#জিরো_থ্রি_থ্রি
সায়েন্স কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেলেই একটা উল্টোদিকের বাস ধরে চলে যেতাম হাতিবাগান। বা কখনো কখনো হাঁটতে হাঁটতেও পৌঁছে গিয়েছি। সেই অলস দুপুর। শতাব্দী প্রাচীন বাড়ির বারান্দাগুলো তখন ঝিম মেরে আছে। পলেস্তারা খসা গোলাপি সবুজ রেলিংয়ে সামনের কৃষ্ণচূড়ার ছায়া। ফুটপাথের হকার দাদারাও তখন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। তারই মধ্যে ঘুরে ঘুরে কুর্তি সালোয়ারের সাথে মিলিয়ে মিশিয়ে হরেক রঙের হরেক ডিজাইনের ঝুমকো দুল। অল্প দরদাম। টুকটাক প্রসাধনী। তারপর আবার গুটগুট করতে করতে রাস্তা পেরিয়ে অপেক্ষা। ২৩৪/১ এর। খুব খিদে পেলে কোনো রাস্তার সাধারণ টিমটিমে দোকান থেকে অসাধারণ স্বাদের নরম পাকের শাঁখ বা আম সন্দেশ কিনে খাওয়া। বাস আসতে চটপট উঠে পড়া। ফাঁকা বাস। পছন্দসই পিছনের দিকের টু-সিটার লেডিজ সিট। কানে ইয়ারফোনে তখন এভারগ্রিন গান। কিশোর আর ডি লতা।
বাস চলতে থাকে। প্রাচীন কলকাতার বুক চিরে। ঠনঠনিয়ায় কালীবাড়ির সামনে ঠিক একবার সিগনাল খাবেই। আলতো করে কপাল ছুঁয়ে প্রণাম। মা গো, ভালো রেখো। বৌবাজারের রোশনাই পেরিয়ে চলতে থাকি। বাসও, আর এফ এম এ আর জে ও। বাম্পার টু বাম্পার। চারটে বাজলো। এইবার ঘরে ফেরার পালা।
"There's nothing like Calcutta!"
No comments:
Post a Comment