তুয়া আর ওর সহপাঠিনীদের মনে মনে যতই বসন্ত আসুক না কেন, কলকাতা শহরে এখন
ভরা বর্ষা। আষাঢ়স্য প্রথম দিবস কিছুদিন আগেই পার হয়ে গিয়েছে। গত দুদিন কলেজ
থেকে ফিরতে গিয়ে বেশ ভালো মতোই বৃষ্টি পেয়েছে তুয়া। অটোর স্ট্যান্ডে লম্বা
লাইন। এদিকে অটোর দেখা নেই। অবশ্য এসবে তুয়ার খুব একটা এখন খারাপ টারাপ
লাগছে না। ওর তো ফূর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। লাইনে দাঁড়িয়ে বাকিরা যখন দুর্ছাই
করে যাচ্ছে, তুয়া বেশ ইয়ারফোনে সাত সুরের ছন্দ জগতে মাতোয়ারা। এফ এম
স্টেশনগুলো বেশ ভালো। কী সুন্দর বৃষ্টি পড়লেই পরপর সুরেলা বৃষ্টির গান
চালায়। সেগুলির আবার বেশিরভাগই রোম্যান্টিকও। তুয়া গুনগুন করে গান গাইতে
থাকে। "সাওয়ান বরসে তরসে দিল..."। কল্পনায় নিজেকে সোনালী বেন্দ্রে আর অক্ষয়
খান্নার জায়গায় বারবার সেই মকবুলের মুখ ভেসে আসছিল।
আজ আবার
ব্যাপারটা খানিক আলাদা। ভুল করে ছাতা নিয়ে বেরোয়নি তুয়া। আর ব্যস। ভিজছে।
যদিও এই ফুরফুরে মনে আজ ভিজতে মন্দ লাগছে না ওর, তবে তুয়ার খানিক এলার্জি
আছেই। তাই মনের এক দূর কোণে হাঁচি কাশির হাল্কা ভয় আছেই। সে না ভিলেন হয়ে
আসে জীবনে। ও, বলতে ভুলে গেছি। আগামী শনিবার, ওদের ব্যাচের পক্ষ থেকে
ফার্স্ট ইয়ারকে ফ্রেশার্স ওয়েলকাম দেওয়া হবে। তুয়া সেখানে গান গাইছে। সেই
অনুষ্ঠানে সাধারণত সমস্ত ফ্যাকাল্টিরাও থাকেন। মকবুলের উপস্থিতিও তাই আশা
করাই যায়। এই জন্যই তুয়া যেন বাড়তি এক্সাইটেড।
No comments:
Post a Comment