Monday, May 13, 2019

গুমটি থেকে স্টার্টারের বারংবার চোখ রাঙানি আর উপেক্ষা করতে না পেরে শেষমেশ ২৩৪ বাসটা ঢিকঢিক করতে করতে এগিয়ে গেলো।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ পাওয়া মঙ্গলা আর প্রমোদা ধুলো উড়িয়ে পিচ রাস্তা ঝাঁট দিয়ে এখন আঁচলের কোণায় ঘাম মুছছে।
দুটো শালিখ ছাদের অলস রেলিংয়ে বসে অপেক্ষা করছে সূর্য ডোবার, বাসায় ফেরার।
কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িগুলো আপনমনে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে মাটির সাথে ঠোঁটে ঠোঁট মেলাচ্ছে।
বারান্দার কোণে দিদিমণির শুকোতে দেওয়া আমের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একটা একলা কাক।
পশ্চিমের ঘরটা রোদে ভেসে যাচ্ছে। কো অপটেক্স থেকে পয়লা বৈশাখে কেনা সবুজ পর্দাগুলো ফ্যানের হাওয়ায় মধ্যে মধ্যে দাদরায় দুলছে।
আনন্দবাজারে শব্দছকটা শেষ করে জেঠুমণি এবার টিভি খুলবে। বাবার সুডোকু এখনও চলছে। মায়ের হাতের কাজ আর শেষ হয় না।

সারা দুপুর এসির জল টুপটুপ টুপটুপ করে পড়ে এখন ক্লান্ত। একটা ছোট্ট চড়াই সেই জমা জলে "কাকস্নান" করছে।

গ্রীষ্মের দুপুরগুলো সেই একইরকম আছে। বছরের পর বছর। শুধু দাদাইয়ের পাঠানো আমের জেলি রাখা হরলিক্সের মোটা কাঁচের বয়ামে ধুলো জমছে। ক্রমশ।

No comments:

Post a Comment