রাত বারোটাঃ
- হ্যাপি বার্থডে মামণি।
- থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ পুপ্লাই। এখনো জেগে আছিস?
- না না, আমি ঘুমোচ্ছিলাম। দেব খেলা দেখছে রাত জেগে, ওকে বলে রেখেছিলাম বারোটা বাজলে আমায় ওঠাতে।
- আচ্ছা। যা তুই এবারে ঘুমো।
- তুমিও শুয়ে পড়ো। গুড নাইট। কালকে ফোন করব পরে।
- হুম। আমি জানতাম তুই কল করবি, তাই জেগেই ছিলাম। এবারে শুতে যাব। গুড নাইট।
সকাল নটাঃ একটি এস এম এস।
মামণি আমি অফিসে পৌঁছে গিয়েছি। লিফটে আছি।
সকাল সাড়ে এগারোটাঃ
- পুপ্লাই তোর ড্রাইভার এই সবে গেল। এই এত এত কি পাঠিয়েছিস বল তো?
- কিচ্ছু এমন পাঠাইনি।
- বললেই হল? পায়েস, মাছের চপ, এই এত্ত এত্ত চকলেট, মিষ্টি...
- তা বার্থডে গার্লকে পাঠাব না তো কাকে পাঠাবো শুনি?
- অফিস কাছাড়ি ছেড়ে কখন এসব করলি? এত বাজারহাট?
- দেব করেছে, তুমি তো জানোই, আমার মাছের বাজারে গেলেই কিরকম একটা অস্বস্তি হয়।
- দেবের মত ভালো ছেলে দুটো হয়না।
- লে হালুয়া! আর আমি?
- তুই তো আমার সোনা মাম্মা।নইলে এত কিছুর পরেও যে তুই আমার সাথে যোগাযোগ রাখবি, এ ভাবা যায়? জানিস আমি রোজ ঠাকুরের কাছে ডাকি, তুই যেন সামনের জন্মে আমার কোল আলো করে আসিস।
- উফ মামণি, ডিভোর্সটা আমার অনির সাথে হয়েছে, তোমার সাথে কিন্তু না। আর হ্যাঁ ওই কোল আলো টালো কি সব বলছিলে? সামনের জন্ম টন্ম না। সন্ধ্যেবেলাই আসছি। আমাদের আজ মাদার-ডটার ডিনার প্ল্যান। সাজুগুজু করে থাকবে, তোমায় পিক-আপ করে নেব। বুঝলে?
No comments:
Post a Comment