Wednesday, May 8, 2019

- কীরে, ফোন করলি না কেন সারাদিন?
- মুড অফ।
- কেনো?
- নানান কারণ।
- আমি মনে হয় সেই নানানের একটা নই, রাইট?
- হুম।
- যাক। নিশ্চিন্ত।
- Actually, now that I think about it, তোর ওপরও রাগ করা উচিত আমার।
- এই রে, কেন?
- সারাদিনে খোঁজ নিলি না।
- আচ্ছা, তার জাস্টিফিকেশন পরে দিচ্ছি। আগে আগেরগুলো বল।
- বাবা মা।
- কী হলো?
- এত ন্যাগিং।
- আবার বিয়ে বিয়ে করছে?
- থ্যাংকফুলি না।
- তবে?
- কাজ নিয়ে। অফিস নিয়ে।
- তা সে ওঁরা out of concern বলছেন।
- আরে কিছু জিনিস আমার হাতে থাকে না। বোঝে না কেন? বুঝবে না। এদিকে random মন্তব্য করে মেজাজ খারাপ করে দেবে।
- বুঝলাম।
- সকাল সকাল ঝগড়া। ফোন কেটে দিলাম। তারপর সারাদিন কল করিনি। এদিকে দুপুর থেকে চোদ্দবার মেসেজ। কী করছিস? খেলি? উত্তর প্রায় দিইনি। বা দিলেও হুম হ্যাঁ। তাতে লিখছে, রাগ করে আছিস? লাইক, বোঝেনা নাকি? রাগ করার মতো কাজ করবে আর আমি ধেই ধেই করে নাচ করবো?
- হুম।
- হুম হুম করিস না।
- উফ। মাথা ঠান্ডা কর। ভাব।
- ছাই।
- দেখ, পৃথিবীতে বাবা মা হলো একমাত্র আপন। আমিও নই। ওঁরা তোকে যত ভালোবাসেন, তুই বিশ্বাস কর, আর কেউ তোর ভালো অতটা চায় না। ওঁরা সবটা বোঝেন না। ওঁদের সময় আলাদা ছিল। ওঁরা সেই এক্সপিরিয়েন্স থেকে বলেন। এত গায়ে মাখিস না।
- শোন, এটা আজ না। দিনের পর দিন হয়।
- আরোই তো তোর অভ্যেস হয়ে যাওয়া উচিত। নয় কি?
- হ্যাঁ, সব দোষ আমার।
- আবার রাগ অভিমান।
- হু।
- মন দিয়ে শোন। ভাব। বুঝবি।
- কী?
- এই যে এতগুলো কথা বললাম। ঠান্ডা মাথায় ভাব। আর ওঁদের ফোন করে নে। একদিনের জন্য অনেক রাগ হয়ে গেছে। বেশি মাথা গরম করলে মাথায় পিম্পল হবে।
- ধ্যাৎ। বাজে কথা।
- বাগান করিস তো খুব। ওইখান থেকেই একটা এক্সাম্পল দিই। গোলাপ ফোটাতে কত কসরৎ করিস বল তো?
- হুম।
- এদিকে বাগানের এক কোণে যে নয়নতারাগুলো ফুটে থাকে... দিব্যি রোজ ফুল ফোটে। যত্ন করতে হয় না। তবুও কনস্ট্যান্ট থাকে। বাগানের শোভা বাড়ায়... বাবা মা ঠিক তেমন। হয়তো ছাপোষা, কিন্তু দিনের শেষে ওঁরাই আশ্রয়। বুঝলি?
- বেশ দারুণ উপমা দিলি তো।
- ফেসবুক থেকে ঝাঁপা। আমার অত সাহিত্য আসে না।
- সব হলো। কিন্তু তুই সারাদিন আজ কেন ফোন করিসনি বল।
- প্লিজ, আজকের জন্য অনেক রাগ অভিমান হয়ে আছে। প্রমিস। এটা ডিউ থাকলো। যেদিন খুব প্রেম পাবে, ঝগড়ার টপিক পাবো না, সেদিন এটা নিয়ে আলোচনা হোক?
- ছাগল একটা!
Remove

No comments:

Post a Comment