- ভাই চ অন্ধ্র মেস যাই। বিরিয়ানি খাব।
- এই না ভাই, আজ হবে না। হেব্বি বাইরে খাওয়া হয়ে যাচ্ছে রোজ রোজ।
- তা কি হয়েছে?
- না শুক্র শনি রবি সোম চারদিন পরপর ডিনার বাইরে খেয়েছি। আজ আর না। তুই যা।
- ভালোই তো, আজও খাবি। নাকি তুই আবার মঙ্গল-শনি কেস?
- আরে ধুস, তা কেন হতে যাবে। আসলে একগাদা টাকা খরচা হয়ে যাচ্ছে। একাউন্ট গড়ের মাঠ।
- ধুর কোথা থেকে এসেছে আমার বাল গণেশ। টাকা টাকা করে কি হবে। কুবের হয়ে যাবি তো দুদিনে। তারপর যপযন্ত্র বেরোবে তোর ভুঁড়ির ছবিকে লোগো বানিয়ে!
- এই ভাল আইডিয়া কিন্তু, রয়াল্টি পাব।
- তাহলে? চল চল। উফ দম বিরিয়ানির সরু চাল আর সুস্বাদু মাংস। ভাই তার এগেন্সটে ভাব মেসের ওই "আলুহীন কাঁচা কাঁচা আলুর পরোটা", সাথে রাজমা।
- উফ, কেন যে লোভ দেখাস। জানিস ইকো পার্কের ছবিগুলি দেখে পারমিতা কি ক্ষেপে গেছে। বলেছে পুজোয় যখন বাড়ি যাব, যেন ভুঁড়ি কমিয়ে যাই। নইলে বলেছে আমার সাথে নাকি ঘুরতে যাবেনা।
- আলবাত যাবে। ওসব ভাই কথার কথা। চ মেলা সময় নষ্ট না করে। ফেরত এসে আমায় ল্যাব যেতে হবে। ডেডলাইন আছে।
- আবার খরচা।
- টাকা টাকা করে কি হবে বল তো? টাকা মাটি। শ্রী শ্রী বলে গেছেন না!
- জানিস আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড, চাকরীর এক বছরের মাথায় একটা সিডান কিনে ফেলেছে।
- ও মাল নিশ্চয়ই পি এইচ ডি করে না?
- না। ও আই টি তে আছে।
- ওই জন্যই। শালা আমাদের গাড়ি হবেনা এই আঠাশ হাজারে। কিন্তু কুছ পরোয়া নেই। আস্ত গাড়ি না হোক, অন্তত মধ্য প্রদেশে দু তিনটে টায়ার তো রেডি!
- চল। তাহলে অন্তত দুই চাকা থেকে চার চাকায় নামি। দরকার হলে স্টেপ্নিও রেডি করে ফেলব।
- পথে এসো বাপধন!
No comments:
Post a Comment