শৌণক আর দীপান্বিতা এসেছে ওদের annual health check-up করাতে, প্রতি বছরের মতই, ওদের চেনা হসপিটালে।
- আপাতত যা যা টেস্ট খালি পেটে করার ছিল, হয়ে গেল। এরপরে পি পি টা বাকি
আছে। আপনাকে গ্লুকোস জল দেবে। তারপরে দু ঘণ্টা পরে আবার রক্ত নেব।
- বেশ।
- মাধব, ওনার গ্লুকোজ জলটা এনে দে।
- এখুনি বানিয়ে এনে দিচ্ছি দাদা।
********************************************************************************
- উফফ। কি ক্যাটক্যাটে মিষ্টি। খেতেই পারছিলাম না।
- কি করে আর পারবে? ওই সারাক্ষণ তো ব্ল্যাক কফি চিনি ছাড়া খেয়ে খেয়ে অভ্যেস।
- তা ঠিকই বলেছ দীপু। ধুর, এসব হেলথ চেকাপ ফেকাপ যত পয়সা নষ্ট। I am perfectly fine, কম করে অন্তত আরো ৪০ বছর টেনে দেব দেখো।
- আহ শৌণক, এতগুলো টাকা এলো একাউন্টে। এখনো কিপ্টেমি করছ? টাকা টাকা করে কি হবে যদি ভোগই না করা যায়?
- আরে, সবে ৩০। Life begins at thirty darling!
- দেখলে তো সিদ্ধার্থ দা কে। কিরকম টুক করে ব্যাঙ্কোয়েট ডিনার নিতে পারল না হার্ট। টস্কে গেল।
- হুম।
- সে যাই হোক। চল loungeএ গিয়ে বসি।
- হুম। Let's plan for the trip দীপু।
**************************************************************************
- এই দীপু, তুমি একটু বসো, আমি আসছি বাথরুম থেকে।
- আবার? কি হলোটা কি? এই নিয়ে তিনবার, লাস্ট এক ঘণ্টায়।
- আরে পেট টা ঠিক নেই। কামড়ে উঠছে।
- ওই জন্যই বলি, ওরকম রাক্ষসের মত খেয়োনা।
- আরে এমন বেশী কি খেয়েছি।
- চুপ করো। কাল বারবিকিউতে ওই অত খেলে বলে পেট খারাপ হয়েছে। কতবার করে বারণ করলাম ওই শেলফিশ খেয়োনা। তখন কে শোনে কার কথা। ঠিক করে পরিষ্কার করে কি কে জানে।
- শোনো খুব পেটে ব্যাথা করছে, আমি এসে কথা বলছি।
*********************************************************************************
- দীপু একটু আমার সাথে বাথরুমে যাবে প্লীজ? বমি বমি পাচ্ছে।
- একি! রক্ত বমি তো।
- মনে হচ্ছে ভালো মত ফুড পইজনিং হয়েছে। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- চল চল। ভাগ্যিস হসপিটালেই আছি। তুমি একটু বসো, আমি খোজ নিচ্ছি ভর্তির।
- ওই তো ওই ছেলেটি আসছে। ওকে জিজ্ঞেস করোনা। ও জানবে।
- চুপটি করে বসো।
- ও ভাই, আমার husband এর মনে হচ্ছে ফুড পইজনিং হয়ে গিয়েছে। লাস্ট এক ঘণ্টায় তিন চারবার বাথরুম ছুটতে হয়েছে। রক্ত বমি হল এখুনি। কোথায় কার কাছে যাই?
- এটা তো এমারজেন্সি কেস দিদি। আপনি রিসেপশনে কথা বলুন। আমি ততক্ষণে খবর পাঠাচ্ছি এমারজেন্সিতে নিয়ে যেতে।
******************************************************************************
একটা ছোট্ট এস এম এস :
দিদি কাজ হয়েছে।
*****************************************************************************
- সিস্টার পেশেন্ট তো কোলাপ্স করছে। Breathe করতে পারছেনা। এক্ষুণি intubation করতে হবে।
- আমি anasthesia tray ready করে রেখেছি স্যার।
- হুম, কুইক।
অতি দক্ষ হাতে ডঃ সান্যাল IV চ্যানেল করে সাক্স পাঠালেন শৌণকের রক্তে। মুহূর্তের মধ্যেই সমস্ত muscle relax করে প্যারালিসিস হল। ডাক্তার নিশ্চিন্ত হলেন। এইবারে breathing tubeটি লাগিয়ে ফেলতে পারলেই এ যাত্রায় নিশ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হবে। Oxygen supply বেশ normal ভাবেই শুরু হল। মনে হয় পেশেন্ট survive করে যাবে।
- সিস্টার প্যাথলজিতে খবর দিন। Toxicity tests করতে হবে। Urgently।
- খবর পাঠাচ্ছি।
খানিক বাদে Beep beep beep beep শব্দে এমারজেন্সি রুম ভরে গেল। আশেপাশে সমস্ত মেশিন থেকে alarm toneএ ঘর কাঁপছে।
- এ কি? Patient is sinking, সমস্ত vital parameters ভুলভাল চলছে। কি করে হয়?
*********************************************************************************
দুই মাস পরেঃ
- মাধব, তোমাদের পেশেন্টের কি খবর?
- দিদি শৌণক এখন কোমাতে পড়ে আছে।
- কোনরকম কোন enquiry হয়নি হাসপাতালে?
- কিসের enquiry দিদি? Anasthesia complications কেসের আবার কি enquiry? ও তো rare কিছু না।
- এই জন্যই আমাদের দেশে ক্রাইম করা কতটা সোজা। হুহ! Oxygen supply এর valveটা তারপরে ঠিক করে দিয়েছিলে তো?
- সে আর বলতে দিদি?
- Thank you, নিতাই দা যোগ্য লোকেরই সন্ধান দিয়েছিল আমায়। তুমি যদি আমায় হসপিটাল রেকর্ড থেকে রেগুলারলি ওদের এপয়েন্টমেন্টের খবর না দিতে, আমার পক্ষে খুব কঠিন হত।
- টাকা দিয়েছেন, করে দিয়েছি। তাছাড়া ওই ইতরটার শাস্তি দরকার ছিল। আপনাকে কম জ্বালায়নি। নিতাই দা আমায় সমস্ত বলেছে।
- হ্যাঁ, বাবা মা মারা যাওয়ার পরে নিতাই দাই তো আমার একমাত্র অভিভাবক।
*****************************************************************************
কৌশাণির BPharm পড়াকালীন poison and antidotes এর ওপর করা thesisটা আবার পুরনো বইয়ের তাকে ফেরত গেল। লাইব্রেরী গিয়ে Robin Cookএর বইটা ফেরত দিতে হবে। এতদিনে প্রায় পাঁচশ টাকা ফাইন হয়ে গেছে। অবশ্য আফসোস নেই কৌশাণির। শেষ হাসিটা যে ওই হাসল। এবার আর বাঁচার কোন উপায় নেই।
********************************************************************************
ইয়াহু মেসেঞ্জারে একটা নতুন মেসেজ ঢোকার নোটিফিকেশন শব্দে কৌশাণির চোখ গেল ম্যাকবুকে।
*****************************************************************************
পুনশ্চঃ এমন বহু বিষ আছে যা খুব সহজলভ্য জিনিস দিয়ে বাড়িতে বসে বানানো যায়। যেমন রাইসিন। এবংএগুলো শরীরে গেলে খুবই সাধারণ ভাবে তার manifestation হয়, বিষক্রিয়া হয়েছে যে, অনেক সময়ে বোঝাও যায়না। If left untreated, they may prove to be fatal.
সাক্স বা succinyl choline একটি muscle relaxant, anasthesia করতে গেলে এটা ব্যাবহার করা হয়। পেশেন্টের শরীরের সমস্ত skeletal muscles paralysed হয়ে যায়। ওই অবস্থায় intubation করা হয়। বাইরের থেকে oxygen supply করে breathing normalise করা হয়। কোনভাবে যদি oxygen supplyতে কোনরকম গণ্ডগোল হয়, ব্রেনে অক্সিজেন না পৌঁছয় অল্পক্ষণের জন্যও, irreversible damage হয়ে যায়। পেশেন্ট তখন কোমাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এবং এটা trace করা মুস্কিল এই জন্যই যে সাক্স normal anasthesia procedureএই পড়ে। আর কি কারণে ব্রেনে অক্সিজেন পৌঁছয়নি, সেটাকে ঠিক pinpoint করা যায় না।
Disclaimer: All information has been gathered from internet and "Coma" by Robin Cook. Trying to copy any of them is inadvisable.
No comments:
Post a Comment