ফুলমতির খুব আনন্দ আজ। ওর স্বামী কিষাণ ঘরে ফিরছে চার মাস পরে। বিয়ের ছয় মাস পরে পরেই কিষাণের ডিউটি পড়েছিল বর্ডারে। কিষাণ সেনাবাহিনীতে রান্নার কাজ করে। সারাক্ষণ নিজের হাতে রান্না করে সকলকে খাওয়ায়। ফুলমতির তাই খুব শখ, আজ নিজে হাতে ওর জন্য ওর পছন্দের রান্না করে খাওয়াবে। যত্ন করে প্লাস্টিকের টেবিলে থালায় করে সাজালো বাজরার রুটি, আলু জিরার সব্জি, মসলা ওখরা, কালি ডাল। পাশে বাটিতে সিমাইয়ের পায়েস। সব শেষে নিজের হাতে বানানো ঘি চুপচুপে দুটো বড় এবং একটি ছোট্ট মুগ ডালের লাড্ডু রাখল কাঁচের ডিশে। আর মাত্র আধ ঘণ্টার অপেক্ষা। এই এলো বোধহয়, দরজায় টোকা মারার শব্দ। আসমানী রঙের বাঁধনি শাড়ীর ঘোমটাটা মাথায় ঠিক করে ছুটল ফুলমতি।
তেরোদিন পরে আজ আবার ফুলমতি থালায় করে কিষাণের পছন্দের সব খাবার সাজালো। পরনের সাদা থানটা বড্ড চোখে লাগছে যে সকলের। ধূপের গন্ধে গা টা গুলিয়ে ওঠায় সরে যেতে গিয়েই টের পেল পেটের ভিতরে ছোট্ট দুটি পায়ের প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা। শুরু হল এক জীবন লম্বা যুদ্ধ baby steps দিয়ে।
No comments:
Post a Comment