কাঁহাতক আর ওই মন খারাপ, মন ভালো নেই, কিচ্ছু ভাল্লাগছেনা এইসব করা যায়? এই করতে করতে হঠাৎই একদিন ঘুম থেকে উঠে মনে হয়, নাহ। আজ তো বেশ ফুরফুরে লাগছে। চড়া রোদ বাইরে, তবুও তারই মধ্যে একটু সেজেগুজে দু তিন স্টেপ নেচে নিতে ইচ্ছে করে। বা হয়তো কোন ইম্পরট্যান্ট মিটে যাওয়ার কথা, জোরে বৃষ্টি এসে সব ভণ্ডুল করে দিলো। তাতে কী? ঘরের ভিতর গল্পের বই হাতে, জানলার ধারে বসে রেনি ডে পালন তো করাই যায়? অঙ্কটা মিলছেনা সেই কখন থেকে। ধুর ছাই করে একদিনের জন্য কিন্তু ছুটি নিয়েই নেওয়া যায়। না? অমুকে কথা বলেনি? তাতে কী? কথা বলার লোকের অভাব নাকি? কবে থেকে ঠাকুমাকে ফোন করবো করবো করেও তো হচ্ছিল না করা, নানান ব্যস্ততার অছিলায়। আজকে একবার ফোনটা তুলে নম্বর ডায়াল করলেই হলো। বুড়ো মানুষটা যখন প্রিয় নাতি বা নাতনির গলাটা শুনতে পাবে, অপ্রত্যাশিতভাবে, কী আনন্দই না পাবে?
আসলে ভালো থাকাটা, ভালোলাগাটা পুরোটাই খুব আপেক্ষিক। খারাপ লাগতে লাগতে, কষ্ট পেতে পেতে যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন হঠাৎ করেই একদিন বুমেরাংএর মতোই ছিটকে আসি। তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিসের মধ্যেই খুঁজে নিই ভালো থাকার রসদ।
কারণ, আমরা ভালো থাকতে ভালোবাসি। ভালোবাসি ভালো রাখতে।
No comments:
Post a Comment