তবে ওই যে, যা হয়। কলেজে ঢুকে প্রায় সব যোগাযোগই ছিন্ন হয়ে যায়। হয়ে গেলোও
তাই। বেশ কয়েক বছর পর, ছেলেটি তখন চাকরিসূত্রে কলকাতার বাইরে, ধরে নিলাম,
চেন্নাইতে, মেয়েটি তখন মাস্টার্স করছে। হঠাৎ আবার যোগাযোগ হল। তখন
ওয়াটসঅ্যাপের যুগ শুরু হয়েছে সবে। ছেলেটি কোদাইকানাল যাচ্ছিল, বন্ধুদের
সাথে। সারা রাত জেগে জেগে বিরক্ত বোধ করছিলও। মেয়েটা অনেকদিন পর আড্ডা দিতে
বসে দারুণ খুশি। পুরনো দিনের কথা, পুরনো বন্ধুদের গল্প। কে কেমন আছে,
কোথায় থাকে, সব।
চলতে লাগল ওদের এই পুনরুজ্জীবিত বন্ধুত্ব। এবং এইখানে এসেই বিপত্তিটা ঘটল। মেয়েটা এইবারে প্রেমে পড়ল ছেলেটির। কোদাইকানাল ট্রিপের প্রায় আট নয় মাস পর ছেলেটার জন্মদিন। মেয়েটা ভাবল, প্রোপোজ করলে হয়। কীভাবে কী করা যায়, ভাবছে সে। অনেক রকম সংলাপও ভেবে চলেছে। সোজাসুজি বলবে? নাকি লিখে পাঠাবে? এস এম এস? না ফোন? আচ্ছা, কী ভালোবাসে ও? কীভাবে বললে খুশি হবে? এইসব ভাবতে ভাবতে মেয়েটি অর্কুট (নাকি ফেসবুক?) খুলল। যদি কোন হিন্টস পাওয়া যায়।
আর ব্যস। ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল। মেয়েটি জানতে পারল, ছেলেটির সদ্য একটি বিশেষ বান্ধবী হয়েছে। কলিগ। আলাদা শহরে থাকলেও, মাঝে মাঝেই একে অপরের সাথে দেখা করতে এদিক সেদিক বেড়াতে যায়।
আমাদের মেয়েটির মন বড্ড ভেঙ্গে গেল। ভাগ্যিস প্রোপোজ করে বসেনি, কেলেঙ্কারি হয়ে যেত। এখনও বেশ সেই আগের মতোই বন্ধুর অভিনয়ই চালিয়ে যেতে হবে।
"মুখে হাসি, চোখে জল" অবস্থা তখন মেয়েটির।
খুব গান শোনা অভ্যেস। এমন সময়ে একদিন রেডিওতে দুপুরবেলা আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে শুনলও ইন্দ্রাণী সেনের কণ্ঠে একটি গান।
"আমার সকল নিয়ে বসে আছি, সর্বনাশের আশায়
আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি, পথে যে জন ভাসায়..."
বাকি দুটো লাইন অবধি আর পৌঁছতে হল না। এই দুইয়েই সাঙ্ঘাতিক কাবু। অঝোরে দুই চোখ বেয়ে জল নামল সেদিন। শহরে সেদিন ঘোর বর্ষা। মেয়েটি আর প্রকৃতি তখন একাকার...
আজ বহু বছর পর, ফেলে আসা দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছিল মেয়েটির। ওই গানটি আবার শুনে কোত্থেকে যে ল্যাক্রাইমাল গ্ল্যান্ডগুলো হাইপার অ্যাক্টিভ হয়ে গেলো...
চলতে লাগল ওদের এই পুনরুজ্জীবিত বন্ধুত্ব। এবং এইখানে এসেই বিপত্তিটা ঘটল। মেয়েটা এইবারে প্রেমে পড়ল ছেলেটির। কোদাইকানাল ট্রিপের প্রায় আট নয় মাস পর ছেলেটার জন্মদিন। মেয়েটা ভাবল, প্রোপোজ করলে হয়। কীভাবে কী করা যায়, ভাবছে সে। অনেক রকম সংলাপও ভেবে চলেছে। সোজাসুজি বলবে? নাকি লিখে পাঠাবে? এস এম এস? না ফোন? আচ্ছা, কী ভালোবাসে ও? কীভাবে বললে খুশি হবে? এইসব ভাবতে ভাবতে মেয়েটি অর্কুট (নাকি ফেসবুক?) খুলল। যদি কোন হিন্টস পাওয়া যায়।
আর ব্যস। ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল। মেয়েটি জানতে পারল, ছেলেটির সদ্য একটি বিশেষ বান্ধবী হয়েছে। কলিগ। আলাদা শহরে থাকলেও, মাঝে মাঝেই একে অপরের সাথে দেখা করতে এদিক সেদিক বেড়াতে যায়।
আমাদের মেয়েটির মন বড্ড ভেঙ্গে গেল। ভাগ্যিস প্রোপোজ করে বসেনি, কেলেঙ্কারি হয়ে যেত। এখনও বেশ সেই আগের মতোই বন্ধুর অভিনয়ই চালিয়ে যেতে হবে।
"মুখে হাসি, চোখে জল" অবস্থা তখন মেয়েটির।
খুব গান শোনা অভ্যেস। এমন সময়ে একদিন রেডিওতে দুপুরবেলা আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে শুনলও ইন্দ্রাণী সেনের কণ্ঠে একটি গান।
"আমার সকল নিয়ে বসে আছি, সর্বনাশের আশায়
আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি, পথে যে জন ভাসায়..."
বাকি দুটো লাইন অবধি আর পৌঁছতে হল না। এই দুইয়েই সাঙ্ঘাতিক কাবু। অঝোরে দুই চোখ বেয়ে জল নামল সেদিন। শহরে সেদিন ঘোর বর্ষা। মেয়েটি আর প্রকৃতি তখন একাকার...
আজ বহু বছর পর, ফেলে আসা দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছিল মেয়েটির। ওই গানটি আবার শুনে কোত্থেকে যে ল্যাক্রাইমাল গ্ল্যান্ডগুলো হাইপার অ্যাক্টিভ হয়ে গেলো...
No comments:
Post a Comment