাড়ি মিলিয়ে আনন্দে আহ্লাদে আটখানা যে হবই, সে ব্যাপারে আমি সুনিশ্চিত। স্যুটকেস গোছাতে গিয়ে আবার মায়ের গানের খাতাটা উল্টে পাল্টে দেখছিলাম। মা কে যখনই খুব বেশী রকমের মিস করি, এই খাতাটি নিয়ে থাকি। মায়ের সত্ত্বা যেন এই খাতায় বন্দী আছে। প্রতিটি পাতায় মায়ের গন্ধ, মায়ের স্পর্শ।

"কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।
সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি-- আহা,
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

No comments:

Post a Comment