রামায়ণে দেখি শ্রীরামচন্দ্র তার প্রাণপ্রিয়া স্ত্রী (ছোটবেলায়, মাধ্যমিকেই বোধহয়, সিলেবাসে একটা কবিতা ছিল, 'রামের বিলাপ', সেখানে তো ওনার "সীতা বিনা আমি যেন মণিহারা ফণী " প্রচণ্ড বিখ্যাত লাইন ছিল। ছেলেপুলেরা রামচন্দ্রকে রীতিমতো idolise করত পত্নী প্রেমের জন্য) কে প্রথমত অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ান। তারপরে উনি সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও রাজ্যবাসীর কথা ভেবেচিন্তে বনবাসে পাঠান গর্ভবতী অবস্থায়। প্রশ্ন হল, কেন অগ্নিপরীক্ষা দেওয়াবেন??
মহাভারতে দেখি কুন্তী তার পুত্রদের বললেন পাঞ্চালীকে নিজেদের মধ্যে ভাগ
করে নিতে। পাণ্ডবদের কাছে মাতৃ আজ্ঞাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল। তখন ধর্মরাজ
যুধিষ্ঠিরের ন্যায়, অর্জুনের পত্নীপ্রেম সব কোথায় ছিল? তারপরে
মহাপ্রস্থানের পথে যখন দ্রৌপদী প্রথম থেমে গেলেন, বা বলা যায় পড়েই গেলেন,
তখন তো পাঁচ স্বামীর কেউ এগিয়ে এলেন না। উল্টে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধে এত যে
প্রাণ গেল, সেই যুদ্ধের জন্যও দায়ী করা হল তাঁকে। কি করে এটাকে justify করা
হবে? কই যখন ভরা রাজসভায় বস্ত্রহরণ হল, একটা কেউ তো টু শব্দটি করেনি!
আসলে আমাদের তথাকথিত epicগুলিতে কিছু কিছু এমন ঘটনা রয়ে গিয়েছে যা যুগে যুগে মানুষ নিজের সুবিধার্থে interpret করেছে। আমার তো মনে হয় ঘটনাগুলি এই জন্যই দেওয়া যাতে লোকে বোঝে যে জিনিসগুলি অন্যায়। তা না, লোকে নারী নির্যাতন করে এবং তারপরে দোহাই দেয় যে রামায়ণ মহাভারতে যা আছে, তাই করছি।
সত্যি, কি বিচিত্র চিন্তাধারা।
আসলে আমাদের তথাকথিত epicগুলিতে কিছু কিছু এমন ঘটনা রয়ে গিয়েছে যা যুগে যুগে মানুষ নিজের সুবিধার্থে interpret করেছে। আমার তো মনে হয় ঘটনাগুলি এই জন্যই দেওয়া যাতে লোকে বোঝে যে জিনিসগুলি অন্যায়। তা না, লোকে নারী নির্যাতন করে এবং তারপরে দোহাই দেয় যে রামায়ণ মহাভারতে যা আছে, তাই করছি।
সত্যি, কি বিচিত্র চিন্তাধারা।
No comments:
Post a Comment