Tuesday, March 26, 2019

hijibiji kotha

#হিজিবিজি_কথা
আমি যে ডেস্কে বসে কাজ করি রোজ, সেখানে একদম সামনেই জানলা না থাকলেও, আমাদের ঘরটার জানলাগুলো এমনিতে খুব বড় বলে ভালো মতোই দেখা যায় সব। জানলার বাইরে দিয়ে বড় বড় তাল, সুপুরি ও আরো অনেক গাছ দেখতে পাই। আমি আবার গাছপালা ভালোবাসি বলে আমার এতে খুব আনন্দ হয়। এইসবের পিছনে, খানিকটা দূরে দেখি একটা টেলিফোনের টাওয়ার দাঁড়িয়ে আছে। কীরকম নিঃসঙ্গ। একা। মনে হয়, কোথাও গিয়ে যেন আমরাও ওই টাওয়ারটার মতো। এত ভিড়ের মাঝে থেকেও হয়তো একা। টাওয়ারটার মতোই যোগাযোগ স্থাপন করি, করাই ঠিকই, তবুও হয়তো আমাদের দিনের শেষে সেই একাই রয়ে যেতে হয়। মহাপুরুষদের বাণীই তাই বলে গিয়েছে যুগ যুগ ধরে। একাই আসি, একাই ফিরি। মাঝে শুধু কিছুদিন সবাই মিলে আনন্দ করি।
সন্ধ্যের সময়টা ভারি সুন্দর লাগে আমার। কী সুন্দর সারি দিয়ে দলে দলে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা বাসায় ফেরে। ওই যে তখন পাখীর কূজন, যে কোন অপেরা অর্কেস্ট্রাকে হার মানিয়ে দেবে বলে আমার বিশ্বাস। একটু কান পেতে শুনবেন কখনও। এয়ারপোর্টটা খুব কাছে হওয়ায় দিনের কিছু কিছু সময় আবার প্রায় পাঁচ দশ মিনিট অন্তর প্লেনগুলো খুব নীচ দিয়ে উড়ে যায়। তখন খুব মনে হয়, এই যদি পাখিগুলোর মতো দিনের শেষে প্রিয়জনদের কাছে, বা নিজের বাসায় ফিরতে পারতাম। যদি...
জানি, "ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি?" তবুও, সাধ জাগে। কোন একদিন আমার ডেস্কটা খালি পড়ে থাকবে। বা অন্য কেউ হয়তো এখানে বসে দেখবে। জানলা দিয়ে। নীল আকাশের বুক চিড়ে একটা সাদা লাল প্লেন উড়ে গেলো। দূরবীনে চোখ রাখলেও দেখতে পাবে কি জানি না, কিন্তু সেই প্লেনের কোন এক জানলার ধারে তখন মুক্তির হাসি হাসব আমি। হয়তো কোনদিন। শিগগিরই।
তখন রোজের জীবন আর প্রকৃতি কেমন মিলে মিশে এক হয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment