প্রোপোজ ডে স্পেশাল।
- তখন থেকে বলে যাচ্ছি। আমার কথা কানেই তুলিস না।
- কী যা ইচ্ছে বলে যাবি আর আমায় তা পাত্তা দিতে হবে?
-যা ইচ্ছে মানে? আমার ডিলে কোনো লুপ হোল পেলি তুই?
-বলা নেই কওয়া নেই, খামোখা তোকে প্রোপোজ করতে যাবো কেন?
-কারণ জানতে চাস?
-হুম। অন্তত তিনটে সলিড কারণ। মনোমত না হলে প্রোপোজ টোপজ করছি না।
-বেশ। শোন তবে।
১। তুই বই পড়তে ভালোবাসিস। আমিও। মোটামুটি একই ধরণের। আমরা এক সাথে থাকলে একই বইয়ের দুটো কপি কিনতে হবে না। যে টাকা বাঁচবে সেই টাকায় আরো অনেক বই কেনা যাবে।
-কন্টিনিউ।
-২। তুই হাঙ্গরের মতো খাস। আর আমি পাখির আহার। প্রত্যেকবার রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে দুই প্লেট মাটন বিরিয়ানি অর্ডার করলে, তুই অবধারিত দেড় প্লেট পাবিই।
-সে তো এমনিই এখন পাই।
-ধুর গাধা, আরে সে তো আমি এখনো সিঙ্গল আর তাই তোর সাথে বেরোই বলে। আমি বিয়ে করে নিলে থোড়াই তোর সাথে এত খেতে যাবো। প্লাস ধর তোর বউ যদি রাক্ষসের মতো খায়, তোরই কপালে না শেষে হাফ প্লেট জোটে।
-পয়েন্ট!
-আর লাস্টটা বলি। এই যে তোর জঘন্য জঘন্য পিজেতে আমি হো হো করে হাসি, আর সমান তালে আরো জঘন্য পিজে ক্র্যাক করি, আর তো কেউ আমল দেয় না। স্ট্যান্ড আপ ওপেন মাইকে গিয়ে তো দেখা হয়েই গিয়েছে।
-ট্রু।
-নে, আরো একটা পয়েন্ট ফাউ দিই। মনের মধ্যে যখন ঝড় বয়ে যায় তোর, এদিকে মুখে হাসি। মাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিস এদিকে কাজের ডেডলাইন আছে। শেষ করতে হবেই হবে। অসহ্য গেট টুগেদার বা ভুলভাল ডেট থেকে রেসকিউ করতে হয়। তারপর রাত বিরেতে ড্রিঙ্ক করে এসে ভুলভাল মেসেজ করে কান্নাকাটি করিস যখন। এই সমস্ত সময়ে, কে থাকে তোর সাথে?
-তুই।
-এরপরেও আরো কারণ লাগবে?
-এ কী রে, ঠিক করে হাঁটু গেড়ে বসতেও পারছিস না। কী রকম ভুঁড়ি বাগিয়েছিস খালি দেখ। ধ্যাৎ। কাল থেকে সকল সকাল দৌড়তে যাবি।
- বেশ। তার আগে আমায় কথা বলতে দে।
-হুম। বল। ঝটপট।
- দেবী, আমার জীবনের অধিষ্ঠাত্রী হবি? এই দেখ, কেমন পদ্য হয়ে গেল!
-যদি হ্যাঁ বলি, তাহলে কি মাঝে মাঝেই এরকম জঘন্য কবিতা শুনতে হবে?
- উহু। রোজ শোনাবো।
-তাহলে আমি পালাই...
-এই, এই... এই শোন না... গাছে উঠিয়ে মই কেড়ে নিস না। এই...
No comments:
Post a Comment