Saturday, June 22, 2019

তুয়ার হিজিবিজি ১৫

তুয়া বসে আছে ব্যাক স্টেজে। সদ্য গান শেষ হয়েছে ওর। আশা ভোঁসলের জনপ্রিয় কয়েকটা গান। উপস্থিত দর্শক একেবারে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিয়েছে। এতটাই ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে। বোতল থেকে জল নিয়ে একটু খেলো। এখন নাচ চলছে। এরপর একটা নাটক। নাটকে দু তিন লাইন গান গাইতে হবে ব্যাকগ্রাউন্ডে। তারপর ছুটি। মনোযোগ দিয়ে তুয়া নাচ দেখছে স্টেজে। এই একটা জিনিস যা ও ভীষণ উপভোগ করে। নিজে খুব বেশি যে নাচতে পারে, এমন না। তাই হয়তো আরো বেশি শ্রদ্ধা ওর নাচের লোকজনের ওপর। এই আলো, ঝলমল, গ্ল্যামার... এইসব ভাবতে ভাবতে পা ঠুকে ঠুকে তাল দিতে দিতে তুয়া নাচ দেখছে,।এমন সময়ে কাঁধে একটা হাল্কা টোকা অনুভব করলো। চমকে তাকিয়ে দেখল, সাদা চিকন কাজের পাঞ্জাবি আর নীল জিন্স পরিহিত মকবুল সিদ্দিকি।
তুয়া একটু ত্রস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো। মকবুল ওর কাঁধ থেকে হাত নামিয়ে বললো, "তোমার গান খুব ভালো হয়েছে। খুবই জমাটি। সবকটা গান আমার পার্সোনাল ফেভারিট। তাই আমি আলাদা করে এলাম তোমায় অভিনন্দন জানাতে। গান ছেড়ো না। খুব ভালো হয়েছে।" তুয়া এই প্রশংসা শুনে "ব্লাশ" করে। সলজ্জ হেসে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়। খুব নিচু স্বরে বলে "থ্যাংক ইউ।" মকবুল বলে, "একটা কিছু ইনফর্মাল অনুষ্ঠান আয়োজন করো তো তোমরা। আমরা আবার গানবাজনা করবো।" তুয়া মাথা নাড়ে। মকবুল চলে যায়। তুয়া সেই চলে যাওয়া দেখতে থাকে। স্টেজে নাচ পাল্টায়। তুয়ার আর ওদিকে মন নেই। কানে শুধু ভেসে আসে গানের কথা। "ইন আঁখো কি মস্তি মে"।
চোখ বুজে যায় আবেশে।
হঠাৎ গান বদলে যায়। বাজতে থাকে সরোদ। খুব মিষ্টি। ঠিক যেন কোন সুদূর থেকে ভেসে আসছে।
এক লহমায় ঘুম ভাঙে। ও। এলার্ম। চোখ মেলে দেখে ঘড়িতে ছটা তিরিশ।
এতদিনে প্রথম তুয়ার এলার্মের আগে ঘুম ভাঙল না। মেজাজটা বড় ফুরফুরে লাগছে। এমন স্বপ্ন কি সত্যি হবে না?

No comments:

Post a Comment