স্নান করে সবে বেরিয়েছি, মাথা থেকে এখনো টুপটুপ করে জল ঝরছে। দেখি আমার ছোট্ট বোনঝি আরিয়া, বছর তিনেক বয়স, ওর ঘর থেকে ওর প্লাস্টিকের চেয়ারটা টেনে টেনে আনছে আমার ঘরে।
- আরিয়া কি করছ সোনা? চেয়ারটা আনছ কেন?
- মানি আমি খেলব তোমার সাথে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। চেয়ারটা রাখো। আমি এখুনি আসছি।
চুলটা আঁচড়াতে যাব,ওমনি ভ্যা ভ্যা করে আরিয়ার কান্না।
- কি হল মাম্মা?
- দেখো না মানি, আমার চেয়ারের পায়ে ধাক্কা খেয়ে একটা ant চোট পেয়েছে। ও হাঁটতে পারছেনা।
- কই দেখি?
- এই তো।
এগিয়ে গিয়ে দেখি, সত্যি একটা পিঁপড়ে আধমরা হয়ে রয়েছে। আরিয়া অনেক যত্নে ওটাকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বলল
- মানি চল ওকে ডক্টর আন্টির কাছে নিয়ে যাই।
আমাদের ফ্ল্যাটের ঠিক উল্টো দিকেই থাকেন এক ডাক্তার। ওদের বাড়িতে আরিয়ার অবাধ যাতায়াত। ছুট্টে গিয়ে ওর ডাক্তার আন্টির কাছে আরিয়া বলল এই পেশেন্টের কথা। ইতিমধ্যে চোখে চোখে "আন্টি" আর মানির কথা হয়ে গিয়েছে।
- ঠিক আছে আরিয়া, আমি ওকে ওষুধ দিচ্ছি। ও ভালো হয়ে যাবে।
- আন্টি তুমি কিন্তু ওকে ইনজেকশন দিয়োনা, ওর লাগবে।
- ঠিক আছে। আমি এমনি ওষুধ দেবো। তুমি এখন যাও। আমি ওকে ওষুধ দিই।
বিকেলবেলা আবার আরিয়া আমায় টেনে নিয়ে গেল উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে।
- আন্টি আমার ফ্রেন্ড কোথায়?
- আরিয়া ও তো ভালো হয়ে গিয়েছে। ওর মা এসে ওকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। আর তোমায় খুব করে থ্যাঙ্ক ইউ বলেছে। আর এইটা তোমার জন্য রেখে গেছে।
হাতে একটা এক্লেয়ারস নিয়ে আরিয়ার আবার প্রশ্ন।
- ও তো ছোট, ও এত হেভি জিনিস কি করে নিলো?
- আরিয়া পিঁপড়েরা নিজেদের চেয়েও দশগুণ ওজন ক্যারি করতে পারে।
-ও wow!
No comments:
Post a Comment