Thursday, February 21, 2019

আ মরি বাংলা ভাষা

প্রখর গ্রীষ্মের দুপুরে জলতেষ্টা পেলে যেমন কোনো শরবতে কাজ হয় না, লাগে মাটির কলসী থেকে গড়ানো এক গেলাস শীতল পানীয় জল,
বা জন্মদিনে হাজার জৌলুসে মোড়া মহার্ঘ্য কেকের চেয়েও বেশি আপন মায়ের গন্ধ মাখা আতপ চালের পায়েস,
অথবা অলস দুপুরে ফাঁকা বাসের জানলার ধারে বসে যেমন নিরভানার চেয়ে বেশি নির্বাণ লাভ হয় শ্যামল মিত্রর সুরেলা গানে,
কিংবা যেমন বর্ষব্যাপী ছাড়ের ঠান্ডা বইঘরের চেয়ে বেশি প্রিয় ময়দানের ধুলোবালি মাখা বইমেলার ঘ্রাণ...

ঠিক তেমনই বিশ্বজোড়া ঝাঁ চকচকে কেতাদুরস্ত ইংরেজিতে নিজেকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখলেও, দিনের শেষে কোথায় যেন এই মন খোঁজে আটপৌরে বাংলা মায়ের তেল হলুদ মাখা শাড়ির আঁচল। সেই স্নিগ্ধ পরশ যেন বসন্ত সন্ধ্যার দখিনা বাতাসের মতোই সযত্নে ঘুম এনে দেয় শ্রান্ত আঁখিপাতে।
আর তখনই কোনো এক পল্লীঘরে মাটির পিদিম জ্বেলে ঠাকুমার ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে অরুণ বরুণ কিরণমালারা, অবাক বিস্ময়ে সেই গল্প শোনে কত কত সাত ভাই চম্পা।
আরো একটা দিন কেটে যায়। নাগরিক সভ্যতায় সহজ পাঠের গল্পগুলো গল্পেই রয়ে যায়..

No comments:

Post a Comment