আসলে এয়ারপোর্টে এলেই রুমুনের মনটা এলোমেলো হয়ে যায়। হুড়মুড়িয়ে কত অনুভূতি, কত মুহূর্তেরা ভিড় করে এসে ওর গোছানো মনটাকে এক্কেবারে নেড়ে ঘেঁটে দিয়ে চলে যায়। এদিক ওদিক এত অচেনা মানুষের মধ্যে থেকেও একা লাগে বড়। কী করবে? সাথে যে অগ্নি নেই। কর্মসূত্রে দুজনে দুই শহরে। রোজ ভিডিও কলে 'দেখা' হলেও, দিনের শেষে একটু আঙুলের ফাঁকে আঙুল জড়িয়ে বসা যায় না। বা ইচ্ছে হলে ব্যের হাগ দিতে পারে না।
আজও তেমনই হয়েছে রুমুনের।
ভাল্লাগছেনা কিচ্ছুটি। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। যতবার চোখ পড়েছে, দেখেছে
ডিসপ্লে বোর্ডে উঠছে বারবার, 6E 6385 সঠিক সময়ে উড়বে। খুব ইচ্ছে করছিল।
খুউব। টুক করে একটা টিকিট কেটে এক্ষুণি চলে যায় ওর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির
কাছে। কিন্তু... কিন্তু, বাস্তবতার শিকলে যে ওদের হাত পা বাঁধা। কেন যে বড়
হয়...
বেশ তো চলছিল। আবার সব উল্টে পাল্টে গেল।
ভাল্লাগেনা।
ধুর।
আবার সারা রাত বালিশ ভিজবে। আবার। আবার।
আবার...
বেশ তো চলছিল। আবার সব উল্টে পাল্টে গেল।
ভাল্লাগেনা।
ধুর।
আবার সারা রাত বালিশ ভিজবে। আবার। আবার।
আবার...
No comments:
Post a Comment