সকাল সকাল চমক
- গুড মর্নিং!
- উমম। মঅঅর্নিং। এত সকাল সকাল? কটা বাজলো?
- আটটা। এমন কিছু সকাল সকাল না।
- হুম।
- উঠে পড়ো।
- উঠছি। দু'মিনিট একটু আড়মোড়া ভাঙি। প্লিজ।
- ঠিক আছে। দেরি করো না। আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করেছি। টেবিল সেট করছি। চলে এসো।
- হুম।
(খানিক পরে হাত মুখ ধুয়ে ব্রাশ টাশ করে ডাইনিং রুমে প্রবেশ।)
- বসে পড়ো।
- এই এক মিনিট।
- কী?
- আমি কি কোনো ভুল করেছি? আগাম সরি!
- ধ্যাৎ। ভুল করতে যাবে কেন?
- ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে লাগছে। টেবিলে কড়া কফির সুগন্ধ ভুরভুর করছে। তার
সাথে দেখতে পাচ্ছি চিকেন এন্ড এগ স্যান্ডউইচ। তোর মুখে হাসিও রয়েছে। এদিকে
আবার তুমি তুমি করে কথা বলছিস সকাল থেকে। আই এম কনফিউজড!
(বেশ জোরে হেসে) - ওই জন্যই আগেভাগে সরি বললি? বাবা রে। মা রে। কান্ট স্টপ লাফিং নাউ।
- যাক। ব্যাক টু তুই। রিলিভড। কিন্তু কেসটা কী হয়েছিল বল?
- একচ্যুয়ালি আমি ওয়াটসআপে আমাদের সেই প্রাচীন চ্যাটগুলো পড়ছিলাম।
- পাঁচবছর আগের চ্যাট এখনও কোথায় পেলি?
- চ্যাট তো আমি ডিলিট করিনা। আমাদের চ্যাট উইন্ডোতে স্ক্রল করছিলাম। কাল মাঝরাত্রে ঘুম ভেঙে গেল। আর ঘুম আসছিল না। কী করব। তাই।
- ভগবান। ওই জন্যই তোর এত ডার্ক সার্কলস। না ঘুমিয়ে ওয়াটসআপ।
- তা কী করবো? তুই ভসভস করে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিস পাশে। টায়ার্ড ছিলি। আর
ডিস্টার্ব করিনি। তাই বসে বসে চ্যাট পড়ছিলাম। আর ভয়েস নোটগুলো শুনতে শুনতে
তবে ঘুম এলো।
- ফেসপাম! তা যাক গে। চ্যাট পড়ে কী হলো?
- হলো এই যে
দেখলাম শুরুর এক মাস আমরা কীরকম তুমি তুমি করে কথা বলতাম নিজেদের মধ্যে। এত
হাসি পেয়ে গেল!!! তাই ভাবলাম, লেট মি রি-লিভ দোজ ডেজ। তাই।
- তুই পাগল জানতাম। তা বলে এতটা, ভাবতে পারিনি।
- চমকে গেছিলি তো?
- তা আর বলতে?
- যাক। মাঝে মাঝে চমকে দেওয়া ভালো। প্রেম অটুট হয়।
- এটা কোন মহান ব্যক্তির বাণী?
- হবে কোনো করণ জোহরের সিনেমা টিনেমা।
- ডাবল ফেসপাম।
No comments:
Post a Comment