Tuesday, March 5, 2019

সংলাপ

একটি সাধারণ দম্পতির আরও সাধারণ গার্হস্থ্য জীবনের কথোপকথন। চরিত্রদের নাম? রুমুন অগ্নি? যা ইচ্ছে ভেবে নিন।
- ভাবছি চাকরিটা এবারে ছেড়েই দেবো।
- আচ্ছা।
- এই চাকরিটা বেশিদিন টানা অসম্ভব।
- ঠিক আছে।
- এই চাকরির জ্বালায় জান কয়লা হয়ে গেল আমার।
- হুম।
- তখন থেকে ঘ্যানঘ্যান করে যাচ্ছি। একবার জিজ্ঞেস তো কর কী ব্যাপার কেন।
- ম্যানেজার ছুটি দেয়নি, তোর কাজ শ্বেতার চেয়ে ভালো, তাও তুই কম রেটিং পেয়েছিস। তোর ক্লায়েন্টটা বড্ড জ্বালাচ্ছে। সামান্য পান থেকে চুন খসলেই ডাইরেক্ট ম্যানেজারকে মেল করছে। কোনটা?
- সেকেন্ডটা। কিন্তু শ্বেতা না। শুভ্র।
- বুঝলাম।
- তুই কী করে জানলি?
- গত তিন বছর ধরে এই চাকরিটাতে আছিস। আমি তোকে চিনি আরো আগে থেকে। আর তোকে এই যাবৎ যা যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখেছি, তাকে রাফলি এই কটা ক্যাটেগরিতে ভাগ করা যায়।
- আর তাই আজও বুঝে গেলি।
- হ্যাঁ। সিম্পল বেসিক মেশিন লার্নিং এর গল্প এটা।
- উফ। আবার রিসার্চের কথা। মা গো। থাম প্লিজ।
- আমারই কি ভালো লাগে নাকি? এই দেখ না, পেপারটা ডিউ আছে নেক্সট উইক। তখন থেকে কোডটা রান করতে গিয়েও পারছিনা। আমিও চাকরিটা ছেড়ে দেবো ভাবছি।
- চল। তাই করি। দুজনেই চাকরি ছেড়ে দিই।
- তারপর কী করব?
- ভ্যারান্ডা ভাজব। গান গাইবো। বই পড়বো। সিনেমা দেখবো।
- খাবো কী?
- ভ্যারান্ডা। ভাজব যেটা।
- ভ্যারান্ডা কিনবার টাকা কোত্থেকে আসবে?
- ব্যাংক লুটব।
- কীভাবে?
- বন্দুক দিয়ে ভয় দেখাব।
- হুম। আপাতত চল স্পেনসার্স যাই।
- ওখানে বন্দুক পাওয়া যায় নাকি?
- জানিনা। তবে আমি কালকের রান্নার জন্য বাজারহাট করবো।
- হয়ে গেল?
- হ্যাঁ। মনে পড়ল, ফ্রিজ খালি।
- শালা কল্পনার জগতে থাকারও কত লিমিটেশন।
- সেই না সেই।
- চল।
- ভেলপুরির লোকটা থাকলে খেয়ে ঢুকবো।
- আমি ফুচকা।

No comments:

Post a Comment