সারা সপ্তাহ শান্ত চুপচাপ এই অ্যাপার্টমেন্টটা উইকেন্ড এলেই প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। তখন এক দঙ্গল কচি কাঁচার ভিড়ে, তাদের হাসির কলরবে আর ঘুঙুরের শব্দে চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। ডালিয়ার নিস্তরঙ্গ জীবনেও প্রাণের ঝাপটা আসে শনি আর রবি - এই দুদিনে। দুপুর থেকেই শুরু হয় আলমারি খুলে পছন্দের শাড়ি বাছা। তারপর ঘন্টাখানেকের ওপর ধরে চলে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে ওর মেকআপ। পছন্দসই সাজগোজের শেষে ঝুঁকে বসে পায়ে সযত্নে পরে নেয় পরম প্রিয় ঘুঙুর।
তারপর বড় হলঘরে এসে সিডি প্লেয়ারটা চালিয়ে দেয়। একের পর এক নাচের বোল বাজতে থাকে। সাথে সাথে বাচ্চাগুলোও তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে। আর উইলচেয়ারে বসে দুই হাত দিয়ে ওদের ভুলগুলো শুধরে দেয় ডালিয়া।
এই রেওয়াজ চলে আসছে গত দু'বছর ধরে। সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর থেকে শরীরের নীচের অংশের সাড় চলে যাওয়ার পরও নাচকে ছাড়তে পারেনি ডালিয়া। বা বলা চলে, নাচ ডালিয়াকে ছেড়ে যেতে পারেনি।
No comments:
Post a Comment