Wednesday, May 15, 2019

গ্রীষ্ম চরিত।

# "কোয়ালিটি, অ্যাই কোয়ালিটি।" ডাকতে ডাকতে আজও চলে যায় সেই পরিশ্রান্ত দেহ ঘেমো কাকুটা। একটা দিনও যার নিজের জোটেনা একটা স্টিক বা কাপ...

# জলের কলের লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই অনেকটা শৈশব কেটে যায় ছোট্ট রুমির। কীই বা করবে, সারাদিন পর মা ঘেমে নেয়ে যখন বাড়ি ফেরে, টাইম কলের জল ততক্ষণে শেষ। আগে মা পারত। এখন পারে না। একটা বাড়ি এক্সট্রা রান্নার কাজ জুটেছে। নিতেই হল। ফ্যাক্টরিতে লক-আউটের পর থেকে একা মায়ের রোজগারেই যে সংসারটা চলছে।

# একটু খাবারের আশায় বেপাড়ায় গিয়েছিল পটলা। যে দিদিভাইটা ওকে রোজ আদর যত্ন করে দুবেলা খেতে দেয়, আজ তিনদিন হলো ওরা তালা চাবি মেরে কোথাও গেছে, তল্পিতল্পা গুটিয়ে। সামার ভেকেশন না কী বলে বোধহয়। বেপাড়ার যত উটকো কুকুরগুলো দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তাড়া করে পটলাকে পাড়া ছাড়া করলো। পটলা কোনমতে বারান্দার ছায়ায় বসেছে। পটলা ধুঁকছে। খিদেয়। তেষ্টায়।

# অনেক কষ্টে পুরনো ত্রিপলটা জোগাড় করেছিল সুন্দরী। গতকালের কালবৈশাখীতে সেটাও উড়ে গেলো। আবার মাথার ওপর ছাদ জোটানোর লড়াই শুরু।

# ঋজুর স্কুলটা বন্ধ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তবুও শান্তি নেই। সেই প্রতিদিন টিউশন ক্লাসে যেতে হচ্ছেই। যেহেতু গত পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়েছে, আবার এখন এক্সট্রা ক্লাস। খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, এবারের ছুটিতেও অধরাই রয়ে গেলো।

No comments:

Post a Comment