Sunday, August 20, 2017

স্বাধীন স্বপ্ন

আমি নিজে কতটা স্বাধীন, তা ঠিক জানিনা। (মানে কেউ কোনভাবেই বেঁধে রাখেনি আমায়। তবে ওই আর কি, কাজ কর্মের কিছু নিয়ম নীতি তো মানতেই হয়। সে যাই হোক। ) তবে আমার মন বড়ই স্বাধীন। তার ভাবতে কোনরকম ট্যাক্স লাগেনা। আমার পা এক অদৃশ্য শিকলে বাঁধা থাকলেও মন কিন্তু লাগাম ছাড়া।
আজ যেমন দুপুরবেলা ঘুমোতে ঘুমোতে (না, এটা পাওয়ার ন্যাপ না। ভালো মতই প্রায় ঘণ্টা খানেকের ঘুম, তাও অ্যালার্ম না সেট করে) একটা কিম্ভুতকিমার্কা স্বপ্ন দেখলাম। দেখলাম একটি পোষা বিড়াল (জীবনে অনেক বিড়াল পুষেছি, কিন্তু এইটিকে ঠিক চিনলাম না, বেশ হাট্টাগোট্টা দেখতে, প্রায় বাঘের মত গায়ে স্ট্রাইপ) আমার ক্যামেরার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। ক্যামেরাটিকেও চিনতে পারলাম না। আমার আজ অবধি চারটে ক্যামেরা হয়েছে, কিন্তু এটি ওগুলির একটিও না। (হতে পারে আমাজনে সারাক্ষণ চড়ে বেড়াই বলে, ওখানে দেখা কোন মডেল হবে হয়তো) আমি (জানি না কেন এমন মনে হল) আবার ক্যামেরার জুম টেস্ট করছিলাম। ফোকাস করছিলাম এমন এক বারান্দায় বসে যেখানে রাজ্যের জামা কাপড় মেলা (মনে হয় বর্ষাকাল বলে ভিজে জামা কাপড়ের চিন্তা মাথায় ছিল), গ্রিলে একটা টব বসানো, তাতে নয়নতারা ফুটে আছে (এটার কারণ বলতে পারব, আজ দুপুরেই নয়নতারার বীজ পুঁতেছি)। সেইটেরই ছবি তুলে পোষা বিড়ালটাকে ডেমো দিচ্ছি। বিড়ালটি আবার এক কাঠি ওপরে। সে দেখি তার বাঁ হাত দিয়ে (আমার দেখা আজ অবধি বেশীর ভাগ বিড়ালই বাঁ হাতি, কোইন্সিডেন্স?) দিয়ে জুম বাটনটা টিপে টিপে লেন্সটাকে যে কোথায় নিয়ে গিয়েছে। মাপলে বোধহয় সিধে চাঁদে না হলেও অন্তত স্ট্রাটোস্ফিয়ার ক্রস করে যেত।
স্বাধীনতা যেমন নিয়ম নীতি মেনে রেগুলেটেড হতে হয়, ভাগ্যিস আমার ব্রেনেরও কিছু এরকম মেকানিজম আছে। ঠিক ওই সময়ে ঘুমটা ভাঙল আর আমি পড়ি কি মরি করে ল্যাবে ফেরত এলাম।

No comments:

Post a Comment